Dhaka ০২:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
যুবলীগ চেয়ারম্যান ফজলে শামস পরশ

সাংগঠনিক পদকে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের হাতিয়ার বানাবেন না

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৫২:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মার্চ ২০২৩
  • / ১০৯৮ জন সংবাদটি পড়েছেন

 বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, সাংগঠনিক পদ শুধুমাত্র সাংগঠনিক কাজেই ব্যবহার করবেন। সাংগঠনিক পদ ব্যক্তিগত পকেট ভারি করার বস্তু নয়। ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করার জন্য না। এই পদ পদবী কোনো চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি বা অবৈধ উপার্জনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করবেন না।

শনিবার রাজবাড়ী শহীদ খুশী রেলওয়ে ময়দানে রাজবাড়ী জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি সংগঠনের কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি এ নির্দেশনা দেন। এর আগে তিনি বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের শুভ উদ্বোধন করেন।

তিনি বলেন, নিজের কথা ভাবার আগে দলের কথা ভাববেন। ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে রাজনীতি করতে হবে। ত্যাগী, পরীক্ষিত নেতাদের মধ্য থেকেই নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে। কোনো মাদক ব্যবসায়ী, ভ‚মিদস্যু কাউকে নেতৃত্ব দেওয়া হবেনা। যুবলীগ আজ মানবিক সংগঠনে পরিণত হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আপনারাই একদিন দেশকে নেতৃত্ব দেবেন। এজন্য রাজপথে স্বাধীনতা বিরোধী জামাত-শিবিরকে মোকাবেলা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সকল ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করে আগামীতে ক্ষমতায় আনতে হবে। যুবলীগকে সাধারণ মানুষের মাঝে যেতে হবে।

তিনি আরও বলেন, শুধু নতুন নেতৃত¦ সৃষ্টি করাই প্রধান উদ্দেশ্য নয়। একই সাথে রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তনের প্রত্যয় নিতে হবে। আত্মকেন্দ্রিক রাজনীতি থেকে বেরিয়ে নিজের পকেট ভারি করার প্রবণতা পরিহার করে দুর্নীতিমুক্ত রাজনীতি গড়তে হবে। চাঁদাবাজি, দখলবাজি বন্ধ করতে হবে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে সফলতা ও সম্মান এনে দিয়েছেন। এ অর্জন ধরে রাখতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার অর্জন সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে।

আমাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। সামনে যে দিন আসছে সেখানে দক্ষতার কোনো বিকল্প নেই। নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে যুবসমাজকে যুব শক্তিতে রূপান্তর করতে হবে।

বিএনপি-জামাতের রাজনীতি সম্পর্কে বলেন, বিএনপি জামাত ভন্ড এবং প্রতারকদের সংগঠন। খালেদা জিয়া এতিমদের টাকা আত্মসাৎ করে এখন দন্ডিত আসামি। তারেক জিয়া দন্ডিত আসামি। তারা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ। দুর্নীতির ব্যাপারে আমাদের ছবক দেওয়া তাদের শোভা পায়না। বিএনপি জামাত এদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে চায়।

সম্মেলনে সম্মানিত বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান। তার বক্তৃতায় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানই বঙ্গবন্ধুর মূল হত্যাকারী। কর্ণেল ফারুক, রশীদ সেই সাক্ষ্য দিয়েছে। জিয়ার কাছে খুনীরা যখন হত্যার প্রস্তাব নিয়ে যায় জিয়া কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে তাদেরকে এগিয়ে যেতে বলেন। বিএনপি আবার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমরা মাঠে খেলতে চাই। এ খেলায় আমরাই জিতব। তিনি বলেন, পরশের নির্দেশনা মেনে যুবলীগ চললে দেশের সেরা যুব সংগঠন হবে যুবলীগ।

 প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তৃতা করেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান খান নিখিল।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিল্লুল হাকিম এমপি, রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি কাজী কেরামত আলী এমপি, রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আকবর আলী মর্র্জি, রেজাউল হক, রাজবাড়ী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল মোর্শেদ আরুজ, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সালমা চৌধুরী রুমা, খোদেজা আক্তার নাসরীন, যুবলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু মুনির মো. শহিদুল হক রাসেল, কার্যনির্র্বাহী সদস্য হারুন অর রশীদ, ইয়াসির আরাফাত রামিম, রেজা-ই-রাব্বি প্রমুখ। এছাড়া সম্মেলনের বিশেষ অতিথি রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে থাকায় তার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কাজী ইরাদত আলীর ছেলে রাকিবুল হোসেন শান্তনু।

সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন রাজবাড়ী জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জহুরুল ইসলাম।

সভার শুরুতে রাজবাড়ী জেলা যুবলীগের প্রয়াত নেতাদের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব করে তাঁদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

প্রথম অধিবেশন সঞ্চালনা করেন জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহŸায়ক আবুল শিকদার ও শাহ মো. জাহাঙ্গীর জলিল।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

যুবলীগ চেয়ারম্যান ফজলে শামস পরশ

সাংগঠনিক পদকে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের হাতিয়ার বানাবেন না

প্রকাশের সময় : ০৮:৫২:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মার্চ ২০২৩

 বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, সাংগঠনিক পদ শুধুমাত্র সাংগঠনিক কাজেই ব্যবহার করবেন। সাংগঠনিক পদ ব্যক্তিগত পকেট ভারি করার বস্তু নয়। ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করার জন্য না। এই পদ পদবী কোনো চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি বা অবৈধ উপার্জনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করবেন না।

শনিবার রাজবাড়ী শহীদ খুশী রেলওয়ে ময়দানে রাজবাড়ী জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি সংগঠনের কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি এ নির্দেশনা দেন। এর আগে তিনি বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের শুভ উদ্বোধন করেন।

তিনি বলেন, নিজের কথা ভাবার আগে দলের কথা ভাববেন। ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে রাজনীতি করতে হবে। ত্যাগী, পরীক্ষিত নেতাদের মধ্য থেকেই নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে। কোনো মাদক ব্যবসায়ী, ভ‚মিদস্যু কাউকে নেতৃত্ব দেওয়া হবেনা। যুবলীগ আজ মানবিক সংগঠনে পরিণত হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আপনারাই একদিন দেশকে নেতৃত্ব দেবেন। এজন্য রাজপথে স্বাধীনতা বিরোধী জামাত-শিবিরকে মোকাবেলা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সকল ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করে আগামীতে ক্ষমতায় আনতে হবে। যুবলীগকে সাধারণ মানুষের মাঝে যেতে হবে।

তিনি আরও বলেন, শুধু নতুন নেতৃত¦ সৃষ্টি করাই প্রধান উদ্দেশ্য নয়। একই সাথে রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তনের প্রত্যয় নিতে হবে। আত্মকেন্দ্রিক রাজনীতি থেকে বেরিয়ে নিজের পকেট ভারি করার প্রবণতা পরিহার করে দুর্নীতিমুক্ত রাজনীতি গড়তে হবে। চাঁদাবাজি, দখলবাজি বন্ধ করতে হবে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে সফলতা ও সম্মান এনে দিয়েছেন। এ অর্জন ধরে রাখতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার অর্জন সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে।

আমাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। সামনে যে দিন আসছে সেখানে দক্ষতার কোনো বিকল্প নেই। নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে যুবসমাজকে যুব শক্তিতে রূপান্তর করতে হবে।

বিএনপি-জামাতের রাজনীতি সম্পর্কে বলেন, বিএনপি জামাত ভন্ড এবং প্রতারকদের সংগঠন। খালেদা জিয়া এতিমদের টাকা আত্মসাৎ করে এখন দন্ডিত আসামি। তারেক জিয়া দন্ডিত আসামি। তারা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ। দুর্নীতির ব্যাপারে আমাদের ছবক দেওয়া তাদের শোভা পায়না। বিএনপি জামাত এদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে চায়।

সম্মেলনে সম্মানিত বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান। তার বক্তৃতায় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানই বঙ্গবন্ধুর মূল হত্যাকারী। কর্ণেল ফারুক, রশীদ সেই সাক্ষ্য দিয়েছে। জিয়ার কাছে খুনীরা যখন হত্যার প্রস্তাব নিয়ে যায় জিয়া কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে তাদেরকে এগিয়ে যেতে বলেন। বিএনপি আবার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমরা মাঠে খেলতে চাই। এ খেলায় আমরাই জিতব। তিনি বলেন, পরশের নির্দেশনা মেনে যুবলীগ চললে দেশের সেরা যুব সংগঠন হবে যুবলীগ।

 প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তৃতা করেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান খান নিখিল।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিল্লুল হাকিম এমপি, রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি কাজী কেরামত আলী এমপি, রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আকবর আলী মর্র্জি, রেজাউল হক, রাজবাড়ী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল মোর্শেদ আরুজ, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সালমা চৌধুরী রুমা, খোদেজা আক্তার নাসরীন, যুবলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু মুনির মো. শহিদুল হক রাসেল, কার্যনির্র্বাহী সদস্য হারুন অর রশীদ, ইয়াসির আরাফাত রামিম, রেজা-ই-রাব্বি প্রমুখ। এছাড়া সম্মেলনের বিশেষ অতিথি রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে থাকায় তার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কাজী ইরাদত আলীর ছেলে রাকিবুল হোসেন শান্তনু।

সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন রাজবাড়ী জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জহুরুল ইসলাম।

সভার শুরুতে রাজবাড়ী জেলা যুবলীগের প্রয়াত নেতাদের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব করে তাঁদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

প্রথম অধিবেশন সঞ্চালনা করেন জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহŸায়ক আবুল শিকদার ও শাহ মো. জাহাঙ্গীর জলিল।