Dhaka ০৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ইউএনও প্রতিস্বাক্ষর না করায়

কালুখালীর সূর্যদিয়া দাখিল মাদ্রাসার ১৬জন শিক্ষক-কর্মচারী পাননি বেতন বোনাস

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৪১:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ জুন ২০২৩
  • / ১০৮৭ জন সংবাদটি পড়েছেন

রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার সূর্যদিয়া দাখিল মাদ্রাসার ১৬ জন শিক্ষক-কর্মচারী বেতন ও ঈদের বোনাস পাননি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কালুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রতি স্বাক্ষর না করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। মাদ্রাসার সুপার আব্দুল মালেক মন্ডল প্রতি স্বাক্ষরের জন্য গত রোববার রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। তবে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত তিনি স্বাক্ষর করেননি বলে জানা গেছে। ইউএনও বলছেন, সুপার তার কার্যালয়ে না আসায় স্বাক্ষর হয়নি।

লিখিত আাবেদনে সুপার আব্দুল মালেক মন্ডল উল্লেখ করেছেন, সূর্যদিয়া দাখিল মাদ্রাসার মে মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস বিলে কালুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রতিস্বাক্ষর না করায় ১৬ জন শিক্ষক-কর্মচারীর পরিবারে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ম্যানেজার জানিয়েছেন জুন ফাইনালের টাকা ফেরত গেলে ওই টাকা ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। সেকারণে বিলে প্রতিস্বাক্ষর করে বেতন বোনাস তোলার আশু ব্যবস্থা গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন।

সূর্যদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার আব্দুল মালেক মন্ডল বলেন, আমার  বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। একজন জনপ্রতিনিধির রোষাণলে পড়েছেন তিনি। মূলত তার কথাতেই এসব হচ্ছে। আমি স্বাক্ষর আনতে ইউএনও অফিসে গেলে আমাকে হেনস্তা করাসহ মামলা দিয়ে গ্রেপ্তারও করতে পারে- এমন আশঙ্কা করছেন তিনি। সুপার বলেন, মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীরা এই বেতনের উপর নির্ভরশীল। বেতন না পাওয়ায় তাদের ঈদের আনন্দ থাকবে না।

কালুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো. সজীব বলেন, মাদ্রাসার সুপারকে সাত দিন ধরে ডাকা হচ্ছে। তিনি আসছেন না। তিনি এলেই প্রতিস্বাক্ষর করে দেওয়া হবে। তার কাগজ স্বাক্ষর করবো তিনি না এলে স্বাক্ষর করবো কীভাবে। তিনি (মাদ্রাসা সুপার) সর্বশেষ বলেছেন আপনি সই করে দেন আমি যেতে পারব না।

ইউএনও বলেন, তার ভয়ের কারণ কী সেটা আমি জানিনা। চাইলেই কি কাউকে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার যায়? তিনি স্থানীয়ভাবে দ্ব›দ্ব ফ্যাসাদে জড়িয়ে পড়া মানুষ। একারণে হয়তো তিনি ভয় পান। তার বিল সে নেবে এজন্য তো তাকে আসতে হবে।

রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান বলেন, সূর্যদিয়া দাখিল মাদ্রাসার একটি লিখিত আবেদন পাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তাদের ইউএনও’র কাছে যাওয়ার কথা। কিন্তু ইউএনওর কাছে যায়নি। ইউএনওকে আবার লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছে। এডিসি সাহেব তাদের ইউএনও’র কাছে যেতে বলেছিলেন। গেলেই স্বাক্ষর করে দেবে। সর্বশেষ গেছে কীনা তা জানা নেই।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

ইউএনও প্রতিস্বাক্ষর না করায়

কালুখালীর সূর্যদিয়া দাখিল মাদ্রাসার ১৬জন শিক্ষক-কর্মচারী পাননি বেতন বোনাস

প্রকাশের সময় : ০৭:৪১:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ জুন ২০২৩

রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার সূর্যদিয়া দাখিল মাদ্রাসার ১৬ জন শিক্ষক-কর্মচারী বেতন ও ঈদের বোনাস পাননি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কালুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রতি স্বাক্ষর না করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। মাদ্রাসার সুপার আব্দুল মালেক মন্ডল প্রতি স্বাক্ষরের জন্য গত রোববার রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। তবে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত তিনি স্বাক্ষর করেননি বলে জানা গেছে। ইউএনও বলছেন, সুপার তার কার্যালয়ে না আসায় স্বাক্ষর হয়নি।

লিখিত আাবেদনে সুপার আব্দুল মালেক মন্ডল উল্লেখ করেছেন, সূর্যদিয়া দাখিল মাদ্রাসার মে মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস বিলে কালুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রতিস্বাক্ষর না করায় ১৬ জন শিক্ষক-কর্মচারীর পরিবারে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ম্যানেজার জানিয়েছেন জুন ফাইনালের টাকা ফেরত গেলে ওই টাকা ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। সেকারণে বিলে প্রতিস্বাক্ষর করে বেতন বোনাস তোলার আশু ব্যবস্থা গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন।

সূর্যদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার আব্দুল মালেক মন্ডল বলেন, আমার  বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। একজন জনপ্রতিনিধির রোষাণলে পড়েছেন তিনি। মূলত তার কথাতেই এসব হচ্ছে। আমি স্বাক্ষর আনতে ইউএনও অফিসে গেলে আমাকে হেনস্তা করাসহ মামলা দিয়ে গ্রেপ্তারও করতে পারে- এমন আশঙ্কা করছেন তিনি। সুপার বলেন, মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীরা এই বেতনের উপর নির্ভরশীল। বেতন না পাওয়ায় তাদের ঈদের আনন্দ থাকবে না।

কালুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো. সজীব বলেন, মাদ্রাসার সুপারকে সাত দিন ধরে ডাকা হচ্ছে। তিনি আসছেন না। তিনি এলেই প্রতিস্বাক্ষর করে দেওয়া হবে। তার কাগজ স্বাক্ষর করবো তিনি না এলে স্বাক্ষর করবো কীভাবে। তিনি (মাদ্রাসা সুপার) সর্বশেষ বলেছেন আপনি সই করে দেন আমি যেতে পারব না।

ইউএনও বলেন, তার ভয়ের কারণ কী সেটা আমি জানিনা। চাইলেই কি কাউকে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার যায়? তিনি স্থানীয়ভাবে দ্ব›দ্ব ফ্যাসাদে জড়িয়ে পড়া মানুষ। একারণে হয়তো তিনি ভয় পান। তার বিল সে নেবে এজন্য তো তাকে আসতে হবে।

রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান বলেন, সূর্যদিয়া দাখিল মাদ্রাসার একটি লিখিত আবেদন পাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তাদের ইউএনও’র কাছে যাওয়ার কথা। কিন্তু ইউএনওর কাছে যায়নি। ইউএনওকে আবার লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছে। এডিসি সাহেব তাদের ইউএনও’র কাছে যেতে বলেছিলেন। গেলেই স্বাক্ষর করে দেবে। সর্বশেষ গেছে কীনা তা জানা নেই।