Dhaka ০৯:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মদাপুরে নারী ইউপি সদস্যসহ বিভিন্ন স্থানে নারী নির্যাতনের ঘটনায় মহিলা পরিষদের উদ্বেগ

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৬:১৪:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মে ২০২০
  • / 564

জনতার আদালত অনলাইন : রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার মদাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্যসহ বিভিন্ন স্থানে নারী নির্যাতনের ঘটনায় মহিলা পরিষদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মহিলা পরিষদ রাজচবাড়ী জেলা শাখা। সংগঠনটির উদ্যোগে রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয়া  হয়েছে।

রাজবাড়ী মহিলা পরিষদের সভাপতি লাইলী নাহার ও সাধারণ সম্পাদক সবিতা চন্দ স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সম্প্রতি মদাপুর ইউনিয়নের  ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য ফাতেমা  বেগমকে  স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামী লগের নেতারা শারীরিক ও মানসিক ভাবে লাঞ্ছিত করেছে। সরকারি ত্রাণ বিতরণের তালিকা স্বচ্ছভাবে করতে তাকে বাধা দেয়। উন্মুক্ত বাজারের মধ্যে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ  করে প্রচন্ড মারধর করে এবং ইউনিয়ন পরিষদের একটি ঘরে অবরুদ্ধ করে প্রাণনাশের চেষ্টা ও শ্লীলতাহানি করে। ফাতেমা বেগম এখন প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

এছাড়া বরাট ইউনিয়নের উড়াকান্দা গ্রামে ছয় বছরের শিশুকে বাবু মন্ডল নামে এক ব্যক্তি ধর্ষণের চেষ্টা করেছে। একই ঘটনা ঘটেছে বসন্তপুর ইউনিয়নেও। কালুখালীর পদ্মার চরে এক নারীকে হত্যা করে ফেলে রেখে যায়। রামকান্তপুর ইউনিয়য়নে রোকসানা বেগম নামে এক নারীকে তার শ্বশুর বাড়ির লোকেরা যৌতুকের জন্য পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে।

এসব ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়েছে।

 

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

মদাপুরে নারী ইউপি সদস্যসহ বিভিন্ন স্থানে নারী নির্যাতনের ঘটনায় মহিলা পরিষদের উদ্বেগ

প্রকাশের সময় : ০৬:১৪:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মে ২০২০

জনতার আদালত অনলাইন : রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার মদাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্যসহ বিভিন্ন স্থানে নারী নির্যাতনের ঘটনায় মহিলা পরিষদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মহিলা পরিষদ রাজচবাড়ী জেলা শাখা। সংগঠনটির উদ্যোগে রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয়া  হয়েছে।

রাজবাড়ী মহিলা পরিষদের সভাপতি লাইলী নাহার ও সাধারণ সম্পাদক সবিতা চন্দ স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সম্প্রতি মদাপুর ইউনিয়নের  ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য ফাতেমা  বেগমকে  স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামী লগের নেতারা শারীরিক ও মানসিক ভাবে লাঞ্ছিত করেছে। সরকারি ত্রাণ বিতরণের তালিকা স্বচ্ছভাবে করতে তাকে বাধা দেয়। উন্মুক্ত বাজারের মধ্যে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ  করে প্রচন্ড মারধর করে এবং ইউনিয়ন পরিষদের একটি ঘরে অবরুদ্ধ করে প্রাণনাশের চেষ্টা ও শ্লীলতাহানি করে। ফাতেমা বেগম এখন প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

এছাড়া বরাট ইউনিয়নের উড়াকান্দা গ্রামে ছয় বছরের শিশুকে বাবু মন্ডল নামে এক ব্যক্তি ধর্ষণের চেষ্টা করেছে। একই ঘটনা ঘটেছে বসন্তপুর ইউনিয়নেও। কালুখালীর পদ্মার চরে এক নারীকে হত্যা করে ফেলে রেখে যায়। রামকান্তপুর ইউনিয়য়নে রোকসানা বেগম নামে এক নারীকে তার শ্বশুর বাড়ির লোকেরা যৌতুকের জন্য পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে।

এসব ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়েছে।