Dhaka ১২:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বালিয়াকান্দিতে নির্ভুল ই-নামজারী করবে ‘অধিকার দর্পণ

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৬:০৫:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ১২৪৭ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥ ই-নামজারী ত্রুটিমুক্ত ও স্বচ্ছ করতে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উদ্যোগি হয়ে তৈরি করেছেন ‘অধিকার দপর্ণ’ নামে একটি ৪০ইঞ্চি ডিসপ্লে স্ক্রিন। যেখানে সেবা গ্রহিতারা তাদের তথ্য দেখে নিতে পারবেন। এতে করে আবেদনকারীদের হয়রানির শিকার হতে হবে না বলে মনে করছেন ভূমি সংশ্লিষ্টরা।

শনিবার বিকেলে রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম উপজেলা ভূমি অফিসে ‘অধিকার দর্পণ’ এর শুভ উদ্বোধন করেন।

উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নের পদক্ষেপ হিসেবে বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আম্বিয়া সুলতানা এর সার্বিক তত্তাবধানে উপজেলা ভূমি অফিস, বালিয়াকান্দি, রাজবাড়ী-এর সহকারী কমিশনার (ভূমি) নামজারী কার্যক্রমে শুনানী গ্রহণের স্থানে ‘অধিকার দর্পন’ স্থাপন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে শুনানীর সময় তথ্য প্রদর্শন করে সেবাগ্রহীতার কাছে স্বচ্ছ ও ভুলত্রুটিমুক্ত সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। সেই সাথে মিসকেস সৃজনের সংখ্যা হ্রাসের মাধ্যমে করণিক ভুল জাতীয় মামলাজট কমিয়ে ফেলা সম্ভব হবে।

‘অধিকার দর্পণ’ এর উদ্যোক্তা বালিয়াকান্দি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম আবু দারদা  বলেন, যোগদানের পর থেকেই ই-নামজারী সেবা গ্রহিতাদের স্বচ্ছ খতিয়ান দিতে এমন কিছু ভাবছিলাম। অবশেষে সফল হয়েছি। ই-নামজারী কার্যক্রমের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল নামজারী অনুমোদন শেষে অনুমোদিত পর্চা/খতিয়ান প্রদান। অনেক সময়ই দেখা যায় অনুমোদিত পর্চা/খতিয়ানে ভুলত্রুটি থেকে যায়। যা পরবর্তীতে সেবাগ্রহীতাকে ভোগান্তির মুখে ফেলে এবং মিসকেসের মাধ্যমে সংশোধন করতে বাধ্য করে। এতে মিসকেসের সংখ্যা বেড়ে যায়। এই সমস্যা সমাধানে একটি সহজ উপায় হলো, শুনানীকালে প্রস্তাবিত খতিয়ান/পর্চাটি অনুমোদনের আগেই আবেদনকারীকে এবং দাতা/বিবাদীকে (যদি উপস্থিত থাকে) প্রদর্শন করে নিশ্চিত হয়ে নেয়া। যাতে কোনরকম ভুল না হয়। যেমন নামের বানান, ঠিকানা, অংশ, শ্রেণি, পরিমাণ, ইত্যাদি। আধুনিক ই-নামজারী প্রক্রিয়ায় সিস্টেমে প্রস্তুতকৃত খতিয়ান/পর্চাটি খুব সহজেই বড় পর্দায়/স্ক্রিনে প্রদর্শন করা সম্ভব। ফলে প্রস্তাবিত খতিয়ানটি প্রিন্ট না করেই সেবাগ্রহীতার দ্বারা চিহ্নিত কোন সংশোধন থাকলে আমি নিজেই তাৎক্ষণিক সংশোধন করে অনুমোদন দিতে পারবো। এর ফলে ভবিষ্যতে আবেদনকারীর হয়রানির শিকার হতে হবে না। মিসকেস এর মাধ্যমে সংশোধনের আবেদন করতে হবে না।

উদ্বোধনের পর রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম বলেন, ‘এটি খুব ভালো আইডিয়া। ই-নামজারীর খতিয়ান ভুল থাকলে পরবর্তীতে বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি হয়। নিজস্ব উদ্যোগে বালিয়াকান্দি ভূমি অফিস ‘অধিকার দপর্ণ’ নামক যে স্ক্রিনটি সেটা করা হয়েছে, সেখানে সেবাগ্রহিতারা শুনানীকালে তাদের তথ্য দেখে নিতে পারবেন। এটা থেকে সেবা প্রত্যাশীরা তাদের স্বচ্ছ  ই-নামজারী খতিয়ান/পর্চা পাবেন। ফলে ভবিষ্যতে আবেদনকারীর হয়রানির শিকার হতে হবে না।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

বালিয়াকান্দিতে নির্ভুল ই-নামজারী করবে ‘অধিকার দর্পণ

প্রকাশের সময় : ০৬:০৫:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১

জনতার আদালত অনলাইন ॥ ই-নামজারী ত্রুটিমুক্ত ও স্বচ্ছ করতে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উদ্যোগি হয়ে তৈরি করেছেন ‘অধিকার দপর্ণ’ নামে একটি ৪০ইঞ্চি ডিসপ্লে স্ক্রিন। যেখানে সেবা গ্রহিতারা তাদের তথ্য দেখে নিতে পারবেন। এতে করে আবেদনকারীদের হয়রানির শিকার হতে হবে না বলে মনে করছেন ভূমি সংশ্লিষ্টরা।

শনিবার বিকেলে রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম উপজেলা ভূমি অফিসে ‘অধিকার দর্পণ’ এর শুভ উদ্বোধন করেন।

উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নের পদক্ষেপ হিসেবে বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আম্বিয়া সুলতানা এর সার্বিক তত্তাবধানে উপজেলা ভূমি অফিস, বালিয়াকান্দি, রাজবাড়ী-এর সহকারী কমিশনার (ভূমি) নামজারী কার্যক্রমে শুনানী গ্রহণের স্থানে ‘অধিকার দর্পন’ স্থাপন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে শুনানীর সময় তথ্য প্রদর্শন করে সেবাগ্রহীতার কাছে স্বচ্ছ ও ভুলত্রুটিমুক্ত সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। সেই সাথে মিসকেস সৃজনের সংখ্যা হ্রাসের মাধ্যমে করণিক ভুল জাতীয় মামলাজট কমিয়ে ফেলা সম্ভব হবে।

‘অধিকার দর্পণ’ এর উদ্যোক্তা বালিয়াকান্দি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম আবু দারদা  বলেন, যোগদানের পর থেকেই ই-নামজারী সেবা গ্রহিতাদের স্বচ্ছ খতিয়ান দিতে এমন কিছু ভাবছিলাম। অবশেষে সফল হয়েছি। ই-নামজারী কার্যক্রমের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল নামজারী অনুমোদন শেষে অনুমোদিত পর্চা/খতিয়ান প্রদান। অনেক সময়ই দেখা যায় অনুমোদিত পর্চা/খতিয়ানে ভুলত্রুটি থেকে যায়। যা পরবর্তীতে সেবাগ্রহীতাকে ভোগান্তির মুখে ফেলে এবং মিসকেসের মাধ্যমে সংশোধন করতে বাধ্য করে। এতে মিসকেসের সংখ্যা বেড়ে যায়। এই সমস্যা সমাধানে একটি সহজ উপায় হলো, শুনানীকালে প্রস্তাবিত খতিয়ান/পর্চাটি অনুমোদনের আগেই আবেদনকারীকে এবং দাতা/বিবাদীকে (যদি উপস্থিত থাকে) প্রদর্শন করে নিশ্চিত হয়ে নেয়া। যাতে কোনরকম ভুল না হয়। যেমন নামের বানান, ঠিকানা, অংশ, শ্রেণি, পরিমাণ, ইত্যাদি। আধুনিক ই-নামজারী প্রক্রিয়ায় সিস্টেমে প্রস্তুতকৃত খতিয়ান/পর্চাটি খুব সহজেই বড় পর্দায়/স্ক্রিনে প্রদর্শন করা সম্ভব। ফলে প্রস্তাবিত খতিয়ানটি প্রিন্ট না করেই সেবাগ্রহীতার দ্বারা চিহ্নিত কোন সংশোধন থাকলে আমি নিজেই তাৎক্ষণিক সংশোধন করে অনুমোদন দিতে পারবো। এর ফলে ভবিষ্যতে আবেদনকারীর হয়রানির শিকার হতে হবে না। মিসকেস এর মাধ্যমে সংশোধনের আবেদন করতে হবে না।

উদ্বোধনের পর রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম বলেন, ‘এটি খুব ভালো আইডিয়া। ই-নামজারীর খতিয়ান ভুল থাকলে পরবর্তীতে বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি হয়। নিজস্ব উদ্যোগে বালিয়াকান্দি ভূমি অফিস ‘অধিকার দপর্ণ’ নামক যে স্ক্রিনটি সেটা করা হয়েছে, সেখানে সেবাগ্রহিতারা শুনানীকালে তাদের তথ্য দেখে নিতে পারবেন। এটা থেকে সেবা প্রত্যাশীরা তাদের স্বচ্ছ  ই-নামজারী খতিয়ান/পর্চা পাবেন। ফলে ভবিষ্যতে আবেদনকারীর হয়রানির শিকার হতে হবে না।