Dhaka ০৯:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেয়েটি আদালতকে জানালেন; ‘আমি অপহরণ হইনি, স্বেচ্ছায় প্রেমিকের সাথে গিয়েছি’

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৯:১৪:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জুলাই ২০২০
  • / ১৯৫৫ জন সংবাদটি পড়েছেন

 

জনতার আদালত অনলাইন ॥ অবশেষে সত্যেরই জয় হলো। আদালতে হাজির হয়ে মেয়েটি জানালেন; আমাকে কেউ অপহরণ করেনি। আমি প্রেমিকের সাথে ঘরবাঁধার জন্য স্বেচ্ছায় বাড়ি ছেড়েছি। শনিবার রাজবাড়ীর ২ নং আমলী আদালতে হাজির হয়ে একথা জানান তিনি।

গত ২৮ জুন তারিখে রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের শিকজান গ্রামের জনৈক ব্যক্তি বাদী হয়ে কালুখালী থানায় অপহরণ মামলা করেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন তার মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে। এ মামলায় দৈনিক জনতার আদালত পত্রিকার সম্পাদক ও কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী হকসহ ছয় জনকে আসামি করা হয়।

এ মামলা দায়েরের পর রাজবাড়ীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে তীব্র প্রতিবাদ ও ঘৃণা জানানো হয়। নুরে আলম সিদ্দিকী হকের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি কুচক্রী মহলের মদদে মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে এমনটিই মনে করেন প্রতিবাদকারীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। মামলার প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার রাজবাড়ী শহরের প্রধান সড়কে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। শনিবারও ঢাকার আশুলিয়ায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এসব প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, কুচক্রী মহলটি  এমনই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে, তাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে ঘৃণ্য পথ বেছে নিয়েছে। যা দুঃখজনক। রাজনীতির নামে এ নোংরামি বন্ধ করার দাবি জানান তারা। একই সাথে অবিলম্বে এ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

শনিবার দুপুরে মামলার ভিকটিম  রাজবাড়ীর ২ নং আমলী আদালতের বিচারক লাবনী আক্তারের কাছে জবানবন্দীতে জানান, আমাকে কেউ অপহরণ করেনি। আমি আমার প্রেমিকের সাথে ঘর বাঁধার উদ্দেশ্যে  স্বেচ্ছায় বাড়ি থেকে গিয়েছি।

মামলার বিচারক ভিকটিমের জবানবন্দী শুনে তার মা-বাবার জিম্মায় দেন।

নুরে আলম সিদ্দিকী হক একজন প্রথিতযশা রাজনীতিবিদ। দৈনিক জনতার আদঅরত পত্রিকার সম্পাদক তিনি। এছাড়া বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) এর রাজবাড়ী জেলা প্রতিনধিরও দায়িত্ব পালন করছেন। রাজবাড়ী পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। বেশ কয়েকটি সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথেও যুক্ত। তার নিজ গ্রাম মৃগীতে শিক্ষার প্রসারে নিরলসভাবে নিভৃতে কাজ করে চলেছেন। মাটি মানুষের সাথে তার সম্পর্ক অতি নিবিড়। কৃষকের প্রাণ তিনি। যে কারো সাহায্যে ঝাঁপিয়ে পড়া তার স্বভাবজাত। অন্যায়ের সাথে কখনও আপোষ করেননি তিনি। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে প্রভাবশালী কুচক্রী মহলটির চক্ষুশূল হয়েছেন তিনি।

নুরে আলম সিদ্দিকী হক দীর্ঘদিন যাবৎ আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। মৃগীর ঐতিহ্যবাহী সরদার পরিবারের উত্তরসূরী তিনি। রাজবাড়ী জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘদিন ধরে। বাংলাদেশ কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন সফলভাবে। করোনাকালে সবকিছু স্থবির হয়ে পড়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। অসহায়কে দিয়েছেন সহায়। সাধারণ মানুষ, কৃষিজীবী, পত্রিকা বিক্রেতাসহ সব শ্রেণির মানুষকে সাধ্যমত সাহায্য করেছেন। রাজবাড়ীÑ২ আসন এলাকায় তার জনপ্রিয়তা ঈর্ষণীয়। দু দুবার তিনি কালুখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। জনগণের কাছে নয়, প্রতিবারই হার মানতে হয়েছে প্রভাবশালী মহলের দাপটের কাছে। তার মহানুভবতা, সরলতা, মানুষের প্রতি তার ভালোবাসা তাকে নিয়ে গেছে অন্য এক উচ্চতায়। এসব দেখে সহ্য হচ্ছিলনা প্রভাবশালী ওই মহলটির। তাই নেমেছে নোংরা খেলায়। দিয়েছে অপহরণ মামলা।

মামলার এজাহারে উল্লেখিত তারিখ ও সময়ে নুরে আলম সিদ্দিকী হক ছিলেন ঢাকার বাসায়। অথচ এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই সময়ে তিনি কিশোরী অপহরণে উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

মেয়েটি আদালতকে জানালেন; ‘আমি অপহরণ হইনি, স্বেচ্ছায় প্রেমিকের সাথে গিয়েছি’

প্রকাশের সময় : ০৯:১৪:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জুলাই ২০২০

 

জনতার আদালত অনলাইন ॥ অবশেষে সত্যেরই জয় হলো। আদালতে হাজির হয়ে মেয়েটি জানালেন; আমাকে কেউ অপহরণ করেনি। আমি প্রেমিকের সাথে ঘরবাঁধার জন্য স্বেচ্ছায় বাড়ি ছেড়েছি। শনিবার রাজবাড়ীর ২ নং আমলী আদালতে হাজির হয়ে একথা জানান তিনি।

গত ২৮ জুন তারিখে রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের শিকজান গ্রামের জনৈক ব্যক্তি বাদী হয়ে কালুখালী থানায় অপহরণ মামলা করেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন তার মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে। এ মামলায় দৈনিক জনতার আদালত পত্রিকার সম্পাদক ও কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী হকসহ ছয় জনকে আসামি করা হয়।

এ মামলা দায়েরের পর রাজবাড়ীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে তীব্র প্রতিবাদ ও ঘৃণা জানানো হয়। নুরে আলম সিদ্দিকী হকের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি কুচক্রী মহলের মদদে মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে এমনটিই মনে করেন প্রতিবাদকারীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। মামলার প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার রাজবাড়ী শহরের প্রধান সড়কে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। শনিবারও ঢাকার আশুলিয়ায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এসব প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, কুচক্রী মহলটি  এমনই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে, তাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে ঘৃণ্য পথ বেছে নিয়েছে। যা দুঃখজনক। রাজনীতির নামে এ নোংরামি বন্ধ করার দাবি জানান তারা। একই সাথে অবিলম্বে এ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

শনিবার দুপুরে মামলার ভিকটিম  রাজবাড়ীর ২ নং আমলী আদালতের বিচারক লাবনী আক্তারের কাছে জবানবন্দীতে জানান, আমাকে কেউ অপহরণ করেনি। আমি আমার প্রেমিকের সাথে ঘর বাঁধার উদ্দেশ্যে  স্বেচ্ছায় বাড়ি থেকে গিয়েছি।

মামলার বিচারক ভিকটিমের জবানবন্দী শুনে তার মা-বাবার জিম্মায় দেন।

নুরে আলম সিদ্দিকী হক একজন প্রথিতযশা রাজনীতিবিদ। দৈনিক জনতার আদঅরত পত্রিকার সম্পাদক তিনি। এছাড়া বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) এর রাজবাড়ী জেলা প্রতিনধিরও দায়িত্ব পালন করছেন। রাজবাড়ী পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। বেশ কয়েকটি সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথেও যুক্ত। তার নিজ গ্রাম মৃগীতে শিক্ষার প্রসারে নিরলসভাবে নিভৃতে কাজ করে চলেছেন। মাটি মানুষের সাথে তার সম্পর্ক অতি নিবিড়। কৃষকের প্রাণ তিনি। যে কারো সাহায্যে ঝাঁপিয়ে পড়া তার স্বভাবজাত। অন্যায়ের সাথে কখনও আপোষ করেননি তিনি। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে প্রভাবশালী কুচক্রী মহলটির চক্ষুশূল হয়েছেন তিনি।

নুরে আলম সিদ্দিকী হক দীর্ঘদিন যাবৎ আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। মৃগীর ঐতিহ্যবাহী সরদার পরিবারের উত্তরসূরী তিনি। রাজবাড়ী জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘদিন ধরে। বাংলাদেশ কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন সফলভাবে। করোনাকালে সবকিছু স্থবির হয়ে পড়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। অসহায়কে দিয়েছেন সহায়। সাধারণ মানুষ, কৃষিজীবী, পত্রিকা বিক্রেতাসহ সব শ্রেণির মানুষকে সাধ্যমত সাহায্য করেছেন। রাজবাড়ীÑ২ আসন এলাকায় তার জনপ্রিয়তা ঈর্ষণীয়। দু দুবার তিনি কালুখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। জনগণের কাছে নয়, প্রতিবারই হার মানতে হয়েছে প্রভাবশালী মহলের দাপটের কাছে। তার মহানুভবতা, সরলতা, মানুষের প্রতি তার ভালোবাসা তাকে নিয়ে গেছে অন্য এক উচ্চতায়। এসব দেখে সহ্য হচ্ছিলনা প্রভাবশালী ওই মহলটির। তাই নেমেছে নোংরা খেলায়। দিয়েছে অপহরণ মামলা।

মামলার এজাহারে উল্লেখিত তারিখ ও সময়ে নুরে আলম সিদ্দিকী হক ছিলেন ঢাকার বাসায়। অথচ এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই সময়ে তিনি কিশোরী অপহরণে উপস্থিত ছিলেন।