Dhaka ০৯:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে জুয়ার ফাঁদে ফেলে লুটে নিচ্ছে যাত্রীদের সর্বস্ব

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৮:২৮:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / ১৬২৫ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন  দেশের ব্যস্ততম দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে চলাচলকারী ফেরিগুলোতে মধ্যরাতে নিয়মিত জুয়ার আসর বসিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুটে নিচ্ছে জুয়াড়ি নামের একাধিক চক্র। জুয়া খেলার ফাঁকে ফাঁকে এ সকল চক্র হয়ে ওঠে ছিনতাইকারী। জুয়ার ফাঁদে পড়ে সর্বস্ব খোয়ানো যাত্রীরা ঝামেলা এড়াতে এটি নিছক দূর্ঘটনা মনে করে থানা পুলিশ বা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ না করেই গন্তব্যে চলে যান। আর এ জন্যই জুয়াড়ি চক্রগুলির কার্যক্রম কখনই বন্ধ হয় না।

জানা যায়, দেশের গুরুত্বপুর্ন দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে চলাচলকারী ফেরিতে প্রতি রাতে ২শতাধিক নৈশ কোচসহ সহ¯্রাধিক যানবাহন পারাপার হয়ে থাকে। এ সকল যানাহনের হাজার হাজার যাত্রীর পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নেই বললেই চলে। নিরাপত্তার দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে এ নৌরুটে সক্রিয় স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় অন্তত তিনটি জুয়াড়ু চক্র। এই চক্রের সদস্য সংখ্যা অন্তত ২০/২৫ জন বলে অনুসন্ধানে জানাগেছে।

রাতে চলাচলকারী ফেরিতে জুয়ার আসর বসিয়ে দক্ষিনাঞ্চলের যাতায়াতকারী মানুষকে নিঃস্ব করার বিষয়ে প্রায় সপ্তাহখানেকের অনুসন্ধানে জানা যায়, গত মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে আসা রোরো ফেরি শাহ জালালের উপর থেকে স্পষ্ট শোনা যাচ্ছিলো একটি শব্দ তা হলো ‘লাগলেই ডাবল, লাগলেই ডাবল’। কাছাকাছি গিয়ে দেখা যায় ৫-৬জন ব্যক্তি ফেরির ডেকের উপর বাতি জ্বালিয়ে তাস দিয়ে জুয়ার আসর বসিয়েছেন। লোভে পড়ে খেলায় অংশগ্রহন করে টাকা দিয়ে সর্বশান্ত হচ্ছেন একের পর এক যাত্রী। আধা ঘন্টা ধরে একাধারে চলে এ আসর। এ সময় ঈগল পরিহনের সাতক্ষীরাগামীযাত্রি আলমগীর হোসেন বলেন, আমি এ চক্রের প্রলোভনে পরে তিন বারে পনের হাজার টাকা হেরেছি। প্রথমে দু’একবার জিতিয়ে দিয়ে তারপর থেকে সর্বশান্ত করে ফেলে এরা। দু’এক বার জেতার পর খেলা বাদ দিতে চাইলে তারা জোরপূর্বক খেলতে বাধ্য করে। এগুলোর বন্ধ করা প্রয়োজন। আধা ঘন্টা পরে ফেরি দৌলতদিয়া পাচ নম্বর ফেরি ঘাটে এসে ভীরলে বাতি নিভিয়ে ফেরিতে মুহুর্তেই উধাও তারা। কিছুক্ষন পর ফেরিটি আবার যানবাহন বোঝাই করে পাটুরিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার পূর্ব মুহুর্তে হুরোহুরি করে ওই ফেরিতে উঠে গেলেন ওই একই ব্যাক্তিরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফেরিতে হকারী করা ব্যক্তিরা জানান, ফেরির জুয়া খেলা আজ নতুন নয়! বিষয়টি চলে আসছে দীর্ঘ দিন ধরে। প্রশাসন আগে অভিযান চালালেও এখন আর অভিযান চালান না। একটি সময় দৌলতদিয়া সাইনবোর্ড এলাকার একটি চক্র এর নিয়ন্ত্রন করলেও এখন নিয়ন্ত্রন করছে তিনটি চক্র। এই তিন চক্রের সদস্য সংখ্যা কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ জন বলে দাবী করেন তিনি।

এর আগে রাত সাড়ে ১১টার দিকে পাটুরিয়া ঘাট থেকে একটি রোরো ফেরি ছেড়ে ৫শ গজ দুরে যেতেই মাদুর, দুইটি কুপি বাতি নিয়ে ৬-৭ জন জুয়াড়ি দুইটি বাসের মাঝে থাকা ফাঁকা জায়গায় মাদুর বিছিয়ে বসে নিজেরাই তাস খেলা শুরু করে। মধ্যরাতে দুই বাসের মাঝখানে কয়েক জনকে বসা দেখে বাসের অনেক যাত্রীই সেখানে যান। জুয়াড়িদের মধ্য থেকেই একজন টাকা জিতে যাত্রীদের খেলায় উদ্বুদ্ধ করে। দু’একজন যাত্রী লোভে পড়ে খেলায় অংশ নেয়। খেলা শেষ হোক, আর নাই হোক, ফেরিটি দৌলতদিয়া ঘাটের কাছাকাছি চলে আসলেই জুয়াড়িদল সেখানে উপস্থিত যাত্রীদের কাছ থেকে জোর করে টাকা পয়সা নিয়ে নেমে যায়। রাত দুইটার দিকে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া পাটুরিয়াগামী অপর ফেরিতেও একই কায়দায় চলল জুয়াড়িদের লুটপাট। প্রতি রাত ১১টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত ফেরিতে পার হওয়া ঢাকা-দক্ষিণাঞ্চল-ঢাকাগামী কয়েকশ নৈশ কোচের যাত্রীদের কাছ থেকে নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিচ্ছে সংঘবদ্ধ চক্র গুলি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন নৈশ কোচ চালক বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ ফাঁড়ির পুলিশ টহল না থাকার কারণেই ফেরিতে জুয়াড়ি চক্র প্রতিরাতে যাত্রীদের সব কিছু ছিনিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। কালেভদ্রে যদি কোনো প্রভাবশালী মানুষ যদি এদের কবলে পড়েন, তাহলে দু-একজনকে আটক করে পুলিশ। এরপরও বন্ধ হয় না লুটপাটের এ খেলা।

একাধিক ফেরি মাষ্টার জানান, প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় সক্রিয় এ সব চক্র। তাই তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায় না অনেকেই।

দৌলতদিয়া ঘাটের নৌ পুলিশ ফাঁড়ি সুত্রে জানা যায়, ফেরিতে জুয়ারীরা সক্রিয় থাকায় গত মাসে (জানুয়ারী)  তিনটি আলাদা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলায় ১৬ জনকে আসামী করা হয়েছে। যাদের মধ্যে অনেকে গ্রেপ্তার হয়ে জামিনে বের হয়ে এসে আবার এই কাজ শুরু করেছে।

দৌলতদিয়া ঘাট নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ওসি মো. জাকির হোসেন জানান, জনবল সংকটের কারণে চলাচলকারী সকল ফেরিতে পুলিশী প্রহরা দেয়া সম্ভব হয় না। তবে পুলিশের একটি দল সন্দেহজনক ফেরিতে নিরাপত্তা প্রদান করে থাকে। কিন্তু জুয়ারী চক্র যে ফেরিতে পুলিশ থাকে সেটি এড়িয়ে যে ফেরিতে পুলিশ থাকে না সেই ফেরিতে এ সকল অপকর্ম করে থাকে। তিনি আরো বলেন, ফেরিতে জুয়ারী চক্রের বর্তমান সদস্যদের তালিকায় সাইনবোর্ড এলাকার জামাল, শাহাদাৎ মেম্বার পাড়া এলাকার লালন মোল্লার ছেলে শাহজাহান মোল্লা,  টাওয়ার এর পেছনে মোহন পিয়নের ছেলে রেজাউল করিম, উত্তর দৌলতদিয়ার ওমর আলীর ছেলে  লতিফ কাজী, বাহের চর দৌলতদিয়ার মদন কাজীর ছেলে মাদার কাজী, বাহের চর দৌলতদিয়া এলাকার  অকিল শিকদারের ছেলে হোসেন শিকদার, ইদ্রিস পাড়া এলাকার কছিমউদ্দিনের ছেলে আলাই, শাাদাৎ মেম্বার পাড়া এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে সাগর সহ অন্তত ২০ থেকে ২৫ জন সদস্য রয়েছে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে জুয়ার ফাঁদে ফেলে লুটে নিচ্ছে যাত্রীদের সর্বস্ব

প্রকাশের সময় : ০৮:২৮:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২

জনতার আদালত অনলাইন  দেশের ব্যস্ততম দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে চলাচলকারী ফেরিগুলোতে মধ্যরাতে নিয়মিত জুয়ার আসর বসিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুটে নিচ্ছে জুয়াড়ি নামের একাধিক চক্র। জুয়া খেলার ফাঁকে ফাঁকে এ সকল চক্র হয়ে ওঠে ছিনতাইকারী। জুয়ার ফাঁদে পড়ে সর্বস্ব খোয়ানো যাত্রীরা ঝামেলা এড়াতে এটি নিছক দূর্ঘটনা মনে করে থানা পুলিশ বা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ না করেই গন্তব্যে চলে যান। আর এ জন্যই জুয়াড়ি চক্রগুলির কার্যক্রম কখনই বন্ধ হয় না।

জানা যায়, দেশের গুরুত্বপুর্ন দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে চলাচলকারী ফেরিতে প্রতি রাতে ২শতাধিক নৈশ কোচসহ সহ¯্রাধিক যানবাহন পারাপার হয়ে থাকে। এ সকল যানাহনের হাজার হাজার যাত্রীর পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নেই বললেই চলে। নিরাপত্তার দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে এ নৌরুটে সক্রিয় স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় অন্তত তিনটি জুয়াড়ু চক্র। এই চক্রের সদস্য সংখ্যা অন্তত ২০/২৫ জন বলে অনুসন্ধানে জানাগেছে।

রাতে চলাচলকারী ফেরিতে জুয়ার আসর বসিয়ে দক্ষিনাঞ্চলের যাতায়াতকারী মানুষকে নিঃস্ব করার বিষয়ে প্রায় সপ্তাহখানেকের অনুসন্ধানে জানা যায়, গত মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে আসা রোরো ফেরি শাহ জালালের উপর থেকে স্পষ্ট শোনা যাচ্ছিলো একটি শব্দ তা হলো ‘লাগলেই ডাবল, লাগলেই ডাবল’। কাছাকাছি গিয়ে দেখা যায় ৫-৬জন ব্যক্তি ফেরির ডেকের উপর বাতি জ্বালিয়ে তাস দিয়ে জুয়ার আসর বসিয়েছেন। লোভে পড়ে খেলায় অংশগ্রহন করে টাকা দিয়ে সর্বশান্ত হচ্ছেন একের পর এক যাত্রী। আধা ঘন্টা ধরে একাধারে চলে এ আসর। এ সময় ঈগল পরিহনের সাতক্ষীরাগামীযাত্রি আলমগীর হোসেন বলেন, আমি এ চক্রের প্রলোভনে পরে তিন বারে পনের হাজার টাকা হেরেছি। প্রথমে দু’একবার জিতিয়ে দিয়ে তারপর থেকে সর্বশান্ত করে ফেলে এরা। দু’এক বার জেতার পর খেলা বাদ দিতে চাইলে তারা জোরপূর্বক খেলতে বাধ্য করে। এগুলোর বন্ধ করা প্রয়োজন। আধা ঘন্টা পরে ফেরি দৌলতদিয়া পাচ নম্বর ফেরি ঘাটে এসে ভীরলে বাতি নিভিয়ে ফেরিতে মুহুর্তেই উধাও তারা। কিছুক্ষন পর ফেরিটি আবার যানবাহন বোঝাই করে পাটুরিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার পূর্ব মুহুর্তে হুরোহুরি করে ওই ফেরিতে উঠে গেলেন ওই একই ব্যাক্তিরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফেরিতে হকারী করা ব্যক্তিরা জানান, ফেরির জুয়া খেলা আজ নতুন নয়! বিষয়টি চলে আসছে দীর্ঘ দিন ধরে। প্রশাসন আগে অভিযান চালালেও এখন আর অভিযান চালান না। একটি সময় দৌলতদিয়া সাইনবোর্ড এলাকার একটি চক্র এর নিয়ন্ত্রন করলেও এখন নিয়ন্ত্রন করছে তিনটি চক্র। এই তিন চক্রের সদস্য সংখ্যা কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ জন বলে দাবী করেন তিনি।

এর আগে রাত সাড়ে ১১টার দিকে পাটুরিয়া ঘাট থেকে একটি রোরো ফেরি ছেড়ে ৫শ গজ দুরে যেতেই মাদুর, দুইটি কুপি বাতি নিয়ে ৬-৭ জন জুয়াড়ি দুইটি বাসের মাঝে থাকা ফাঁকা জায়গায় মাদুর বিছিয়ে বসে নিজেরাই তাস খেলা শুরু করে। মধ্যরাতে দুই বাসের মাঝখানে কয়েক জনকে বসা দেখে বাসের অনেক যাত্রীই সেখানে যান। জুয়াড়িদের মধ্য থেকেই একজন টাকা জিতে যাত্রীদের খেলায় উদ্বুদ্ধ করে। দু’একজন যাত্রী লোভে পড়ে খেলায় অংশ নেয়। খেলা শেষ হোক, আর নাই হোক, ফেরিটি দৌলতদিয়া ঘাটের কাছাকাছি চলে আসলেই জুয়াড়িদল সেখানে উপস্থিত যাত্রীদের কাছ থেকে জোর করে টাকা পয়সা নিয়ে নেমে যায়। রাত দুইটার দিকে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া পাটুরিয়াগামী অপর ফেরিতেও একই কায়দায় চলল জুয়াড়িদের লুটপাট। প্রতি রাত ১১টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত ফেরিতে পার হওয়া ঢাকা-দক্ষিণাঞ্চল-ঢাকাগামী কয়েকশ নৈশ কোচের যাত্রীদের কাছ থেকে নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিচ্ছে সংঘবদ্ধ চক্র গুলি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন নৈশ কোচ চালক বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ ফাঁড়ির পুলিশ টহল না থাকার কারণেই ফেরিতে জুয়াড়ি চক্র প্রতিরাতে যাত্রীদের সব কিছু ছিনিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। কালেভদ্রে যদি কোনো প্রভাবশালী মানুষ যদি এদের কবলে পড়েন, তাহলে দু-একজনকে আটক করে পুলিশ। এরপরও বন্ধ হয় না লুটপাটের এ খেলা।

একাধিক ফেরি মাষ্টার জানান, প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় সক্রিয় এ সব চক্র। তাই তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায় না অনেকেই।

দৌলতদিয়া ঘাটের নৌ পুলিশ ফাঁড়ি সুত্রে জানা যায়, ফেরিতে জুয়ারীরা সক্রিয় থাকায় গত মাসে (জানুয়ারী)  তিনটি আলাদা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলায় ১৬ জনকে আসামী করা হয়েছে। যাদের মধ্যে অনেকে গ্রেপ্তার হয়ে জামিনে বের হয়ে এসে আবার এই কাজ শুরু করেছে।

দৌলতদিয়া ঘাট নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ওসি মো. জাকির হোসেন জানান, জনবল সংকটের কারণে চলাচলকারী সকল ফেরিতে পুলিশী প্রহরা দেয়া সম্ভব হয় না। তবে পুলিশের একটি দল সন্দেহজনক ফেরিতে নিরাপত্তা প্রদান করে থাকে। কিন্তু জুয়ারী চক্র যে ফেরিতে পুলিশ থাকে সেটি এড়িয়ে যে ফেরিতে পুলিশ থাকে না সেই ফেরিতে এ সকল অপকর্ম করে থাকে। তিনি আরো বলেন, ফেরিতে জুয়ারী চক্রের বর্তমান সদস্যদের তালিকায় সাইনবোর্ড এলাকার জামাল, শাহাদাৎ মেম্বার পাড়া এলাকার লালন মোল্লার ছেলে শাহজাহান মোল্লা,  টাওয়ার এর পেছনে মোহন পিয়নের ছেলে রেজাউল করিম, উত্তর দৌলতদিয়ার ওমর আলীর ছেলে  লতিফ কাজী, বাহের চর দৌলতদিয়ার মদন কাজীর ছেলে মাদার কাজী, বাহের চর দৌলতদিয়া এলাকার  অকিল শিকদারের ছেলে হোসেন শিকদার, ইদ্রিস পাড়া এলাকার কছিমউদ্দিনের ছেলে আলাই, শাাদাৎ মেম্বার পাড়া এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে সাগর সহ অন্তত ২০ থেকে ২৫ জন সদস্য রয়েছে।