Dhaka 10:20 pm, Monday, 20 March 2023

রাজবাড়ী জেলা পরিষদের জরুরী সভা মতানৈক্য ছাড়াই সমাপ্ত

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : 05:53:57 pm, Monday, 18 May 2020
  • / 1477 জন সংবাদটি পড়েছেন

 

 

গত ১৭মে রোববার দুপুর ১২টায় রাজবাড়ী জেলা পরিষদের জরুরী সভা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জেলা পরিষদের সদস্যগণ ছাড়াও পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (উপ-সচিব) মোঃ রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

জেলা পরিষদের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সভায় গত ১১/৫/২০২০ইং তারিখে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে সম্মানিত প্যানেল চেয়ারম্যান ও সদস্যদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দাখিলকৃত দুর্নীতি ও অনিয়মের মিথ্যা অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে প্রত্যেক সদস্য বক্তব্যের মাধ্যমে তাদের অভিযোগ তুলে ধরেন। বক্তব্য একপর্যায়ে তথাকথিত দুর্নীতি অনিয়ম প্রসঙ্গ ছাপিয়ে সর্বশেষ চেয়ারম্যান কর্তৃক সদস্যদের সাথে ত্রাণ ক্রয়ে সভার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত না নেওয়ার বিষয়টিই গুরুত্ব পায়। এ ছাড়াও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার তথ্যবহুল স্বাগত বক্তব্যে ভিত্তিহীন অভিযোগে উল্লেখিত ২৭.০০(সাতাশ) লক্ষ টাকার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পেরে নিজেরাই বিচলিত হয়ে পড়েন।

চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বার লকডাউন প্রতিকূলতার বিষয়টি তুলে ধরে মোবাইলে সিদ্ধান্ত সেরে নেয়া যাবে ধারণাপ্রসূত সভা না করেই (প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও কিছু সদস্য’র সাথে আলোচনা করে) রাজবাড়ী সদর ও গোয়ালন্দ উপজেলার সদস্যদের জন্য ১০.০০(দশ) লক্ষ টাকার ত্রাণ ক্রয় ও বিতরণ জরুরী মনে করছি মর্মে উল্লেখ করেন। তিনি অবশেষে জরুরি মানবিক দায়িত্ব ভেবে সভা না করেই ত্রাণ ক্রয় ও বিতরণ করার বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন। অতঃপর তিনি পাংশা, বালিয়াকান্দি ও কালুখালী উপজেলার সকল সদস্যদের ১০.০০(দশ) লক্ষ টাকার ত্রাণ সরকারি বিধি মোতাবেক ডিলার নিয়োগের মাধ্যমে ক্রয় করে বিতরণ করার প্রস্তাব করেন। কিন্তু সদস্য মিজানুর রহমান মজনুর নেতৃত্বে ওই তিন উপজেলার সদস্যগণ পূর্বের ন্যায় যে তালিকা দিবে সেই তালিকা অনুসারে (প্রত্যেকের নামে কিছু কিছু করে চেকের মাধ্যমে) ১০.০০(দশ) লক্ষ টাকা প্রদানের অনুরোধ করেন। সভায় উপস্থিত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (উপসচিব) এবং চেয়ারম্যান সরকারি আর্থিক বিধি-বিধান অনুযায়ী ডিলার ব্যতীত প্রস্তাবিত নামের বিপরীতে চেক দেওয়ার সুযোগ না থাকার কথা পূণর্ব্যক্ত করেন। এ প্রেক্ষিতে পাংশা বালিয়াকান্দি ও কালুখালী উপজেলার সদস্যগণ তাদের দাবি পূরণ না হওয়ায় প্রচুর বাকবিত-া, উচ্চবাচ্য প্রদর্শন করে সদস্য মিজানুর রহমান মজনুর নেতৃত্বে উপস্থিতি স্বাক্ষর না করেই সভাস্থল ত্যাগ করেন। এ ছাড়াও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (উপসচিব) মোঃ রফিকুল ইসলাম গত ২৭/৪/২০২০ ইং তারিখে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত আরো ২৭ লক্ষ টাকার ত্রাণ বিতরণ এর ব্যাপারেও সকলের মতামত চান। তিনি আরো উল্লেখ করেন, মূল্যায়ন কমিটির মাধ্যমে ডিলারকে চেক দেয়া যাবে এবং তাদের দেয়া তালিকা অনুযায়ী চেক দেওয়ার কোন সুযোগ না থাকার কথা আবারও ষ্পষ্ট জানিয়ে দেন। সে ক্ষেত্রেও তারা পূর্বের মত প্রদানকৃত তালিকা অনুসারে চেক পেতে সুযোগ না পাওয়ায় এবং অন্যায় স্বার্থসিদ্ধি না হওয়ায় এ বিষয়েও সিদ্ধান্ত ভেস্তে যায়। অবশেষে সিদ্ধান্ত ছাড়াই সভার মুলতবী ঘটে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

রাজবাড়ী জেলা পরিষদের জরুরী সভা মতানৈক্য ছাড়াই সমাপ্ত

প্রকাশের সময় : 05:53:57 pm, Monday, 18 May 2020

 

 

গত ১৭মে রোববার দুপুর ১২টায় রাজবাড়ী জেলা পরিষদের জরুরী সভা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জেলা পরিষদের সদস্যগণ ছাড়াও পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (উপ-সচিব) মোঃ রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

জেলা পরিষদের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সভায় গত ১১/৫/২০২০ইং তারিখে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে সম্মানিত প্যানেল চেয়ারম্যান ও সদস্যদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দাখিলকৃত দুর্নীতি ও অনিয়মের মিথ্যা অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে প্রত্যেক সদস্য বক্তব্যের মাধ্যমে তাদের অভিযোগ তুলে ধরেন। বক্তব্য একপর্যায়ে তথাকথিত দুর্নীতি অনিয়ম প্রসঙ্গ ছাপিয়ে সর্বশেষ চেয়ারম্যান কর্তৃক সদস্যদের সাথে ত্রাণ ক্রয়ে সভার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত না নেওয়ার বিষয়টিই গুরুত্ব পায়। এ ছাড়াও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার তথ্যবহুল স্বাগত বক্তব্যে ভিত্তিহীন অভিযোগে উল্লেখিত ২৭.০০(সাতাশ) লক্ষ টাকার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পেরে নিজেরাই বিচলিত হয়ে পড়েন।

চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বার লকডাউন প্রতিকূলতার বিষয়টি তুলে ধরে মোবাইলে সিদ্ধান্ত সেরে নেয়া যাবে ধারণাপ্রসূত সভা না করেই (প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও কিছু সদস্য’র সাথে আলোচনা করে) রাজবাড়ী সদর ও গোয়ালন্দ উপজেলার সদস্যদের জন্য ১০.০০(দশ) লক্ষ টাকার ত্রাণ ক্রয় ও বিতরণ জরুরী মনে করছি মর্মে উল্লেখ করেন। তিনি অবশেষে জরুরি মানবিক দায়িত্ব ভেবে সভা না করেই ত্রাণ ক্রয় ও বিতরণ করার বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন। অতঃপর তিনি পাংশা, বালিয়াকান্দি ও কালুখালী উপজেলার সকল সদস্যদের ১০.০০(দশ) লক্ষ টাকার ত্রাণ সরকারি বিধি মোতাবেক ডিলার নিয়োগের মাধ্যমে ক্রয় করে বিতরণ করার প্রস্তাব করেন। কিন্তু সদস্য মিজানুর রহমান মজনুর নেতৃত্বে ওই তিন উপজেলার সদস্যগণ পূর্বের ন্যায় যে তালিকা দিবে সেই তালিকা অনুসারে (প্রত্যেকের নামে কিছু কিছু করে চেকের মাধ্যমে) ১০.০০(দশ) লক্ষ টাকা প্রদানের অনুরোধ করেন। সভায় উপস্থিত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (উপসচিব) এবং চেয়ারম্যান সরকারি আর্থিক বিধি-বিধান অনুযায়ী ডিলার ব্যতীত প্রস্তাবিত নামের বিপরীতে চেক দেওয়ার সুযোগ না থাকার কথা পূণর্ব্যক্ত করেন। এ প্রেক্ষিতে পাংশা বালিয়াকান্দি ও কালুখালী উপজেলার সদস্যগণ তাদের দাবি পূরণ না হওয়ায় প্রচুর বাকবিত-া, উচ্চবাচ্য প্রদর্শন করে সদস্য মিজানুর রহমান মজনুর নেতৃত্বে উপস্থিতি স্বাক্ষর না করেই সভাস্থল ত্যাগ করেন। এ ছাড়াও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (উপসচিব) মোঃ রফিকুল ইসলাম গত ২৭/৪/২০২০ ইং তারিখে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত আরো ২৭ লক্ষ টাকার ত্রাণ বিতরণ এর ব্যাপারেও সকলের মতামত চান। তিনি আরো উল্লেখ করেন, মূল্যায়ন কমিটির মাধ্যমে ডিলারকে চেক দেয়া যাবে এবং তাদের দেয়া তালিকা অনুযায়ী চেক দেওয়ার কোন সুযোগ না থাকার কথা আবারও ষ্পষ্ট জানিয়ে দেন। সে ক্ষেত্রেও তারা পূর্বের মত প্রদানকৃত তালিকা অনুসারে চেক পেতে সুযোগ না পাওয়ায় এবং অন্যায় স্বার্থসিদ্ধি না হওয়ায় এ বিষয়েও সিদ্ধান্ত ভেস্তে যায়। অবশেষে সিদ্ধান্ত ছাড়াই সভার মুলতবী ঘটে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি