Dhaka ১০:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
হলুদ পানিকে তেল বলে বিক্রি!

 জনতার হাতে ধরা পড়ে ৯৯৯ এ ফোন প্রতারকের

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশের সময় : ০৯:২৮:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ এপ্রিল ২০২৩
  • / ১১২১ জন সংবাদটি পড়েছেন

এনজিও কর্মকর্তা পরিচয়ে গ্রামের সহজ সরল নারীদের সদস্য বানিয়ে কমদামে তেল সরবরাহের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করতো শাজাহান ওরফে রাজু ব্যাপারী। এভাবে প্রতারণা করতে গিয়ে জনতার হাতে ধরা পড়ার পর নিজেকে বাঁচাতে ৯৯৯ এ কল করে। পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এসময় তার কাছ থেকে পানি ও তেল ভর্তি সাতটি ড্রাম উদ্ধার করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বিকেলে রাজবাড়ী সদর উপজেলার আলীপুর গ্রামে। গ্রেপ্তার রাজু ব্যাপারী রাজবাড়ী সদর উপজেলার শহীদওহাবপুর ইউনিয়নের রূপপুর গ্রামের জব্বার ব্যাপারীর ছেলে।

রাজবাড়ী সদর থানা সূত্র জানায়, রাজু ব্যাপারী ‘আতিক লিমিটেড’ নামক একটি এনজিওর কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে একশ টাকা কেজি দরে সয়াবিন তেল বিক্রি করার প্রলোভন দেখিয়ে গ্রামের সহজ সরল নারীদের ১০ টাকার বিনিময়ে সদস্য করে। গত ২২ মার্চ তারিখে পাচুরিয়া ইউনিয়নের জগতপুর গ্রামের ওই নারী সদস্যদের কাছে হলুদ মেশানো ৩০ লিটার পানি সয়াবিন তেল বলে বিক্রি করে। শনিবার বিকেলের দিকে একই কায়দার সয়াবিন তেল বিক্রি করতে গেলে রাশিদা বেগম নামে এক নারী তার ড্রামের তেল পরখ করে দেখতে চান। প্রতারক রাজু দেখাতে অস্বীকৃতি জানালে রাশিদা বেগম লোকজন ডেকে তাকে আটক করে। এসময় রাজু নিজেকে বাঁচাতে ৯৯৯ এ কল করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আটক করে। এসময় ৩০ লিটারের সাতটি ড্রাম জব্দ করা হয়। যার মধ্যে চারটিতে পানি ও তিনটিতে তেল পাওয়া গেছে।

এদিকে প্রতারণার শিকার পাঁচুরিয়া ইউনিয়নের জগতপুর গ্রামের বিউটি বেগম, ছালেহা বেগমসহ কয়েকজন জানান,  রাজু তাদের এলাকার ২৩ জন নারীকে সদস্য বানিয়ে একটি ফেসবুক গ্রæপ করেছে। সবাইকে নাকি সেলাই প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। রাজু বলেছিল তাদের আতিক কোম্পানি লিমিটেড থেকে একশ টাকা লিটার দরে সয়াবিন তেল দেওয়া হবে। এ কথা বলে আমাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ১০ লিটার তেল বাবদ দুই হাজার টাকা করে আদায় করেছে। তেলের বদলে সে দিয়েছে হলুদ মেশানো পানি। বিষয়টি প্রথমে তারা কেউ বুঝতে পারেননি।

রাজবাড়ী সদর থানার ওসি শাহাদত হোসেন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাজু ব্যাপারী তার প্রতারণার কথা স্বীকার করেছে। এব্যাপারে ভুক্তভোগী রাশিদা বেগম বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। তাকে রাজবাড়ীর আদালতে চালান করা হয়েছে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

হলুদ পানিকে তেল বলে বিক্রি!

 জনতার হাতে ধরা পড়ে ৯৯৯ এ ফোন প্রতারকের

প্রকাশের সময় : ০৯:২৮:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ এপ্রিল ২০২৩

এনজিও কর্মকর্তা পরিচয়ে গ্রামের সহজ সরল নারীদের সদস্য বানিয়ে কমদামে তেল সরবরাহের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করতো শাজাহান ওরফে রাজু ব্যাপারী। এভাবে প্রতারণা করতে গিয়ে জনতার হাতে ধরা পড়ার পর নিজেকে বাঁচাতে ৯৯৯ এ কল করে। পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এসময় তার কাছ থেকে পানি ও তেল ভর্তি সাতটি ড্রাম উদ্ধার করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বিকেলে রাজবাড়ী সদর উপজেলার আলীপুর গ্রামে। গ্রেপ্তার রাজু ব্যাপারী রাজবাড়ী সদর উপজেলার শহীদওহাবপুর ইউনিয়নের রূপপুর গ্রামের জব্বার ব্যাপারীর ছেলে।

রাজবাড়ী সদর থানা সূত্র জানায়, রাজু ব্যাপারী ‘আতিক লিমিটেড’ নামক একটি এনজিওর কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে একশ টাকা কেজি দরে সয়াবিন তেল বিক্রি করার প্রলোভন দেখিয়ে গ্রামের সহজ সরল নারীদের ১০ টাকার বিনিময়ে সদস্য করে। গত ২২ মার্চ তারিখে পাচুরিয়া ইউনিয়নের জগতপুর গ্রামের ওই নারী সদস্যদের কাছে হলুদ মেশানো ৩০ লিটার পানি সয়াবিন তেল বলে বিক্রি করে। শনিবার বিকেলের দিকে একই কায়দার সয়াবিন তেল বিক্রি করতে গেলে রাশিদা বেগম নামে এক নারী তার ড্রামের তেল পরখ করে দেখতে চান। প্রতারক রাজু দেখাতে অস্বীকৃতি জানালে রাশিদা বেগম লোকজন ডেকে তাকে আটক করে। এসময় রাজু নিজেকে বাঁচাতে ৯৯৯ এ কল করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আটক করে। এসময় ৩০ লিটারের সাতটি ড্রাম জব্দ করা হয়। যার মধ্যে চারটিতে পানি ও তিনটিতে তেল পাওয়া গেছে।

এদিকে প্রতারণার শিকার পাঁচুরিয়া ইউনিয়নের জগতপুর গ্রামের বিউটি বেগম, ছালেহা বেগমসহ কয়েকজন জানান,  রাজু তাদের এলাকার ২৩ জন নারীকে সদস্য বানিয়ে একটি ফেসবুক গ্রæপ করেছে। সবাইকে নাকি সেলাই প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। রাজু বলেছিল তাদের আতিক কোম্পানি লিমিটেড থেকে একশ টাকা লিটার দরে সয়াবিন তেল দেওয়া হবে। এ কথা বলে আমাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ১০ লিটার তেল বাবদ দুই হাজার টাকা করে আদায় করেছে। তেলের বদলে সে দিয়েছে হলুদ মেশানো পানি। বিষয়টি প্রথমে তারা কেউ বুঝতে পারেননি।

রাজবাড়ী সদর থানার ওসি শাহাদত হোসেন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাজু ব্যাপারী তার প্রতারণার কথা স্বীকার করেছে। এব্যাপারে ভুক্তভোগী রাশিদা বেগম বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। তাকে রাজবাড়ীর আদালতে চালান করা হয়েছে।