Dhaka ১১:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাংশায়  প্রকৌশলীকে মারধরের অভিযোগ, জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৪৩:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ নভেম্বর ২০২০
  • / ১৩৫৬ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার সিদ্দিকীয়া ফাযিল মাদ্রাসার একাডেমিক ভবন নির্মাণকাজে নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহারে বাধা দেওয়ায় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ সহকারী প্রকৌশলী জাফর আলীকে ঠিকাদারের লোকেরা মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবিতে পাংশা উপজেলা অফিসার্স ক্লাবের উদ্যোগে সোমবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ঘণ্টাকাল ব্যাপী মানববন্ধন চলাকালে এক সমাবেশে বক্তৃতা করেন পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দাস, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান, উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মাহবুব হোসেন, পাংশা সিদ্দিকিয়া ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আওয়াবুল্লাহ ইব্রাহিম প্রমুখ। বক্তারা প্রকৌশলীকে মারধরের ঘটনাটি অনাকাক্সিক্ষত ও অনভিপ্রেত উল্লেখ করে ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

জানা গেছে, পাংশা শহরে অবস্থিত সিদ্দিকীয়া ফাযিল মাদ্রাসার ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে একাডেমিক ভবন নির্মাণের কাজটি করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স আনোয়ার হোসেন। গত ২৭ অক্টোবর উপ সহকারী প্রকৌশলী জাফর আলী নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে গিয়ে নি¤œমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজ করা দেখতে  পেয়ে এধরণের সামগ্রী দিয়ে কাজ করতে নিষেধ করেন। এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ঠিকাদারের ছেলে জাহিদ তাকে বেধরক মারপিট করে। মারধরের ঘটনায় পাংশা থানায় একটি মামলা হয়েছে।

পাংশা থানার ওসি মো. শাহাদত হোসেন জানান, প্রকৌশলীকে মারধরের ঘটনায় তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালায়। কিন্তু পলাতক থাকায় গ্রেপ্তার করা যায়নি। গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

অভিযুক্ত জাহিদ হাসানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ওই মাদ্রাসায় কাজ করতে গিয়ে বারবার বাধার সম্মুখীন হয়েছি। আমরা যেসব সামগ্রী দিয়েছি তা নি¤œমানের নয়। ল্যাবটেস্ট করে সেখানে ব্যবহার করা হয়েছে। আমি তাদের বলেছি, যদি আপনারা নি¤œমানের মনে করেন তাহলে ল্যাবটেস্ট করান। ২৫ দিন আগে ছাদ ঢালাইয়ের ডেট নির্ধারণ করা হয়। এ অনুযায়ী গত ২৭ অক্টোবর আমরা ছাদ ঢালাইয়ের জন্য পুরো প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। এজন্য চারশ বস্তা সিমেন্টসহ অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে আসি। ওইদিন সন্ধ্যায় প্রকৌশলী জাফর আলী এসে বলেন, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ খোয়া নিয়ে অভিযোগ দিয়েছে এজন্য ছাদ ঢালাই পিছিয়ে যাবে। আমি তাকে খোয়া ল্যাবটেস্ট করতে বলি। বিষয়টি নিয়ে তার সাথে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তিনি আমাকে গালিগালাজ করেন। তখন আমি তাকে একটি থাপ্পড় মারি।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

পাংশায়  প্রকৌশলীকে মারধরের অভিযোগ, জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশের সময় : ০৮:৪৩:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ নভেম্বর ২০২০

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার সিদ্দিকীয়া ফাযিল মাদ্রাসার একাডেমিক ভবন নির্মাণকাজে নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহারে বাধা দেওয়ায় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ সহকারী প্রকৌশলী জাফর আলীকে ঠিকাদারের লোকেরা মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবিতে পাংশা উপজেলা অফিসার্স ক্লাবের উদ্যোগে সোমবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ঘণ্টাকাল ব্যাপী মানববন্ধন চলাকালে এক সমাবেশে বক্তৃতা করেন পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দাস, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান, উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মাহবুব হোসেন, পাংশা সিদ্দিকিয়া ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আওয়াবুল্লাহ ইব্রাহিম প্রমুখ। বক্তারা প্রকৌশলীকে মারধরের ঘটনাটি অনাকাক্সিক্ষত ও অনভিপ্রেত উল্লেখ করে ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

জানা গেছে, পাংশা শহরে অবস্থিত সিদ্দিকীয়া ফাযিল মাদ্রাসার ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে একাডেমিক ভবন নির্মাণের কাজটি করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স আনোয়ার হোসেন। গত ২৭ অক্টোবর উপ সহকারী প্রকৌশলী জাফর আলী নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে গিয়ে নি¤œমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজ করা দেখতে  পেয়ে এধরণের সামগ্রী দিয়ে কাজ করতে নিষেধ করেন। এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ঠিকাদারের ছেলে জাহিদ তাকে বেধরক মারপিট করে। মারধরের ঘটনায় পাংশা থানায় একটি মামলা হয়েছে।

পাংশা থানার ওসি মো. শাহাদত হোসেন জানান, প্রকৌশলীকে মারধরের ঘটনায় তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালায়। কিন্তু পলাতক থাকায় গ্রেপ্তার করা যায়নি। গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

অভিযুক্ত জাহিদ হাসানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ওই মাদ্রাসায় কাজ করতে গিয়ে বারবার বাধার সম্মুখীন হয়েছি। আমরা যেসব সামগ্রী দিয়েছি তা নি¤œমানের নয়। ল্যাবটেস্ট করে সেখানে ব্যবহার করা হয়েছে। আমি তাদের বলেছি, যদি আপনারা নি¤œমানের মনে করেন তাহলে ল্যাবটেস্ট করান। ২৫ দিন আগে ছাদ ঢালাইয়ের ডেট নির্ধারণ করা হয়। এ অনুযায়ী গত ২৭ অক্টোবর আমরা ছাদ ঢালাইয়ের জন্য পুরো প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। এজন্য চারশ বস্তা সিমেন্টসহ অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে আসি। ওইদিন সন্ধ্যায় প্রকৌশলী জাফর আলী এসে বলেন, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ খোয়া নিয়ে অভিযোগ দিয়েছে এজন্য ছাদ ঢালাই পিছিয়ে যাবে। আমি তাকে খোয়া ল্যাবটেস্ট করতে বলি। বিষয়টি নিয়ে তার সাথে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তিনি আমাকে গালিগালাজ করেন। তখন আমি তাকে একটি থাপ্পড় মারি।