জেল হত্যা দিবসে জাতীয় নেতাদের স্মরণ না করে আমার বিরুদ্ধে বিষোদগার অত্যন্ত লজ্জার- নুরে আলম সিদ্দিকী হক
- প্রকাশের সময় : ০৮:১৩:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর ২০২০
- / ১৫৭২ জন সংবাদটি পড়েছেন
জনতার আদালত অনলাইন ॥ বাংলাদেশ কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী হক বলেছেন, ৩ নভেম্বর জাতির জীবনে একটি কালো দিন। শোকের দিন। এদিন আমরা সকলেই জাতীয় চার নেতা ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আমরা শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করি। অথচ এই দিনটিকে উপলক্ষ করে ওই সব নেতারা জাতীয় চার নেতা ও জাতির পিতাকে স্মরণ না করে এই মঞ্চে দাঁড়িয়ে আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়েছেন। ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন। যা অত্যন্ত লজ্জার ও বেদনার।
কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ার প্রতিবাদে কালুখালী উপজেলার স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার বিকেলে কালুখালী উপজেলার বাসস্ট্যান্ডে বঙ্গবন্ধু চত্বরে এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গত ১৯ অক্টোবর আমাকে বাংলাদেশ কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে। এতে এ অঞ্চলের কিছু মানুষ বড়ই মনোকষ্টে ভুগছেন। আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়ে তার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন।
ওই সব নেতারা বলেছেন, আমি নাকি টাকা দিয়ে পদ কিনেছি। একথা বলে তারা কেন্দ্রীয় নেতাদের পরোক্ষভাবে অপমান ও অবমাননা করেছেন। আমি আমার রাজনৈতিক জীবনে কখনই ছলচাতুরির আশ্রয় নেইনি। কোনো নেতার পদলেহনও করিনি।
টিটু চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, জিল্লুল হাকিম এমপি যখন আপনাকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিল, আমি আপনাকে বুকে তুলে নিয়েছিলাম। রতনদিয়া স্কুলে দাঁড়িয়ে আপনাকে রাজাকারপুত্র বলেছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ঋণ খেলাপির দায়ে আপনার মনোনয়ন বাতিলের উপক্রম হয়েছিল। আমিই আপনাকে সেদিন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলাম।
সমাবেশে অন্যদের মাঝে বক্তৃতা করেন পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নির্যাতিত ও ত্যাগী নেতা অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম খান, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইদ্রিস আলী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন শেখ, রাজবাড়ী জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কার খান প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তফা মাহমুদ হেনা মুন্সী।