Dhaka ১০:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পদ্মার চরে অজ্ঞাত লাশটি কার? নিখোঁজ স্কুলছাত্রের পরিবারে মাতম

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৮:২৩:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ অগাস্ট ২০২০
  • / ১৩৬৩ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া মডেল হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র মিরাজ খান (১৫) ৪ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে। এ অবস্থার মধ্যে সোমবার উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের পদ্মা নদীর তীরবর্তী দুর্গম চর কাওয়ালজানি এলাকা থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। কিন্তু লাশটি এতোটাই বিকৃত যে তাকে কেউ চিনতে পারছে না। তারপরও মিরাজের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। এ অবস্থায় পুলিশ লাশটির ডিএনএ টেস্ট করার কথা ভাবছে।

মিরাজের বাবা দেবগ্রাম ইউনিয়নের উত্তর চরপাচুরিয়া গ্রামের দরিদ্র কৃষক সিরাজ খান জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে মিরাজ বাড়ীতে ভাত খাওয়া অবস্থায় ওর মোবাইলে একজনের ফোন আসে। তখন সে তাড়াতাড়ি খাওয়া শেষ করে বিশেষ কিছু না বলে বাড়ী থেকে বেড়িয়ে পরে। তারপর থেকে সে নিখোঁজ। ওর মোবাইল ফোনটিও বন্ধ। এ নিয়ে পরদিন গোয়ালন্দ ঘাট থানায় সাধারণ ডায়েরী করি। তারপরও আমরা সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজ করেও ওর সন্ধান পাইনি। ওর সাথে কারো কোন দ্বন্দ্ব আছে বলে আমার জানা নেই। আমরা খুব চিন্তায় আছি। নদীর ধারে চরের উপর পাওয়া লাশটি দেখতে আমার স্ত্রী হাসনা বেগম গিয়েছিল।

এ দিকে সোমবার বেলা ১১টার দিকে পদ্মা নদীর কয়েকজন জেলে নদীর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বাতাসে দুর্গন্ধ আসলে কাক-শকুনের উপস্থিতি দেখে সেখানে এগিয়ে যান। দেখতে পান বালির মধ্যে উপুর করে পুতে রাখা একটি লাশ। লাশটির শুধুমাত্র পিঠের কিছু অংশ বেরিয়ে আছে। দ্রুতই এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সেখানে শতশত মানুষ জড়ো হয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশের একটি দলও সেখানে যায়। ছুটে আসেন মিরাজের মাসহ পরিবারের অন্যান্য স্বজনরা।

এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, উদ্ধার হওয়া লাশটির ডান হাতের বোগলের দিক থেকে অনেকটা মাংস বিচ্ছিন্ন এবং বাম হাতের কব্জি কাটা। এ ছাড়া পিঠের দিকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের কয়েকটি চিহ্ন রয়েছে। মাটির মধ্যে উপুর করে পুতে কলাগাছ দিয়ে চাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল। ফুলে এবং পচে গিয়ে লাশটি বিকৃত হয়ে গেছে। যে কারণে কেউ তাকে সনাক্ত করতে পারেনি। নিখোঁজ মিরাজের মা ও স্বজনরাও ঘটনাস্থলে এসে সনাক্ত করতে পারেনি। তারপরও আশ-পাশে আর কোন মিসিং কেস না থাকায় আমরা এ লাশটি মিরাজের কিনা তা নিশ্চিত করতে ডিএনএ টেস্টের কথা চিন্তা করছি। ময়না তদন্তের জন্য লাশটি রাজবাড়ীর মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন আছে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

পদ্মার চরে অজ্ঞাত লাশটি কার? নিখোঁজ স্কুলছাত্রের পরিবারে মাতম

প্রকাশের সময় : ০৮:২৩:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ অগাস্ট ২০২০

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া মডেল হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র মিরাজ খান (১৫) ৪ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে। এ অবস্থার মধ্যে সোমবার উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের পদ্মা নদীর তীরবর্তী দুর্গম চর কাওয়ালজানি এলাকা থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। কিন্তু লাশটি এতোটাই বিকৃত যে তাকে কেউ চিনতে পারছে না। তারপরও মিরাজের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। এ অবস্থায় পুলিশ লাশটির ডিএনএ টেস্ট করার কথা ভাবছে।

মিরাজের বাবা দেবগ্রাম ইউনিয়নের উত্তর চরপাচুরিয়া গ্রামের দরিদ্র কৃষক সিরাজ খান জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে মিরাজ বাড়ীতে ভাত খাওয়া অবস্থায় ওর মোবাইলে একজনের ফোন আসে। তখন সে তাড়াতাড়ি খাওয়া শেষ করে বিশেষ কিছু না বলে বাড়ী থেকে বেড়িয়ে পরে। তারপর থেকে সে নিখোঁজ। ওর মোবাইল ফোনটিও বন্ধ। এ নিয়ে পরদিন গোয়ালন্দ ঘাট থানায় সাধারণ ডায়েরী করি। তারপরও আমরা সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজ করেও ওর সন্ধান পাইনি। ওর সাথে কারো কোন দ্বন্দ্ব আছে বলে আমার জানা নেই। আমরা খুব চিন্তায় আছি। নদীর ধারে চরের উপর পাওয়া লাশটি দেখতে আমার স্ত্রী হাসনা বেগম গিয়েছিল।

এ দিকে সোমবার বেলা ১১টার দিকে পদ্মা নদীর কয়েকজন জেলে নদীর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বাতাসে দুর্গন্ধ আসলে কাক-শকুনের উপস্থিতি দেখে সেখানে এগিয়ে যান। দেখতে পান বালির মধ্যে উপুর করে পুতে রাখা একটি লাশ। লাশটির শুধুমাত্র পিঠের কিছু অংশ বেরিয়ে আছে। দ্রুতই এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সেখানে শতশত মানুষ জড়ো হয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশের একটি দলও সেখানে যায়। ছুটে আসেন মিরাজের মাসহ পরিবারের অন্যান্য স্বজনরা।

এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, উদ্ধার হওয়া লাশটির ডান হাতের বোগলের দিক থেকে অনেকটা মাংস বিচ্ছিন্ন এবং বাম হাতের কব্জি কাটা। এ ছাড়া পিঠের দিকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের কয়েকটি চিহ্ন রয়েছে। মাটির মধ্যে উপুর করে পুতে কলাগাছ দিয়ে চাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল। ফুলে এবং পচে গিয়ে লাশটি বিকৃত হয়ে গেছে। যে কারণে কেউ তাকে সনাক্ত করতে পারেনি। নিখোঁজ মিরাজের মা ও স্বজনরাও ঘটনাস্থলে এসে সনাক্ত করতে পারেনি। তারপরও আশ-পাশে আর কোন মিসিং কেস না থাকায় আমরা এ লাশটি মিরাজের কিনা তা নিশ্চিত করতে ডিএনএ টেস্টের কথা চিন্তা করছি। ময়না তদন্তের জন্য লাশটি রাজবাড়ীর মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন আছে।