Dhaka ১১:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সুন্দর আগামীর প্রত্যাশায়

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৭:০০:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ জানুয়ারী ২০২১
  • / ১৪৬৫ জন সংবাদটি পড়েছেন

ডাঃসুনীল কুমার বিশ্বাস

নতুন বছরের নতুন সূর্যালোকে করবো অবগাহন হে নববর্ষ তোমাকে স্বাগত, গত একটি বছর নেই কোন অর্জন শুধুই হারিয়েছি ছিল যত। লক্ষ লক্ষ লোক করোনাক্রান্ত হয়ে অকালেই গেল ঝরে, জ্ঞানীগুণী লোক চলে গেলেন কত, তাঁদের স্থান পূরণ হবে কি করে? আজও ভয় আর আতঙ্কে কাটছে মোদের দিন, কখোন কার ডাক পড়বে আছি আশঙ্কায় তাই নেই কোন ভাবনা রঙীন। এখনো চন্দ্র সূর্য তারকারাজী উঠছে আকাশে আগের মতো, এখন শীতকাল- শীত পড়ছে আগে যেমন পড়তো। সকাল বেলায় চারিদিক ঢাকা পড়ে যায় ঘন কুয়াশায়, আমরা আচ্ছন্ন আছি কোন এক অজানা আশঙ্কায়। সুয্যি মামা উঠলেও তার দেখা পাওয়া ভার সকালে, দুপুর কিংবা তারও অনেক পরে যদি তার দেখা মেলে। একদিকে শত শত প্রাসাদ উঠছে গগন চুম্বি, অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম হয়েছে আকাশ চুম্বি। পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় এটাই হলো বাস্তবতা, সাধারণদের তাই মেনে নিতেই হবে এ সত্যতা। এখনো আগের মতো ভোরের পাখিরা গান গায়, মানুষের কন্ঠে আগের মতো ভাটিয়ালী গান নাহি শোনা যায়। গত একটি বছর ধরে হয়না কোন শোক কিংবা আনন্দানুষ্ঠান, এক জায়গায় বেশি লোকের জমায়েত হওয়া আছে যে বারণ। নদীর জল কমে গেছে এখন তবুও বহিছে কুলু-কুলু অর্হনিশ, হে নদী তুমি যে বহিছ আগের মতো তোমাকে জানাই কুর্নিশ। এখনো মাঝেমধ্যে হচ্ছে আগের মতো মৃদু কিংবা মাঝারি শৈত্য প্রবাহ, দেশ জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে নতুন এক অভিনব আবহ। করোনা ভাইরাসের নতুন প্রজন্ম আসছে ধেয়ে সস্প্রতি, এবার তার বেশি ঝোক দেখা যায় শিশু আর কমবয়সী লোকের প্রতি। স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় মাদ্রাসা বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন, লেখাপড়া হচ্ছেনা ছাত্রদের বসে বসে কাটছে না আর দিন। এক্ষতি সহজে পূরণ হবে না – হবেই বা কি করে? করোনা সেই কবেই তো এসেছে আবার থেকে থেকে তার রূপ পরিবর্তন করে। এখন শোকে দুঃখে সান্ত্বনা জানানোর লোক আর যায়না পাওয়া, কাজ হয়েছে নাকমুখ ঢেকে মাস্ক বাঁধা, নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখা আর ঘন ঘন হাত ধোওয়া। অন্যদিকে দূর্নীতি, অনাচার, ব্যাভিচার আর খুনখারাপি বেড়ে গেছে অনেক বেশি, এখন মানুষের গড় আয়ু ও আয় বাড়লেও মানুষ নয়কো খুশী। রাস্তার ধারের উলঙ্গ ছেলেটির জন্য কবি সুকান্তের দরদী মন ব্যথিত হয়েছিল। তাইতো কবির কলম ঝলসে উঠেছিল আর শীতের সূর্যের কাছে মিনতি করেছিল। “হে শীতের সূর্য্য তুমি উত্তাপ আর আলো দিও রাস্তার ধারের উলঙ্গ ছেলেটাকে,” যদিও সমাজের বির্বতনে এখন আর যায় না দেখা রাস্তার ধারের উলঙ্গ ছেলেটাকে। কবি কিশোর সুকান্ত যখন লেখেন এ কবিতা তখনকার প্রেক্ষাপটে ছিল তা যর্থাথ ও সময়োপযোগী, হে মরমী কবি তোমার এই করুন প্রার্থনার জন্য তোমাকে জানাই কৃতজ্ঞতা হে অনুরাগী। করোনার অভিঘাতে বিদ্ধস্থ হয়েছে আজ সমাজ, অনেক মানুষ বেকার হয়েছে নেইকো কোন কাজ। হে নববর্ষ তোমার কাছে প্রার্থনা মোদের তুমি এসো কল্যান আর শান্তির বার্ত্তা নিয়ে, যেন দূর হয় নির্ঘুম রাত আর এসো নির্ভয়,নির্ভার,নির্মল ও মঙ্গলময় হয়ে। ১/০১/২০২১ রাজবাড়ী।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

সুন্দর আগামীর প্রত্যাশায়

প্রকাশের সময় : ০৭:০০:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ জানুয়ারী ২০২১

ডাঃসুনীল কুমার বিশ্বাস

নতুন বছরের নতুন সূর্যালোকে করবো অবগাহন হে নববর্ষ তোমাকে স্বাগত, গত একটি বছর নেই কোন অর্জন শুধুই হারিয়েছি ছিল যত। লক্ষ লক্ষ লোক করোনাক্রান্ত হয়ে অকালেই গেল ঝরে, জ্ঞানীগুণী লোক চলে গেলেন কত, তাঁদের স্থান পূরণ হবে কি করে? আজও ভয় আর আতঙ্কে কাটছে মোদের দিন, কখোন কার ডাক পড়বে আছি আশঙ্কায় তাই নেই কোন ভাবনা রঙীন। এখনো চন্দ্র সূর্য তারকারাজী উঠছে আকাশে আগের মতো, এখন শীতকাল- শীত পড়ছে আগে যেমন পড়তো। সকাল বেলায় চারিদিক ঢাকা পড়ে যায় ঘন কুয়াশায়, আমরা আচ্ছন্ন আছি কোন এক অজানা আশঙ্কায়। সুয্যি মামা উঠলেও তার দেখা পাওয়া ভার সকালে, দুপুর কিংবা তারও অনেক পরে যদি তার দেখা মেলে। একদিকে শত শত প্রাসাদ উঠছে গগন চুম্বি, অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম হয়েছে আকাশ চুম্বি। পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় এটাই হলো বাস্তবতা, সাধারণদের তাই মেনে নিতেই হবে এ সত্যতা। এখনো আগের মতো ভোরের পাখিরা গান গায়, মানুষের কন্ঠে আগের মতো ভাটিয়ালী গান নাহি শোনা যায়। গত একটি বছর ধরে হয়না কোন শোক কিংবা আনন্দানুষ্ঠান, এক জায়গায় বেশি লোকের জমায়েত হওয়া আছে যে বারণ। নদীর জল কমে গেছে এখন তবুও বহিছে কুলু-কুলু অর্হনিশ, হে নদী তুমি যে বহিছ আগের মতো তোমাকে জানাই কুর্নিশ। এখনো মাঝেমধ্যে হচ্ছে আগের মতো মৃদু কিংবা মাঝারি শৈত্য প্রবাহ, দেশ জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে নতুন এক অভিনব আবহ। করোনা ভাইরাসের নতুন প্রজন্ম আসছে ধেয়ে সস্প্রতি, এবার তার বেশি ঝোক দেখা যায় শিশু আর কমবয়সী লোকের প্রতি। স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় মাদ্রাসা বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন, লেখাপড়া হচ্ছেনা ছাত্রদের বসে বসে কাটছে না আর দিন। এক্ষতি সহজে পূরণ হবে না – হবেই বা কি করে? করোনা সেই কবেই তো এসেছে আবার থেকে থেকে তার রূপ পরিবর্তন করে। এখন শোকে দুঃখে সান্ত্বনা জানানোর লোক আর যায়না পাওয়া, কাজ হয়েছে নাকমুখ ঢেকে মাস্ক বাঁধা, নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখা আর ঘন ঘন হাত ধোওয়া। অন্যদিকে দূর্নীতি, অনাচার, ব্যাভিচার আর খুনখারাপি বেড়ে গেছে অনেক বেশি, এখন মানুষের গড় আয়ু ও আয় বাড়লেও মানুষ নয়কো খুশী। রাস্তার ধারের উলঙ্গ ছেলেটির জন্য কবি সুকান্তের দরদী মন ব্যথিত হয়েছিল। তাইতো কবির কলম ঝলসে উঠেছিল আর শীতের সূর্যের কাছে মিনতি করেছিল। “হে শীতের সূর্য্য তুমি উত্তাপ আর আলো দিও রাস্তার ধারের উলঙ্গ ছেলেটাকে,” যদিও সমাজের বির্বতনে এখন আর যায় না দেখা রাস্তার ধারের উলঙ্গ ছেলেটাকে। কবি কিশোর সুকান্ত যখন লেখেন এ কবিতা তখনকার প্রেক্ষাপটে ছিল তা যর্থাথ ও সময়োপযোগী, হে মরমী কবি তোমার এই করুন প্রার্থনার জন্য তোমাকে জানাই কৃতজ্ঞতা হে অনুরাগী। করোনার অভিঘাতে বিদ্ধস্থ হয়েছে আজ সমাজ, অনেক মানুষ বেকার হয়েছে নেইকো কোন কাজ। হে নববর্ষ তোমার কাছে প্রার্থনা মোদের তুমি এসো কল্যান আর শান্তির বার্ত্তা নিয়ে, যেন দূর হয় নির্ঘুম রাত আর এসো নির্ভয়,নির্ভার,নির্মল ও মঙ্গলময় হয়ে। ১/০১/২০২১ রাজবাড়ী।