Dhaka ০৩:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ:
একাত্তরের চেতনা ভুলিয়ে দিতে একটি মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত : মির্জা ফখরুল তৃতীয় দিনের মতো শহীদ মিনারে প্রাথমিক শিক্ষকদের অবস্থান একনেকে ৭ হাজার ১৫০ কোটি টাকার ১২ প্রকল্প অনুমোদন তিনবার পেছানোর পর শুরু হলো আবু সাঈদ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ঢাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে গুলি করে হত্যা, যা দেখা গেল সিসিটিভিতে সাবেক জিএমপি কমিশনার নাজমুল করিম খান বরখাস্ত এবার মৎস্য উপদেষ্টার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লক্ষ্য করে দুই ককটেল বিস্ফোরণ গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ মুন্সীগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের দ্বন্দ্ব, প্রতিপক্ষের গুলিতে একজন নিহত নিষিদ্ধ সংগঠনগুলো বিক্ষোভের চেষ্টা করলে আইনের সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ হবে

পাতার বাঁশি বাজিয়ে আর মানুষকে আনন্দ দেবেন না ভাল্টু দা

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৪২:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / 332

জনতার আদালত অনলাইন ॥ আসল নাম অধীর কর্মকার হলেও সবার কাছে পরিচিত ছিলেন ভাল্টু দা নামে। পাতার বাঁশি বাজিয়ে আর হাসিয়ে মানুষকে আনন্দ দেয়াই ছিল তার কাজ। তার দিন কাটতো বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরের বারান্দায়। রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার মৌকুড়ি গ্রামের বাসিন্দা ভাল্টু দা বুধবার রাতে সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেছেন না ফেরার দেশে। তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। ব্যক্তি জীবনে তিনি ছিলেন  চার ছেলে ও তিন মেয়ের বাবা। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে শেষ নজর দেখতে স্থানীয় বিভিন্ন অফিসের সরকারি কর্মকর্তা,  ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যান, মেম্বার, সাংবাদিক, শিক্ষকসহ  নানা শ্রেণি পেশার মানুষ তার বাড়িতে  ভিড় করেন। বালিয়াকান্দি মহাশ্মশানে তার শেষকৃত্যে শত শত মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

জানা গেছে, জন্ম থেকেই তিনি ছিলেন শারীরিক প্রতিবন্ধী। ছোটবেলায়  মানুষের বাড়ির  রাখালের কাজ করতেন। মুক্তিযুদ্ধের পরে  কাঠুরিয়ার কাজ করতেন। কিন্তু  প্রতিবন্ধকতার  কারণে তা বেশি দিন করতে পারেননি। পরে ঠাই নেন বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরের বারান্দায়। সেখানে পাতার বাঁশি বাজিয়ে, গান শুনিয়ে ও রম্য কথা বলে মানুষকে আনন্দ দিতেন। ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন ভাল্টুদা। বিভিন্ন অফিসের খায় ফরমাশ খেটে যা টাকা পেতেন তাই দিয়ে চলতো সংসার। তার কোনো চাহিদা ছিলনা। নিজেকে তিনি সুখী মানুষ বলেই মনে করতেন।

 বালিয়াকান্দি শহরের প্রতিটি মানুষ তাকে চিনতো। সবার প্রিয় পাত্র ছিলেন ভাল্টুদা। কোনো মানুষকে বিষণœ দেখলেই এমন কিছু বলতেন যা  শুনে সকলেই হেসে গড়াগড়ি যেত। কোনো দিন তার মন খারাপ  দেখা যায়নি।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

পাতার বাঁশি বাজিয়ে আর মানুষকে আনন্দ দেবেন না ভাল্টু দা

প্রকাশের সময় : ০৬:৪২:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

জনতার আদালত অনলাইন ॥ আসল নাম অধীর কর্মকার হলেও সবার কাছে পরিচিত ছিলেন ভাল্টু দা নামে। পাতার বাঁশি বাজিয়ে আর হাসিয়ে মানুষকে আনন্দ দেয়াই ছিল তার কাজ। তার দিন কাটতো বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরের বারান্দায়। রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার মৌকুড়ি গ্রামের বাসিন্দা ভাল্টু দা বুধবার রাতে সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেছেন না ফেরার দেশে। তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। ব্যক্তি জীবনে তিনি ছিলেন  চার ছেলে ও তিন মেয়ের বাবা। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে শেষ নজর দেখতে স্থানীয় বিভিন্ন অফিসের সরকারি কর্মকর্তা,  ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যান, মেম্বার, সাংবাদিক, শিক্ষকসহ  নানা শ্রেণি পেশার মানুষ তার বাড়িতে  ভিড় করেন। বালিয়াকান্দি মহাশ্মশানে তার শেষকৃত্যে শত শত মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

জানা গেছে, জন্ম থেকেই তিনি ছিলেন শারীরিক প্রতিবন্ধী। ছোটবেলায়  মানুষের বাড়ির  রাখালের কাজ করতেন। মুক্তিযুদ্ধের পরে  কাঠুরিয়ার কাজ করতেন। কিন্তু  প্রতিবন্ধকতার  কারণে তা বেশি দিন করতে পারেননি। পরে ঠাই নেন বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরের বারান্দায়। সেখানে পাতার বাঁশি বাজিয়ে, গান শুনিয়ে ও রম্য কথা বলে মানুষকে আনন্দ দিতেন। ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন ভাল্টুদা। বিভিন্ন অফিসের খায় ফরমাশ খেটে যা টাকা পেতেন তাই দিয়ে চলতো সংসার। তার কোনো চাহিদা ছিলনা। নিজেকে তিনি সুখী মানুষ বলেই মনে করতেন।

 বালিয়াকান্দি শহরের প্রতিটি মানুষ তাকে চিনতো। সবার প্রিয় পাত্র ছিলেন ভাল্টুদা। কোনো মানুষকে বিষণœ দেখলেই এমন কিছু বলতেন যা  শুনে সকলেই হেসে গড়াগড়ি যেত। কোনো দিন তার মন খারাপ  দেখা যায়নি।