Dhaka ০৭:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বালিয়াকান্দির গৃহবধূকে ২ মাস আটকে রেখে ধর্ষণ ও সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৫৫:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জুলাই ২০২০
  • / ১৫২৮ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥ কুুপ্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় বালিয়য়াকান্দি উপজেলা এলাকার এক গৃহবধূকে অপহরণের পর দুই মাস আটকে রেখে ধর্ষণ ও সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় ওই গৃহবধূ গত ১৬ জুলাই রাজবাড়ীর আদালতে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলো বালিয়াকান্দি উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়নের জঙ্গল গ্রামের বৈদ্যনাথ মন্ডলের ছেলে প্রহ্লাদ মন্ডল, চাঁদ মোহন মন্ডলের ছেলে আকাশ মন্ডল ও মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার লাঙ্গলবাধ বাজারের দিলীপ বিশ্বাস। সম্প্রতি বালিয়াকান্দির স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে বিষয়টি তুলে ধরার পর অভিযোগটি সামনে আসে।
গৃহবধূ অভিযোগ করেন, তার স্বামী ও সন্তান নিয়ে উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়নের জঙ্গল গ্রামের একটি বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন। ওই গ্রামের প্রহ্লাদ মন্ডল তাকে উত্যক্ত করতো ও কুপ্রস্তাব দিত। বিষয়টি তিনি প্রহ্লাদের পরিবারকে জানানোর পর সে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। গত ৪ মার্চ বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে প্রহ্লাদ মন্ডল দলবল নিয়ে অন্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাকে অপহরণের পর অচেতন করে ফেলে। এরপর অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে আটকে রেখে ধর্ষণ করে। পরে অবস্থান বদলে অন্য আরেক জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানেও চলে তার উপর নির্যাতন। তাকে সিগারেটের ছ্যাঁকা দেয়া হয় শরীরের বিভিন্ন স্থানে। সেখান থেকে কারো সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব ছিলনা। দুই মাস পর একদিন তিনি কৌশলে পালিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসেন। পালিয়ে আসার সময় বুঝতে পারেন তাকে অপহরণ করে নারায়ণগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ফিরে এসে স্বামীর সাথে যোগাযোগ করে তার বাড়িতে যেতে চাইলেও স্বামী এখন আর ঘুরে তুলে নিতে চাইছে না। এরপর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিছুটা সুস্থ হয়ে তিনি আদালতে মামলা করেন। তাকে অপহরণের পর তার স্বামী বিষয়টি বালিয়াকান্দি থানাকে অবগত করেছিলেন বলে জানান তিনি।
এব্যাপারে অভিযুক্ত প্রহ্ণলাদ মন্ডলের সাথে কথা বলার জন্য তার মোবাইল ফোনে বুধ ও বৃহস্পতিবার দুদিনে বহুবার কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। এসএমএস পাঠিয়েও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। যেকারণে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
বালিয়াকান্দি থানার ওসি একেএম আজমল হুদা জানান, বিষয়টি তিনি লোকমুখে শুনেছেন। তবে থানায় এ ধরণের অভিযোগ কেউ কখনও করেনি। থানায় অভিযোগ দিলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

বালিয়াকান্দির গৃহবধূকে ২ মাস আটকে রেখে ধর্ষণ ও সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ০৭:৫৫:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জুলাই ২০২০

জনতার আদালত অনলাইন ॥ কুুপ্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় বালিয়য়াকান্দি উপজেলা এলাকার এক গৃহবধূকে অপহরণের পর দুই মাস আটকে রেখে ধর্ষণ ও সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় ওই গৃহবধূ গত ১৬ জুলাই রাজবাড়ীর আদালতে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলো বালিয়াকান্দি উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়নের জঙ্গল গ্রামের বৈদ্যনাথ মন্ডলের ছেলে প্রহ্লাদ মন্ডল, চাঁদ মোহন মন্ডলের ছেলে আকাশ মন্ডল ও মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার লাঙ্গলবাধ বাজারের দিলীপ বিশ্বাস। সম্প্রতি বালিয়াকান্দির স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে বিষয়টি তুলে ধরার পর অভিযোগটি সামনে আসে।
গৃহবধূ অভিযোগ করেন, তার স্বামী ও সন্তান নিয়ে উপজেলার জঙ্গল ইউনিয়নের জঙ্গল গ্রামের একটি বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন। ওই গ্রামের প্রহ্লাদ মন্ডল তাকে উত্যক্ত করতো ও কুপ্রস্তাব দিত। বিষয়টি তিনি প্রহ্লাদের পরিবারকে জানানোর পর সে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। গত ৪ মার্চ বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে প্রহ্লাদ মন্ডল দলবল নিয়ে অন্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাকে অপহরণের পর অচেতন করে ফেলে। এরপর অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে আটকে রেখে ধর্ষণ করে। পরে অবস্থান বদলে অন্য আরেক জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানেও চলে তার উপর নির্যাতন। তাকে সিগারেটের ছ্যাঁকা দেয়া হয় শরীরের বিভিন্ন স্থানে। সেখান থেকে কারো সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব ছিলনা। দুই মাস পর একদিন তিনি কৌশলে পালিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসেন। পালিয়ে আসার সময় বুঝতে পারেন তাকে অপহরণ করে নারায়ণগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ফিরে এসে স্বামীর সাথে যোগাযোগ করে তার বাড়িতে যেতে চাইলেও স্বামী এখন আর ঘুরে তুলে নিতে চাইছে না। এরপর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিছুটা সুস্থ হয়ে তিনি আদালতে মামলা করেন। তাকে অপহরণের পর তার স্বামী বিষয়টি বালিয়াকান্দি থানাকে অবগত করেছিলেন বলে জানান তিনি।
এব্যাপারে অভিযুক্ত প্রহ্ণলাদ মন্ডলের সাথে কথা বলার জন্য তার মোবাইল ফোনে বুধ ও বৃহস্পতিবার দুদিনে বহুবার কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। এসএমএস পাঠিয়েও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। যেকারণে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
বালিয়াকান্দি থানার ওসি একেএম আজমল হুদা জানান, বিষয়টি তিনি লোকমুখে শুনেছেন। তবে থানায় এ ধরণের অভিযোগ কেউ কখনও করেনি। থানায় অভিযোগ দিলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।