Dhaka ০৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাংশায় প্রতিবন্ধীদের প্রীতি ফুটবল ম্যাচ

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৭:০৫:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ নভেম্বর ২০২০
  • / ১২৮১ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥সমাজের কাছে ওরা অবহেলিত। আনন্দ বেদনার কোনো অনুভূতি নেই ওদের। ভালো মন্দ বোঝার শক্তিও নেই কারো কারো। কেউ আবার পরিবারের কাছে  বোঝার মত। ওরা মানসিক প্রতিবন্ধী। যাদের একটু বিনোদনের জন্য আয়োজন করা হয়েছিল প্রীতি ফুটবল ম্যাচ।

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের বাগদুলি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শুক্রবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় খেলাটি। বাগদুলি বাজারের ব্যবসায়ী আতিয়ার রহমান ও বাচ্চু শেখ উদ্যোগি হয়ে ব্যতিক্রমী এ খেলার আয়োজন করে। প্রচুর দর্শক উপভোগ করে খেলাটি। নির্ধারিত সময়ে খেলা ছিল গোল শূন্য। কোনো টুর্নামেন্ট না হলেও খেলাটি গড়িয়েছিল টাইব্রেকারে।

উদ্যোক্তা বাচ্চু শেখ জানান, প্রতিবন্ধীরা সমাজের কাছে বোঝা নয়। তারাও পারে সাধারণ মানুষের মত কাজ করতে। চলাফেরা করতে। এটা বোঝাতেই এ খেলার আয়োজন করা হয়। তবে কাজটা সহজ ছিলনা। মানসিক প্রতিবন্ধীদের নাম ঠিকানা জোগাড় করে আতিয়ার রহমান তার নিজের মাইক্রোবাসে করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের নিয়ে আসেন। তাদেরকে খাওয়ানো হয় পেট ভরে। এরপর নামানো হয় মাঠে। ১১ জন করে দুটি দল ভাগ করে খেলায় অংশ নেয় তারা। শেষ পর্যন্ত খেলা থাকে গোলশূন্য। তবে দর্শকদের আনন্দ দেয়ার জন্য খেলাকে নিয়ে যাওয়া হয় টাইব্রেকারে। খেলায় অংশ নিতে পেরে মানুষ যতটা আনন্দ পেয়েছে তার চেয়ে বেশি খুশী হয়েছে ওরা।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

পাংশায় প্রতিবন্ধীদের প্রীতি ফুটবল ম্যাচ

প্রকাশের সময় : ০৭:০৫:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ নভেম্বর ২০২০

জনতার আদালত অনলাইন ॥সমাজের কাছে ওরা অবহেলিত। আনন্দ বেদনার কোনো অনুভূতি নেই ওদের। ভালো মন্দ বোঝার শক্তিও নেই কারো কারো। কেউ আবার পরিবারের কাছে  বোঝার মত। ওরা মানসিক প্রতিবন্ধী। যাদের একটু বিনোদনের জন্য আয়োজন করা হয়েছিল প্রীতি ফুটবল ম্যাচ।

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের বাগদুলি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শুক্রবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় খেলাটি। বাগদুলি বাজারের ব্যবসায়ী আতিয়ার রহমান ও বাচ্চু শেখ উদ্যোগি হয়ে ব্যতিক্রমী এ খেলার আয়োজন করে। প্রচুর দর্শক উপভোগ করে খেলাটি। নির্ধারিত সময়ে খেলা ছিল গোল শূন্য। কোনো টুর্নামেন্ট না হলেও খেলাটি গড়িয়েছিল টাইব্রেকারে।

উদ্যোক্তা বাচ্চু শেখ জানান, প্রতিবন্ধীরা সমাজের কাছে বোঝা নয়। তারাও পারে সাধারণ মানুষের মত কাজ করতে। চলাফেরা করতে। এটা বোঝাতেই এ খেলার আয়োজন করা হয়। তবে কাজটা সহজ ছিলনা। মানসিক প্রতিবন্ধীদের নাম ঠিকানা জোগাড় করে আতিয়ার রহমান তার নিজের মাইক্রোবাসে করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের নিয়ে আসেন। তাদেরকে খাওয়ানো হয় পেট ভরে। এরপর নামানো হয় মাঠে। ১১ জন করে দুটি দল ভাগ করে খেলায় অংশ নেয় তারা। শেষ পর্যন্ত খেলা থাকে গোলশূন্য। তবে দর্শকদের আনন্দ দেয়ার জন্য খেলাকে নিয়ে যাওয়া হয় টাইব্রেকারে। খেলায় অংশ নিতে পেরে মানুষ যতটা আনন্দ পেয়েছে তার চেয়ে বেশি খুশী হয়েছে ওরা।