Dhaka ১১:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে প্রতিদিনই পার হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ : বাড়ছে করোনা ঝুঁকি

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ১১:১৬:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ মে ২০২০
  • / ১৪৩৬ জন সংবাদটি পড়েছেন

 

জনতার আদালত অনলাইন :

করোনা ভাইরাস সংক্রমন রোধে সারা দেশে গণপরিবহন বন্ধ রেখেছে সরকার। কিন্তু মানুষ থেমে নেই। জীবন-জীবিকার তাগিদে আরো অধিক ঝুকিনিয়ে চলাচল করতেই হচ্ছে। এ কারণে দেশের ব্যস্ততম দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট দিয়ে পদ্মা পারি দিচ্ছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ। এখানে নেই সামাজিক দুরত্বের বালাই।

জানা যায়, পোশাক কারখানাসহ বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান চালুর ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এ সকল প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক ও কর্মীরা কাজে যোগ দিতে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাটে ভীড় করছে। গন-পরিবহন বন্ধ থাকালেও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের লাখ লাখ শ্রমজীবী মানুষ ব্যাটারি চালিত অটোবাইক, মোটরসাইকেল ও মাহেন্দ্রযোগে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে নদী পার হয়ে ঢাকাসহ আশ-পাশের বিভিন্ন জেলায় কর্মস্থলে যাচ্ছে। পাশাপাশি ঢাকা থেকেও আসছে অসংখ্য যাত্রী। করোনা দুর্যোগ কালে যাওয়া-আসার এই প্রতিযোগিতায় সামাজিক দূরত্ব মানা তো দুরের কথা বরং গাদাগাদি করে ফেরিতে উঠাই যেন সফলতা।

শ্রমজীবী যাত্রীরা জানায়, আজ প্রায় ২ মাস হলো কাজ-কাম বন্ধ সামনে ঈদ কাজে না গেলে বেতন-বোনাস কিছুই পামুনা। তাই বাধ্য হয়েই করোনা ভাইরাস সংক্রমনের ঝুঁকি উপেক্ষা করে কাজে যাচ্ছি। মহাসড়কে গণপরিবহন না থাকায় গাদাগাদি করে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে অটোরিক্সা বা মোটর সাইকেলে করে ঘাট পর্যন্ত  এসে ফেরিতে উঠেছি।

ঘাট সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, করোনা ভাইরাস সংক্রমন রোধে শুধুমাত্র এ্যাম্বুলেন্স ও জরুরী পন্যবাহি যানবাহন পারাপারের জন্য দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-পথে সীমিত আকারে ২টি রোরো (বড়) ও ৪ টি ইউটিলিটি (ছোট) সহ মোট ৬টি ফেরি সচল রাখা হয়েছে। কর্মমূখী ও ঘরে ফেরা মানুষের অতিরিক্ত চাপের কারণে তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি আরোও বেড়েই যাচ্ছে। গত ২৬ এপ্রিল ২জন ও ৩০ এপ্রিল ৩জন ও ০৬ মে ১জন বিআইডব্লিউটিসিতে কর্মরত কর্মীর শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় সংস্থাটিতে কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারিদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। এরপরেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ২৪ ঘন্টা ফেরি চলাচল সচল রেখেছে বিআইডব্লিউটিসি’র কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ।

এদিকে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে সীমিত আকারে চলাচলকারী ফেরিতে সাধারন যাত্রী উঠায় স্থানীয় প্রশাসন বাঁধা দিলেও বর্তমানে তা নেই। যার যেমন খুশি তেমন ভাবেই ফেরির যাত্রী হয়ে যাচ্ছেন।

বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ রনি জানান, জরুরী যানবাহন পারাপারে শুরু থেকেই সীমিত আকারে ফেরি সার্ভিস চালু রাখা হয়েছিল। চলাচলকারী ওই সকল ফেরিতে সাধরন যাত্রীরা উঠে পড়লে তা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে প্রতিদিনই পার হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ : বাড়ছে করোনা ঝুঁকি

প্রকাশের সময় : ১১:১৬:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ মে ২০২০

 

জনতার আদালত অনলাইন :

করোনা ভাইরাস সংক্রমন রোধে সারা দেশে গণপরিবহন বন্ধ রেখেছে সরকার। কিন্তু মানুষ থেমে নেই। জীবন-জীবিকার তাগিদে আরো অধিক ঝুকিনিয়ে চলাচল করতেই হচ্ছে। এ কারণে দেশের ব্যস্ততম দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট দিয়ে পদ্মা পারি দিচ্ছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ। এখানে নেই সামাজিক দুরত্বের বালাই।

জানা যায়, পোশাক কারখানাসহ বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান চালুর ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এ সকল প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক ও কর্মীরা কাজে যোগ দিতে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাটে ভীড় করছে। গন-পরিবহন বন্ধ থাকালেও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের লাখ লাখ শ্রমজীবী মানুষ ব্যাটারি চালিত অটোবাইক, মোটরসাইকেল ও মাহেন্দ্রযোগে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে নদী পার হয়ে ঢাকাসহ আশ-পাশের বিভিন্ন জেলায় কর্মস্থলে যাচ্ছে। পাশাপাশি ঢাকা থেকেও আসছে অসংখ্য যাত্রী। করোনা দুর্যোগ কালে যাওয়া-আসার এই প্রতিযোগিতায় সামাজিক দূরত্ব মানা তো দুরের কথা বরং গাদাগাদি করে ফেরিতে উঠাই যেন সফলতা।

শ্রমজীবী যাত্রীরা জানায়, আজ প্রায় ২ মাস হলো কাজ-কাম বন্ধ সামনে ঈদ কাজে না গেলে বেতন-বোনাস কিছুই পামুনা। তাই বাধ্য হয়েই করোনা ভাইরাস সংক্রমনের ঝুঁকি উপেক্ষা করে কাজে যাচ্ছি। মহাসড়কে গণপরিবহন না থাকায় গাদাগাদি করে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে অটোরিক্সা বা মোটর সাইকেলে করে ঘাট পর্যন্ত  এসে ফেরিতে উঠেছি।

ঘাট সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, করোনা ভাইরাস সংক্রমন রোধে শুধুমাত্র এ্যাম্বুলেন্স ও জরুরী পন্যবাহি যানবাহন পারাপারের জন্য দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-পথে সীমিত আকারে ২টি রোরো (বড়) ও ৪ টি ইউটিলিটি (ছোট) সহ মোট ৬টি ফেরি সচল রাখা হয়েছে। কর্মমূখী ও ঘরে ফেরা মানুষের অতিরিক্ত চাপের কারণে তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি আরোও বেড়েই যাচ্ছে। গত ২৬ এপ্রিল ২জন ও ৩০ এপ্রিল ৩জন ও ০৬ মে ১জন বিআইডব্লিউটিসিতে কর্মরত কর্মীর শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় সংস্থাটিতে কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারিদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। এরপরেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ২৪ ঘন্টা ফেরি চলাচল সচল রেখেছে বিআইডব্লিউটিসি’র কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ।

এদিকে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে সীমিত আকারে চলাচলকারী ফেরিতে সাধারন যাত্রী উঠায় স্থানীয় প্রশাসন বাঁধা দিলেও বর্তমানে তা নেই। যার যেমন খুশি তেমন ভাবেই ফেরির যাত্রী হয়ে যাচ্ছেন।

বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ রনি জানান, জরুরী যানবাহন পারাপারে শুরু থেকেই সীমিত আকারে ফেরি সার্ভিস চালু রাখা হয়েছিল। চলাচলকারী ওই সকল ফেরিতে সাধরন যাত্রীরা উঠে পড়লে তা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।