গোয়ালন্দে পদ্মার চরে পাওয়া লাশটি স্কুলছাত্র মিরাজের
![](https://jonotaradalot.com/wp-content/themes/template-pro/assets/images/reporter.jpg)
- প্রকাশের সময় : ০৭:৪৩:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০
- / ১২৫৮ জন সংবাদটি পড়েছেন
জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় সোমবার দেবগ্রাম ইউনিয়নের পদ্মা নদীর তীরবর্তী দুর্গম চর কাওয়ালজানি এলাকা থেকে পাওয়া অজ্ঞাত লাশটি স্কুল ছাত্র মিরাজের বলে তার পরিবার দাবী করেছে। সে দৌলতদিয়া মডেল হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র।
মিরাজ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের উত্তর চর পাচুরিয়া গ্রামের দরিদ্র কৃষক সিরাজ খানের ছেলে। গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে অজ্ঞাত ফোনে বাড়ী থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকে সে নিখোঁজ ছিল।
সোমবার পদ্মার চরে অজ্ঞাত লাশের সন্ধান পেয়ে পুলিশ মিরাজের পরিবারকে খবর দেয়। সেখানে তার মা হাসনা বেগমসহ পরিবারের সদস্যরা গেলেও তখন তারা লাশটি মিরাজের বলে সনাক্ত করতে পারেনি। অবশ্য কাঁদামাটির মধ্যে পুতে রাখা লাশটি এতোটাই বিকৃত ছিল যে সাধারণভাবে তা চেনার সুযোগ ছিল না।
মিরাজের বড় ভাই সেলিম খান জানান, লাশের চেহারা দেখে চেনার উপায় ছিল না। তারপরও মিরাজের কপালের উপর কাটা দাগ ও পরনের হাফপ্যান্ট দেখে আমরা নিশ্চিত হয়েছি লাশটি মিরাজের। আমরা ওর হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।
এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, উদ্ধার হওয়া লাশটির ডান হাতের বোগলের দিক থেকে অনেকটা মাংস বিচ্ছিন্ন এবং বাম হাতের কব্জি কাটা। এ ছাড়া পিঠের দিকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের কয়েকটি চিহ্ন রয়েছে। মাটির মধ্যে উপুর করে পুতে কলাগাছ দিয়ে চাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল। ফুলে এবং পচে গিয়ে লাশটি বিকৃত হয়ে গেছে। যে কারণে তখন কেউ তাকে সনাক্ত করতে পারেনি। তবে পরবর্তীতে পরিবারের সদস্যদের আবারো সনাক্ত করতে বললে দ্বিতীয় দফায় তারা লাশটি মিরাজের বলে দাবী করে। তারপরও আমরা চুড়ান্তভাবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য ডিএনএ টেস্ট করাবো। লাশ মিরাজের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করলে তারা এলাকায় নিয়ে দাফন করে।
এ বিষয়ে মিরাজের বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আমরা তার নিখোজ হওয়া এবং হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করে দ্রুতই অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি।