Dhaka ১০:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অসত্যের বিরুদ্ধে আমার প্রতিবাদ

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৯:১৯:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মে ২০২০
  • / ২০০১ জন সংবাদটি পড়েছেন

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যেমে বিষয়টির প্রতিবাদ জানিয়েছেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বার।
প্রতিবাদলিপির হবহু তুলে ধরা হলো:
গত ১১.০৫.২০২০ইং তারিখে “রাজবাড়ী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ” এই শিরোনামে কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এই বিষয়টি সম্পূর্ণ অসত্য ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। আমার ব্যক্তিগত সুনাম ও জেলা পরিষদের সুন্দর কার্যক্রম স্থবির করার লক্ষ্যে এ ধরনের ভিত্তিহীন তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। সকলের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় অনুমোদিত তহবিল হতে ত্রাণ ক্রয়ের সিদ্ধান্ত উত্থাপিত হলে করোনা মোকাবেলায় সরকার কর্তৃক অনুমোদিত তহবিল সংক্রান্ত ২.৪.২০২০ ইং তারিখের স্মারক নং ৫৬১ পত্রে জেলা পরিষদ ত্রান তহবিল হতে ২০ লক্ষ টাকা দরিদ্রের মাঝে ত্রান বিতরণের অনুমোদন পায়। জেলা পরিষদের সম্মানীত সদস্যবৃন্দের মধ্যে কেউ কেউ উক্ত অনুমোদিত তহবিল হতে নগদ অর্থ বিতরণের জন্যে অর্থ দাবি করেছিলেন। সরকারি বিধি মতে নগদ অর্থ দেওয়ার সুযোগ নেই। তাই নগদ অর্থ না দিয়ে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী জরুরী ভিত্তিতে গরীব দু:খী মানুষের প্রান বাঁচানোর জন্য সরকারি বিধিমতে ত্রান সামগ্রী ক্রয় করে জনগনের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। যাহারা এই বিষয়টির উপর স্বাক্ষর করেছেন তাহাদের মধ্যে ১ জন বাদে কেউ উক্ত বিষয়ে স্বাক্ষর করতে চায় নাই। ইতিপূর্বে জেলা পরিষদের সদস্যদের মধ্যে অনেকেই ক্রয়কৃত ত্রাণ সংগ্রহ করে জনগনের মাঝে বিতরণ করেছেন। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় দেশের মানুষ দিশেহারা। নিজ গৃহে মানুষ আবদ্ধ এবং কর্মসংস্থান বন্ধ। তাই ক্ষুধার্ত মানুষের মধ্যে জরুরী ভিত্তিতে ত্রান বিতরণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে লক ডাউনের মত বিশেষ পরিস্থিতিতে জেলা পরিষদের সভা আহ্বান করা সম্ভব হয়নি। যেহেতু বর্তমানে লকডাউন শিথিল হয়েছে তাই সম্মানীত জেলা পরিষদের সদস্যবৃন্দের সকলের অবগতির জন্য ইতিমধ্যে ১৭ মে ২০২০ ইং তারিখে রোজ রবিবার বেলা ১২টায় জেলা পরিষদের জরুরী সভা আহ্বান করার নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। ত্রান বিতরণের সার্বিক বিষয়টি সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সমন্বয়ে এবং তার পরামর্শে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। গত ১৬ এপ্রিল ২০২০ ইং তারিখে আমি ফকীর আব্দুল জব্বার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে ভিডিও কনফারেন্সে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আমি অনুমোদিত ২০ লক্ষ টাকার অনুদান সম্পর্কে সদয় অবগত করি। আর যে ২৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দের বিষয়ে অভিযোগ করা হয়েছে সেটি কনফারেন্সের ১০দিন পরে অর্থাৎ ২৬ এপ্রিল ২০২০ ইং তারিখে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সরকার বিভাগের জেলা পরিষদ অধিশাখা থেকে ৫৭৫ নং স্মারকে বরাদ্দের প্রসঙ্গে উল্লেখ করেছে। উপরোক্ত অভিযোগটি নিয়ে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব জনাব মো: হেলাল উদ্দিন মহোদয়কে অবগত করা হয়েছে। যেহেতু জননেত্রী শেখ হাসিনা দূর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষনা করেছেন, সেই নির্দেশনা মাথায় রেখে আমি জনগনের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। যত দিন বেঁচে আছি ইনশাল্লাহ দূর্নীতিসহ কোন প্রকার অনিয়মের কাছে মাথা নত করি নাই করবো না। জেলা পরিষদের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার জন্য দলমত নির্বিশেষে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। রাজবাড়ী জেলাবাসীকে আমি অত্যন্ত ভালবাসি, তাদের কল্যানে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে জননেত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনা অনুসারে কাজ করে যাচ্ছি কাজ করো যাবো। আপনাদের সকলের দোয়া চাই। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু। জয় হক বাংলার মেহনতি মানুষের।
ফকীর আব্দুল জব্বার
চেয়ারম্যান
জেলা পরিষদ, রাজবাড়ী।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

অসত্যের বিরুদ্ধে আমার প্রতিবাদ

প্রকাশের সময় : ০৯:১৯:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মে ২০২০

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যেমে বিষয়টির প্রতিবাদ জানিয়েছেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বার।
প্রতিবাদলিপির হবহু তুলে ধরা হলো:
গত ১১.০৫.২০২০ইং তারিখে “রাজবাড়ী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ” এই শিরোনামে কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এই বিষয়টি সম্পূর্ণ অসত্য ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। আমার ব্যক্তিগত সুনাম ও জেলা পরিষদের সুন্দর কার্যক্রম স্থবির করার লক্ষ্যে এ ধরনের ভিত্তিহীন তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। সকলের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় অনুমোদিত তহবিল হতে ত্রাণ ক্রয়ের সিদ্ধান্ত উত্থাপিত হলে করোনা মোকাবেলায় সরকার কর্তৃক অনুমোদিত তহবিল সংক্রান্ত ২.৪.২০২০ ইং তারিখের স্মারক নং ৫৬১ পত্রে জেলা পরিষদ ত্রান তহবিল হতে ২০ লক্ষ টাকা দরিদ্রের মাঝে ত্রান বিতরণের অনুমোদন পায়। জেলা পরিষদের সম্মানীত সদস্যবৃন্দের মধ্যে কেউ কেউ উক্ত অনুমোদিত তহবিল হতে নগদ অর্থ বিতরণের জন্যে অর্থ দাবি করেছিলেন। সরকারি বিধি মতে নগদ অর্থ দেওয়ার সুযোগ নেই। তাই নগদ অর্থ না দিয়ে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী জরুরী ভিত্তিতে গরীব দু:খী মানুষের প্রান বাঁচানোর জন্য সরকারি বিধিমতে ত্রান সামগ্রী ক্রয় করে জনগনের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। যাহারা এই বিষয়টির উপর স্বাক্ষর করেছেন তাহাদের মধ্যে ১ জন বাদে কেউ উক্ত বিষয়ে স্বাক্ষর করতে চায় নাই। ইতিপূর্বে জেলা পরিষদের সদস্যদের মধ্যে অনেকেই ক্রয়কৃত ত্রাণ সংগ্রহ করে জনগনের মাঝে বিতরণ করেছেন। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় দেশের মানুষ দিশেহারা। নিজ গৃহে মানুষ আবদ্ধ এবং কর্মসংস্থান বন্ধ। তাই ক্ষুধার্ত মানুষের মধ্যে জরুরী ভিত্তিতে ত্রান বিতরণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে লক ডাউনের মত বিশেষ পরিস্থিতিতে জেলা পরিষদের সভা আহ্বান করা সম্ভব হয়নি। যেহেতু বর্তমানে লকডাউন শিথিল হয়েছে তাই সম্মানীত জেলা পরিষদের সদস্যবৃন্দের সকলের অবগতির জন্য ইতিমধ্যে ১৭ মে ২০২০ ইং তারিখে রোজ রবিবার বেলা ১২টায় জেলা পরিষদের জরুরী সভা আহ্বান করার নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। ত্রান বিতরণের সার্বিক বিষয়টি সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সমন্বয়ে এবং তার পরামর্শে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। গত ১৬ এপ্রিল ২০২০ ইং তারিখে আমি ফকীর আব্দুল জব্বার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে ভিডিও কনফারেন্সে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আমি অনুমোদিত ২০ লক্ষ টাকার অনুদান সম্পর্কে সদয় অবগত করি। আর যে ২৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দের বিষয়ে অভিযোগ করা হয়েছে সেটি কনফারেন্সের ১০দিন পরে অর্থাৎ ২৬ এপ্রিল ২০২০ ইং তারিখে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সরকার বিভাগের জেলা পরিষদ অধিশাখা থেকে ৫৭৫ নং স্মারকে বরাদ্দের প্রসঙ্গে উল্লেখ করেছে। উপরোক্ত অভিযোগটি নিয়ে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয় সচিব জনাব মো: হেলাল উদ্দিন মহোদয়কে অবগত করা হয়েছে। যেহেতু জননেত্রী শেখ হাসিনা দূর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষনা করেছেন, সেই নির্দেশনা মাথায় রেখে আমি জনগনের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। যত দিন বেঁচে আছি ইনশাল্লাহ দূর্নীতিসহ কোন প্রকার অনিয়মের কাছে মাথা নত করি নাই করবো না। জেলা পরিষদের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার জন্য দলমত নির্বিশেষে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। রাজবাড়ী জেলাবাসীকে আমি অত্যন্ত ভালবাসি, তাদের কল্যানে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে জননেত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনা অনুসারে কাজ করে যাচ্ছি কাজ করো যাবো। আপনাদের সকলের দোয়া চাই। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু। জয় হক বাংলার মেহনতি মানুষের।
ফকীর আব্দুল জব্বার
চেয়ারম্যান
জেলা পরিষদ, রাজবাড়ী।