Dhaka ০৩:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ:
একাত্তরের চেতনা ভুলিয়ে দিতে একটি মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত : মির্জা ফখরুল তৃতীয় দিনের মতো শহীদ মিনারে প্রাথমিক শিক্ষকদের অবস্থান একনেকে ৭ হাজার ১৫০ কোটি টাকার ১২ প্রকল্প অনুমোদন তিনবার পেছানোর পর শুরু হলো আবু সাঈদ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ঢাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে গুলি করে হত্যা, যা দেখা গেল সিসিটিভিতে সাবেক জিএমপি কমিশনার নাজমুল করিম খান বরখাস্ত এবার মৎস্য উপদেষ্টার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লক্ষ্য করে দুই ককটেল বিস্ফোরণ গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ মুন্সীগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব, প্রতিপক্ষের গুলিতে একজন নিহত নিষিদ্ধ সংগঠনগুলো বিক্ষোভের চেষ্টা করলে আইনের সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ হবে

পাংশায় ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর পর পালিয়েছে ক্লিনিকের লোকেরা

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৪৭:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২১
  • / 567

জনতার আদালত অনলাইন ॥  রাজবাড়ীর পাংশায় মা ও শিশু ডায়াবেটিকস ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় হাসি বেগম নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর থেকে পালিয়েছে ক্লিনিকের লোকজন। শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। মৃত হাসি বেগম রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের ঘি কমলা গ্রামের আবুল কাশেম মন্ডলের স্ত্রী।

জানা গেছে, সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য শুক্রবার সকালে পাংশা সর্দার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত মা ও শিশু ডায়াবেটিকস ক্লিনিকে হাসি বেগমকে ভর্তি করা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে তার পুত্র সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়। আকতার হোসেন নামে একজন ডাক্তার তার অপারেশন করেছিলেন। রাত সাতটার দিকে ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় মারা যান হাসি বেগম। হাসি বেগমের মৃত্যুর খবর পেয়ে রোগীর স্বজনরা ছুটে আসেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ক্লিনিকের লোকজন পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পাংশা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্লিনিকের কাউকে না পেয়ে ক্লিনিকটি তালাবদ্ধ করে দেন। সদ্যজাত পুত্র সন্তানটি সুস্থ আছে বলে জানা গেছে।

হাসি বেগমের স্বামী আবুল কাশেম জানান, সিজারিয়ান অপারশেনের কিছুক্ষণ পর তার স্ত্রীর অবস্থা খারাপের দিকে যেতে থাকে। সে সময় তার স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ক্লিনিকের কাউকে ডেকেও পাননি।

পাংশা থানার ওসি শাহাদত হোসেন জানান, প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় রোগীর স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে উঠেছে এমন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু সেখানে ক্লিনিকের কাউকে পাওয়া যায়নি। একারণে নিরাপত্তার স্বার্থে ক্লিনিকটি তালাবদ্ধ করে চাবিটি স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর জিম্মায় রেখে আসা হয়েছে। এখন পর্যন্ত  ক্লিনিকটি তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে।

মা ও শিশু ডায়াবেটিকস ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজিজুল ইসলামের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে এক ব্যক্তি ফোন রিসিভ করে জানান, ফোন চার্জে রেখে তিনি বাইরে গেছেন। তার নাম জানতে চাইলে মিজান বলে জানান। আজিজুল ইসলামের সঙ্গে কী সম্পর্ক জানতে চাইলে জানান, কিছুই হয়না।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

পাংশায় ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর পর পালিয়েছে ক্লিনিকের লোকেরা

প্রকাশের সময় : ০৬:৪৭:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২১

জনতার আদালত অনলাইন ॥  রাজবাড়ীর পাংশায় মা ও শিশু ডায়াবেটিকস ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় হাসি বেগম নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর থেকে পালিয়েছে ক্লিনিকের লোকজন। শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। মৃত হাসি বেগম রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের ঘি কমলা গ্রামের আবুল কাশেম মন্ডলের স্ত্রী।

জানা গেছে, সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য শুক্রবার সকালে পাংশা সর্দার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত মা ও শিশু ডায়াবেটিকস ক্লিনিকে হাসি বেগমকে ভর্তি করা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে তার পুত্র সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়। আকতার হোসেন নামে একজন ডাক্তার তার অপারেশন করেছিলেন। রাত সাতটার দিকে ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় মারা যান হাসি বেগম। হাসি বেগমের মৃত্যুর খবর পেয়ে রোগীর স্বজনরা ছুটে আসেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ক্লিনিকের লোকজন পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পাংশা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্লিনিকের কাউকে না পেয়ে ক্লিনিকটি তালাবদ্ধ করে দেন। সদ্যজাত পুত্র সন্তানটি সুস্থ আছে বলে জানা গেছে।

হাসি বেগমের স্বামী আবুল কাশেম জানান, সিজারিয়ান অপারশেনের কিছুক্ষণ পর তার স্ত্রীর অবস্থা খারাপের দিকে যেতে থাকে। সে সময় তার স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ক্লিনিকের কাউকে ডেকেও পাননি।

পাংশা থানার ওসি শাহাদত হোসেন জানান, প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় রোগীর স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে উঠেছে এমন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু সেখানে ক্লিনিকের কাউকে পাওয়া যায়নি। একারণে নিরাপত্তার স্বার্থে ক্লিনিকটি তালাবদ্ধ করে চাবিটি স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর জিম্মায় রেখে আসা হয়েছে। এখন পর্যন্ত  ক্লিনিকটি তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে।

মা ও শিশু ডায়াবেটিকস ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজিজুল ইসলামের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে এক ব্যক্তি ফোন রিসিভ করে জানান, ফোন চার্জে রেখে তিনি বাইরে গেছেন। তার নাম জানতে চাইলে মিজান বলে জানান। আজিজুল ইসলামের সঙ্গে কী সম্পর্ক জানতে চাইলে জানান, কিছুই হয়না।