Dhaka ০৬:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নলিয়া শ্যামামোহন ইনস্টিটিউট, অ্যসাইনমেন্টের অজুহাতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৫৮:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ নভেম্বর ২০২০
  • / ১২৯৪ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন॥ অ্যসাইনমেন্টের অজুহাতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নলিয়া শ্যামামোহন ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। গত কয়েকদন ধরে তিনশ টাকা থেকে আড়াই হাজার পর্যন্ত বিভিন্ন অংকের টাকা নিয়েছে বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীর। শিক্ষা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আর কোনো বাড়তি ফি  নিতে দেওয়া হবেনা।

জানা গেছে, করোনার কারণে দীর্ঘ সময় বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি অ্যসাইনমেন্টের প্রক্রিয়া শুরু হলে নলিয়া শ্যামামোহন ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নির্ধারিত ফি দিয়ে অ্যসাইনমেন্ট নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। এদিকে গত ৪ নভেম্বর তারিখে জেলা শিক্ষা অফিসার শামসুন্নাহার চৌধুরী জেলার উপজেলা শিক্ষা অফিসারদের কাছে পাঠানো চিঠিতে  শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোনো প্রকার ফি আদায় না করতে নির্দেশনা দিয়েছেন।

এ নির্দেশ উপেক্ষা করেই  নলিয়া শ্যামামোহন ইনস্টিটিউটে চলেছে অতিরিক্ত ফি আদায়। যা সোমবার পর্যন্ত চলমান ছিল। অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী শ্রাবনী রায়ের কাছ থেকে ১৫শত টাকা, সামান্তা খানের কাছ থেকে এক হাজার টাকা, সপ্তম শ্রেণির ছাত্র দিপ্তর কাছ থেকে আড়াই হাজার টাকা, অষ্টম শ্রেণির ছাত্র তানভীরের কাছ  থেকে এক হাজার টাকা, নবম শ্রেণির ছাত্র রিফাতের কাছে চার হাজার দাবি করে এক হাজার টাকা আদায় করেছে বলে জানা গেছে। এমন আরও অনেকের কাছ থেকেই আদায় করা হয়েছে বিধি বহির্ভূত অতিরিক্ত ফি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবক জানান, শিক্ষকরা নানা অজুহাতে তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন অজুহাতে অতিরিক্ত ফি আদায় করছেন। ছেলেমেয়েদের কথা ভেবে কোনো অভিযোগ দেইনা। কোনো প্রতিবাদও করিনা। এখন আমরা এই টাকা ফেরত চাই।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার কাজী এজাজ কায়সার বলেন, শিক্ষকরা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশ অমান্য  করে টাকা নিয়ে অন্যায় করেছেন। এটা ঠিক করেননি।

রাজবাড়ী জেলা শিক্ষা অফিসার সামসুন্নাহার চৌধুরী বলেন, বিষয়টি গতকালই  (সোমবার) জেনেছি। সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কে ফোন করে জানতে চাইলে আমাকে বলেছেন, যা নেবার নিয়েছেন। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত আর অতিরিক্ত ফি নেবেননা। যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে তাদের টাকা ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছি। আর একজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকেও কোনো বাড়তি ফি নেয়া যাবেনা।

বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আম্বিয়া সুলতানা বলেন, বিদ্যালয়টির বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ পেয়ে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলেছি। বাড়তি ফি যেন আর না নেয় সেব্যাপারে কঠোরভাবে বলা হয়েছে। যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা এলে সেটি ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

এব্যাপারে কথা বলার জন্য নলিয়া শ্যামামোহন ইনস্টিটিউটের প্রধান শিক্ষক শাজাহান মিয়ার মোবাইল ফোনে বহুবার কল দেওয়া হলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। একারণে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

নলিয়া শ্যামামোহন ইনস্টিটিউট, অ্যসাইনমেন্টের অজুহাতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়

প্রকাশের সময় : ০৬:৫৮:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ নভেম্বর ২০২০

জনতার আদালত অনলাইন॥ অ্যসাইনমেন্টের অজুহাতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নলিয়া শ্যামামোহন ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। গত কয়েকদন ধরে তিনশ টাকা থেকে আড়াই হাজার পর্যন্ত বিভিন্ন অংকের টাকা নিয়েছে বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীর। শিক্ষা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আর কোনো বাড়তি ফি  নিতে দেওয়া হবেনা।

জানা গেছে, করোনার কারণে দীর্ঘ সময় বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি অ্যসাইনমেন্টের প্রক্রিয়া শুরু হলে নলিয়া শ্যামামোহন ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নির্ধারিত ফি দিয়ে অ্যসাইনমেন্ট নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। এদিকে গত ৪ নভেম্বর তারিখে জেলা শিক্ষা অফিসার শামসুন্নাহার চৌধুরী জেলার উপজেলা শিক্ষা অফিসারদের কাছে পাঠানো চিঠিতে  শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোনো প্রকার ফি আদায় না করতে নির্দেশনা দিয়েছেন।

এ নির্দেশ উপেক্ষা করেই  নলিয়া শ্যামামোহন ইনস্টিটিউটে চলেছে অতিরিক্ত ফি আদায়। যা সোমবার পর্যন্ত চলমান ছিল। অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী শ্রাবনী রায়ের কাছ থেকে ১৫শত টাকা, সামান্তা খানের কাছ থেকে এক হাজার টাকা, সপ্তম শ্রেণির ছাত্র দিপ্তর কাছ থেকে আড়াই হাজার টাকা, অষ্টম শ্রেণির ছাত্র তানভীরের কাছ  থেকে এক হাজার টাকা, নবম শ্রেণির ছাত্র রিফাতের কাছে চার হাজার দাবি করে এক হাজার টাকা আদায় করেছে বলে জানা গেছে। এমন আরও অনেকের কাছ থেকেই আদায় করা হয়েছে বিধি বহির্ভূত অতিরিক্ত ফি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবক জানান, শিক্ষকরা নানা অজুহাতে তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন অজুহাতে অতিরিক্ত ফি আদায় করছেন। ছেলেমেয়েদের কথা ভেবে কোনো অভিযোগ দেইনা। কোনো প্রতিবাদও করিনা। এখন আমরা এই টাকা ফেরত চাই।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার কাজী এজাজ কায়সার বলেন, শিক্ষকরা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশ অমান্য  করে টাকা নিয়ে অন্যায় করেছেন। এটা ঠিক করেননি।

রাজবাড়ী জেলা শিক্ষা অফিসার সামসুন্নাহার চৌধুরী বলেন, বিষয়টি গতকালই  (সোমবার) জেনেছি। সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কে ফোন করে জানতে চাইলে আমাকে বলেছেন, যা নেবার নিয়েছেন। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত আর অতিরিক্ত ফি নেবেননা। যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে তাদের টাকা ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছি। আর একজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকেও কোনো বাড়তি ফি নেয়া যাবেনা।

বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আম্বিয়া সুলতানা বলেন, বিদ্যালয়টির বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ পেয়ে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলেছি। বাড়তি ফি যেন আর না নেয় সেব্যাপারে কঠোরভাবে বলা হয়েছে। যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা এলে সেটি ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

এব্যাপারে কথা বলার জন্য নলিয়া শ্যামামোহন ইনস্টিটিউটের প্রধান শিক্ষক শাজাহান মিয়ার মোবাইল ফোনে বহুবার কল দেওয়া হলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। একারণে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।