ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মামলায় রাজবাড়ীতে জামিন পেলেন সাংবাদিক প্রবীর শিকদার
- প্রকাশের সময় : ০৬:১৬:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২০
- / ১৮০৭ জন সংবাদটি পড়েছেন
জনতার আদালত অনলাইন ॥ ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে রাজবাড়ীর আদালতে দায়ের করা মামলায় জামিন পেয়েছেন দৈনিক বাংলা ৭১ পত্রিকার সম্পাদক সাংবাদিক প্রবীর শিকদার। বৃহস্পতিবার ধার্য তারিখে রাজবাড়ীর ১ নং আমলী আদালতে হাজির হয়ে জামিনের প্রার্থনা করলে উভয়পক্ষের শুনানী শেষে আদালতের বিচারক সুধাংশু শেখর রায় সাংবাদিক প্রবীর শিকদারের জামিন মঞ্জুর করেন। তার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন রাজবাড়ী জেলা বার এর সিনিয়র আইনজীবী অ্যড. স্বপন কুমার সোম, রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগ নেতা্ অ্যড.. রফিকুল ইসলাম, সাবেক ডেপুটি এটর্নি জেনারেল অ্যড. ফরহাদ আহমেদ, অ্যড. সুখেন্দু চক্রবর্তী, অ্যড. রেজাউল করিম রেজা, অ্যড. কমলাকান্ত চক্রবর্তী, অ্যড. সূর্যকান্ত প্রামানিক, অ্যড. রফিকুল ইসলাম(সাবেক ভিপি), অ্যড. অভিজিৎ সোম, অ্যড. সালেহ আহমেদ সহ ৩০ জন। বাদীপক্ষে ছিলেন অ্যড. গণেশ নারায়ণ চৌধুরী, অ্যড. নিজামউদ্দিন প্রমুখ।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ এনে রাজবাড়ী জেলা বার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যড. আনিসুর রহমান বাদী হয়ে গত ৩ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক প্রবীর শিকদারকে একমাত্র আসামি করে রাজবাড়ীর ১ নং আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
আদালত থেকে জামিন নিয়ে বাইরে আসার পর আদালত প্রাঙ্গনে তার পক্ষে স্লোগান দেয় তার সমর্থকরা। পরে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্ত্বরে এক সমাবেশে সাংবাদিক প্রবীর শিকদার বলেন, রাজবাড়ীর মানুষের ভালোবাসায় আমি মুগ্ধ। আমি কৃতজ্ঞ আমি আপ্লুত। আমি আপনাদের কথা চিরকাল মনে রাখব। কেউ কেউ বলেন, আমি সাংবাদিকইনা। আর আমি বলি আমি কি এটার জন্য কোনো দুর্বৃত্ত লুটেরার সার্টিফিকেট এর দরকার নেই। মানুষ যদি আমার কর্মে আমাকে ভালোবাসে তার চেয়ে পরম পাওয়া আর কিছু নেই।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় বাবা-কাকাকে হারিয়োছি। বাবার লাশটাও খুঁজে পাইনি। আমি তখন মারা গেলে মৃত্যুর ৪৯ বছর হতো আজ। ২০০২ সালে দুর্বৃত্তরা আমাকে বোমা মেরে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে ফেলে রেখে যায়। তারপরও আমি বেঁচে আছি। আমি একটি সুন্দর বাংলাদেশের জন্য যন্ত্রণা বয়ে বেড়াচ্ছি। আমি একটি ধর্মনিরপেক্ষ, সেকুলার রাষ্ট্র চাই। এটি থেকে কেউ আমাকে নিবৃত্ত করতে পারবে না। আমাকে হুমকি দিয়েও কোন লাভ হবেনা। আমি কোনো লুটেরা দুর্বৃত্তের কাছে আত্ম সমর্পন করবোনা।
প্রবীর শিকদার বলেন, এক শ্রেণির হাইব্রিড, লুটেরা আওয়ামী লীগকে শেষ করে দিচ্ছে। এদের থেকে আওয়ামী লীগকে রক্ষা করতেই হবে। আমি জিল্লুল হাকিম, ইরাদত কাজীর বিরুদ্ধে লিখি আওয়ামী লীগকে আহত করার জন্য নয়। তাদের সাথে আমার স্বার্থগত কোনো দ্বন্দ্ব নেই। এদের কারণে আওয়ামী লীগ ষেশষ হয়ে যাচ্ছে। এটা আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারিনা। মানবো না। জিল্লুল হাকিম গর্ব করে বলেন; তিনি কর বাহাদুর। তিনি যে কর বাহাদুর হলেন তার ব্যবসাটা কী?
এদেরকে যদি রুখে দেওয়া যায় তাহলে দেশের রাজনীতিতে রাজবাড়ী মডেল হবে।
সমাবেশে অন্যদের মাঝে বক্তৃতা করেন কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী হক প্রমুখ।