Dhaka ০৬:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পৌর নির্বাচনে আ’লীগে মনোনয়ন প্রত্যাশী এক ডজন নেতা, বিএনপিতে ৬

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৩৮:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ১৩২১ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥ পৌরসভা নির্বাচনের দিন তারিখ নির্ধারণ না হলেও সময় যতই যাচ্ছে রাজবাড়ীতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকা ততই দীর্ঘ হচ্ছে। অনেক প্রার্থী দীর্ঘদিন ধরে গণসংযোগ ও  উঠান বৈঠক করে চলেছেন। বিএনপি প্রার্থীরাও বসে নেই।

রাজবাড়ীর বর্তমান মেয়র মহম্মদ আলী চৌধুরী। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি। বিগত নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী অর্ণব নেওয়াজকে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবারও তিনি দলীয় মনোনয়ন চাইবেন। আওয়ামী লীগে তিনিসহ মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকায় রয়েছে ১২ জন।

অন্য মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি হেদায়েত আলী সোহরাব, রাজবাড়ী-১ আসনের প্রাক্তন সংসদ সদস্য অ্যড. ওয়াজেদ আলী চৌধুরীর ছেলে গোলাম মোস্তফা চৌধুরী রন্টু, রাজবাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যড. উজীর আলী, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফি, জেলা আওয়ামী লীগের উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমজাদ হোসেন, মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সাহেদা চৌধুরী তন্বী, কানিজ ফাতিমা, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আতিকুল ইসলাম চৌধুরী রতন, সাইফুল ইসলাম সোহাগ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রকিবুল হোসেন পিয়াল ও যুবলীগ নেতা ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলমগীর শেখ তিতু।

গত বুধবার রাজবাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের কাছ থেকে সকলেই দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করে তা জমা দিয়েছেন। মনোনয়ন প্রত্যাশী অনেকেই ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দের কাছে জোর লবিং শুরু করেছেন। পাশাপাশি করছেন গণসংযোগও।

বর্তমান  মেয়র ও রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মহম্মদ আলী চৌধুরী বলেন, আমি এবারও দলের কাছে মনোনয়ন চাইব। দল মনোনয়ন দিলে ইলেকশন করবো। না দিলে করবোনা। তবে মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে দলের কাছে আমি দৃঢ়ভাবে আশাবাদী।

রাজবাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফি বলেন, আওয়ামী  লীগ একটি বড় দল। স্বভাবতই এখানে মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা একটু বেশি হবেই। আমি মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। যদি আমাকে না দিয়ে অন্য কাউকে দেয়। আমি তার পক্ষেই কাজ করবো।

এদিকে বিএনপিও নির্বাচনী প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে বলে জানা গেছে। দলের কাছে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কেউ কেউ গণসংযোগ করছেন। বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন রাজবাড়ী জেলা বিএনপির বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক মেয়র তোফাজ্জেল হোসেন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মঞ্জুরুল আলম দুলাল, রাজবাড়ী জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি গাজী আহসান হাবীব, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আফসার আলী সর্দার, রাজবাড়ী সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি খায়রুল আনাম বকুল ও সদ্য প্রয়াত বিএনপি নেতা অ্যড. এমএ খালেকের ছেলে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেদ পাভেল।

রাজবাড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক তোফাজ্জেল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে বলেন, আমি দলের কাছে মনোনয়ন চাইব। গত নির্বাচনে আমাকে মনোনয়ন দিয়ে শেষ মুহূর্তে প্রত্যাহার করে আরেকজনকে মনোনয়ন দেয়। একারণে আমি এবার মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। শেষ পর্যন্ত দল যদি আমাকে মনোনয়ন না দেয় তাহলে আমার আত্মীয় স্বজন শুভাকাক্সক্ষীদের সাথে কথা বলে করণীয় ঠিক করবো।

 রাজবাড়ী জেলা বিএনপির অন্যতম নেতা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কেএ মজিদ বিশ^াস বলেন, পৌর নির্বাচনের জন্য আমরা প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছি। দলে আলোচনার মাধ্যমেই যোগ্যতম প্রার্থী নির্বাচন  করা হবে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

পৌর নির্বাচনে আ’লীগে মনোনয়ন প্রত্যাশী এক ডজন নেতা, বিএনপিতে ৬

প্রকাশের সময় : ০৭:৩৮:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২০

জনতার আদালত অনলাইন ॥ পৌরসভা নির্বাচনের দিন তারিখ নির্ধারণ না হলেও সময় যতই যাচ্ছে রাজবাড়ীতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকা ততই দীর্ঘ হচ্ছে। অনেক প্রার্থী দীর্ঘদিন ধরে গণসংযোগ ও  উঠান বৈঠক করে চলেছেন। বিএনপি প্রার্থীরাও বসে নেই।

রাজবাড়ীর বর্তমান মেয়র মহম্মদ আলী চৌধুরী। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি। বিগত নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী অর্ণব নেওয়াজকে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবারও তিনি দলীয় মনোনয়ন চাইবেন। আওয়ামী লীগে তিনিসহ মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকায় রয়েছে ১২ জন।

অন্য মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি হেদায়েত আলী সোহরাব, রাজবাড়ী-১ আসনের প্রাক্তন সংসদ সদস্য অ্যড. ওয়াজেদ আলী চৌধুরীর ছেলে গোলাম মোস্তফা চৌধুরী রন্টু, রাজবাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যড. উজীর আলী, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফি, জেলা আওয়ামী লীগের উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমজাদ হোসেন, মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সাহেদা চৌধুরী তন্বী, কানিজ ফাতিমা, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আতিকুল ইসলাম চৌধুরী রতন, সাইফুল ইসলাম সোহাগ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রকিবুল হোসেন পিয়াল ও যুবলীগ নেতা ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলমগীর শেখ তিতু।

গত বুধবার রাজবাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের কাছ থেকে সকলেই দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করে তা জমা দিয়েছেন। মনোনয়ন প্রত্যাশী অনেকেই ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দের কাছে জোর লবিং শুরু করেছেন। পাশাপাশি করছেন গণসংযোগও।

বর্তমান  মেয়র ও রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মহম্মদ আলী চৌধুরী বলেন, আমি এবারও দলের কাছে মনোনয়ন চাইব। দল মনোনয়ন দিলে ইলেকশন করবো। না দিলে করবোনা। তবে মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে দলের কাছে আমি দৃঢ়ভাবে আশাবাদী।

রাজবাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফি বলেন, আওয়ামী  লীগ একটি বড় দল। স্বভাবতই এখানে মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা একটু বেশি হবেই। আমি মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। যদি আমাকে না দিয়ে অন্য কাউকে দেয়। আমি তার পক্ষেই কাজ করবো।

এদিকে বিএনপিও নির্বাচনী প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে বলে জানা গেছে। দলের কাছে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কেউ কেউ গণসংযোগ করছেন। বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন রাজবাড়ী জেলা বিএনপির বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক মেয়র তোফাজ্জেল হোসেন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মঞ্জুরুল আলম দুলাল, রাজবাড়ী জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি গাজী আহসান হাবীব, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আফসার আলী সর্দার, রাজবাড়ী সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি খায়রুল আনাম বকুল ও সদ্য প্রয়াত বিএনপি নেতা অ্যড. এমএ খালেকের ছেলে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেদ পাভেল।

রাজবাড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক তোফাজ্জেল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে বলেন, আমি দলের কাছে মনোনয়ন চাইব। গত নির্বাচনে আমাকে মনোনয়ন দিয়ে শেষ মুহূর্তে প্রত্যাহার করে আরেকজনকে মনোনয়ন দেয়। একারণে আমি এবার মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। শেষ পর্যন্ত দল যদি আমাকে মনোনয়ন না দেয় তাহলে আমার আত্মীয় স্বজন শুভাকাক্সক্ষীদের সাথে কথা বলে করণীয় ঠিক করবো।

 রাজবাড়ী জেলা বিএনপির অন্যতম নেতা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কেএ মজিদ বিশ^াস বলেন, পৌর নির্বাচনের জন্য আমরা প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছি। দলে আলোচনার মাধ্যমেই যোগ্যতম প্রার্থী নির্বাচন  করা হবে।