Dhaka ০৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

অপসারণ করা হোক রাঙ্গাবালীর সব বাঁধ

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ১০:৩৮:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ১২২৫ জন সংবাদটি পড়েছেন

প্রথম আলোর প্রতিবেদন জানাচ্ছে, চর ইমারশন খাল দিয়ে একসময় বড় বড় নৌকা চলাচল করত। ব্যবসায়ীরা মালামাল নৌকা বোঝাই করে নিয়ে আসতেন। এখন ১০ বছরের বেশি সময় ধরে সরকারি খালটি কিছু ব্যক্তির দখলে চলে গেছে। অন্তত ১০টি স্থানে বাঁধ দিয়ে দখল করে তাঁরা মাছ চাষ করছেন।

বন্ধ হয়ে গেছে খালের পানিপ্রবাহ। শুষ্ক মৌসুমে কৃষকদের সেচকাজে পানি ব্যবহার করতেও দেওয়া হচ্ছে না। যেমন সামনে তরমুজ চাষ নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন কৃষকেরা। এ ছাড়া বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন দুই পাড়ের বাসিন্দারা। দুই পাড়ে অন্তত ৮০ একর ফসলি খেত আছে। জলাবদ্ধতার কারণে এসব খেত ডুবে গিয়েও ফসলের ক্ষতি হচ্ছে।

বাঁধ অপসারণ করে একসময়ের খরস্রোতা খালটি রক্ষা করতে এবং পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক করতে ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দারা কৃষি বিভাগের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন। রাঙ্গাবালী উপজেলার কৃষি অফিসের বক্তব্য, খালটি তাদের আওতায় রয়েছে।

খালের সব বাঁধ অপসারণের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হবে। আমাদের প্রশ্ন, এত দিন তাঁরা কী করছিলেন? উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বলছেন, বাঁধ অপসারণসহ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই কাজটি কখন করা হবে, তা দেখার অপেক্ষায় আমরা।

ঝালকাঠি শহরের বাঁশপট্টি খাল নিয়েও আমাদের উদ্বিগ্ন হতে হয়। শহরের উদ্বোধন মাধ্যমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন খালটি পৌরসভার আবর্জনার আস্তাকুঁড়ে পরিণত হয়েছে। আবর্জনার দুর্গন্ধে বিদ্যালয়টির পড়াশোনার পরিবেশের ব্যাঘাত ঘটছে।

শহরের কোথাও ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান বা ডাস্টবিন না থাকায় খালটির এ করুণ অবস্থা। বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েও ভোগান্তি তৈরি হয়। পৌরসভাটির বর্জ্য অব্যবস্থাপনার কারণে ঐতিহ্যবাহী খালটি কোথাও ছোট নালায় পরিণত হয়েছে।

পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ও পৌর মেয়রের এমন দায়িত্বহীনতায় আমরা ক্ষোভ প্রকাশ করছি। বর্জ্যব্যবস্থাপনা গড়ে তুলে দ্রুত খালটির প্রাণ ফিরিয়ে আনা হোক।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

অপসারণ করা হোক রাঙ্গাবালীর সব বাঁধ

প্রকাশের সময় : ১০:৩৮:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২

প্রথম আলোর প্রতিবেদন জানাচ্ছে, চর ইমারশন খাল দিয়ে একসময় বড় বড় নৌকা চলাচল করত। ব্যবসায়ীরা মালামাল নৌকা বোঝাই করে নিয়ে আসতেন। এখন ১০ বছরের বেশি সময় ধরে সরকারি খালটি কিছু ব্যক্তির দখলে চলে গেছে। অন্তত ১০টি স্থানে বাঁধ দিয়ে দখল করে তাঁরা মাছ চাষ করছেন।

বন্ধ হয়ে গেছে খালের পানিপ্রবাহ। শুষ্ক মৌসুমে কৃষকদের সেচকাজে পানি ব্যবহার করতেও দেওয়া হচ্ছে না। যেমন সামনে তরমুজ চাষ নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন কৃষকেরা। এ ছাড়া বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন দুই পাড়ের বাসিন্দারা। দুই পাড়ে অন্তত ৮০ একর ফসলি খেত আছে। জলাবদ্ধতার কারণে এসব খেত ডুবে গিয়েও ফসলের ক্ষতি হচ্ছে।

বাঁধ অপসারণ করে একসময়ের খরস্রোতা খালটি রক্ষা করতে এবং পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক করতে ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দারা কৃষি বিভাগের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন। রাঙ্গাবালী উপজেলার কৃষি অফিসের বক্তব্য, খালটি তাদের আওতায় রয়েছে।

খালের সব বাঁধ অপসারণের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হবে। আমাদের প্রশ্ন, এত দিন তাঁরা কী করছিলেন? উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বলছেন, বাঁধ অপসারণসহ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই কাজটি কখন করা হবে, তা দেখার অপেক্ষায় আমরা।

ঝালকাঠি শহরের বাঁশপট্টি খাল নিয়েও আমাদের উদ্বিগ্ন হতে হয়। শহরের উদ্বোধন মাধ্যমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন খালটি পৌরসভার আবর্জনার আস্তাকুঁড়ে পরিণত হয়েছে। আবর্জনার দুর্গন্ধে বিদ্যালয়টির পড়াশোনার পরিবেশের ব্যাঘাত ঘটছে।

শহরের কোথাও ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান বা ডাস্টবিন না থাকায় খালটির এ করুণ অবস্থা। বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েও ভোগান্তি তৈরি হয়। পৌরসভাটির বর্জ্য অব্যবস্থাপনার কারণে ঐতিহ্যবাহী খালটি কোথাও ছোট নালায় পরিণত হয়েছে।

পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ও পৌর মেয়রের এমন দায়িত্বহীনতায় আমরা ক্ষোভ প্রকাশ করছি। বর্জ্যব্যবস্থাপনা গড়ে তুলে দ্রুত খালটির প্রাণ ফিরিয়ে আনা হোক।