Dhaka ০১:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ী স্টেডিয়ামে কাঁচাবাজার স্থানান্তর করতে চায় প্রশাসন, ব্যবসায়ীদের আপত্তি

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৬:২৪:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২০
  • / ১৭৮৮ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥ করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার লক্ষ্যে রাজবাড়ী কাজী হেদায়েত স্টেডিয়ামে কাঁচাবাজার স্থানান্তর করতে চায় প্রশাসন। ইতিমধ্যে সেখানে অস্থায়ী শেডও নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা নানা যুক্তি দেখিয়ে সেখানে যেতে আপত্তি জানিয়েছে।
রাজবাড়ী শহরের মধ্যে অবস্থিত রাজবাড়ীর মূল বাজারটি। বিনোদপুর পুরাতন গরুর হাটে রয়েছে তরকারির আড়ৎ। আড়তের ৫০ গজ দূরে মাছ ও মাংস বাজার। মাছ ও মাংস বাজার লাগোয়া তরকারি বাজার। যেকারণে কেনাকাটা করতে ক্রেতাদের খুব একটা অসুবিধা হয়না। রাজবাড়ী শহরের আশপাশ ছাড়াও ধুঞ্চি, গোদারবাজার, দাদশী, বোলতাসহ নানান স্থান থেকে মানুষ আসে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজবাড়ী বাজারে দুই শতাধিক কাঁচামাল ব্যবসায়ী রয়েছেন।
সম্প্রতি করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে সবকিছু বন্ধ থাকলেও খোলা আছে কাঁচাবাজার। মাঝে মধ্যেই দোকানগুলোতে ভিড় লক্ষ্য করা যায়। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় প্রশাসন কাঁচাবাজারটি মূল বাজার থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরে বড়পুলে অবস্থিত রাজবাড়ী স্টেডিয়ামে স্থানান্তরের উদ্যোগ নিয়েছে। সেখানে বাঁশ, টিন, সামিয়ানা দিয়ে শেডও নির্মাণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান চালালে ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে দেন। দুপুরে রাজবাড়ী স্টেডিয়ামে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে কোনো দোকান তখনও বসেনি।
কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা জানান, সেখানে তারা যেতে চান না। কারণ, যেসব এলাকা থেকে বাজারে কেনাকাটা করতে আসে তারা কখনই সেখানে যাবেনা। ফলে তাদের বেচাকেনা হবেনা। আর স্টেডিয়ামের অদূরে নতুনবাজার ও শ্রীপুরে আরও দুটি বাজার আছে। ওই এলাকার মানুষ সেখান থেকেই সওদা করবে। মালপত্র একবার টেনে নিয়ে সেখানে যেতে অনেক টাকা পয়সা খরচ হবে। বেচাকেনা না হলে তাদের আর্থিক ক্ষতি হবে। প্রয়োজনে তারা দোকান বন্ধ রাখবেন তবু সেখানে যাবেন না।
তারা অভিযোগ করেন, তাদের সাথে কোনো প্রকার আলোচনা না করেই স্টেডিয়ামে বাজার স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম বলেন, কাঁচাবাজারগুলো খোলা মাঠে স্থানান্তর এটি সরকারি সিদ্ধান্ত। সবকিছু বিচার বিবেচনা করে স্টেডিয়ামে কাঁচাবাজার স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সরকারি সিদ্ধান্ত তাদের মানতে হবে। আর সেখানে না গিয়েই ভালো হবে না খারাপ হবে তা বলা যায়না।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

রাজবাড়ী স্টেডিয়ামে কাঁচাবাজার স্থানান্তর করতে চায় প্রশাসন, ব্যবসায়ীদের আপত্তি

প্রকাশের সময় : ০৬:২৪:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২০

জনতার আদালত অনলাইন ॥ করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার লক্ষ্যে রাজবাড়ী কাজী হেদায়েত স্টেডিয়ামে কাঁচাবাজার স্থানান্তর করতে চায় প্রশাসন। ইতিমধ্যে সেখানে অস্থায়ী শেডও নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা নানা যুক্তি দেখিয়ে সেখানে যেতে আপত্তি জানিয়েছে।
রাজবাড়ী শহরের মধ্যে অবস্থিত রাজবাড়ীর মূল বাজারটি। বিনোদপুর পুরাতন গরুর হাটে রয়েছে তরকারির আড়ৎ। আড়তের ৫০ গজ দূরে মাছ ও মাংস বাজার। মাছ ও মাংস বাজার লাগোয়া তরকারি বাজার। যেকারণে কেনাকাটা করতে ক্রেতাদের খুব একটা অসুবিধা হয়না। রাজবাড়ী শহরের আশপাশ ছাড়াও ধুঞ্চি, গোদারবাজার, দাদশী, বোলতাসহ নানান স্থান থেকে মানুষ আসে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজবাড়ী বাজারে দুই শতাধিক কাঁচামাল ব্যবসায়ী রয়েছেন।
সম্প্রতি করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে সবকিছু বন্ধ থাকলেও খোলা আছে কাঁচাবাজার। মাঝে মধ্যেই দোকানগুলোতে ভিড় লক্ষ্য করা যায়। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় প্রশাসন কাঁচাবাজারটি মূল বাজার থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরে বড়পুলে অবস্থিত রাজবাড়ী স্টেডিয়ামে স্থানান্তরের উদ্যোগ নিয়েছে। সেখানে বাঁশ, টিন, সামিয়ানা দিয়ে শেডও নির্মাণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান চালালে ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে দেন। দুপুরে রাজবাড়ী স্টেডিয়ামে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে কোনো দোকান তখনও বসেনি।
কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা জানান, সেখানে তারা যেতে চান না। কারণ, যেসব এলাকা থেকে বাজারে কেনাকাটা করতে আসে তারা কখনই সেখানে যাবেনা। ফলে তাদের বেচাকেনা হবেনা। আর স্টেডিয়ামের অদূরে নতুনবাজার ও শ্রীপুরে আরও দুটি বাজার আছে। ওই এলাকার মানুষ সেখান থেকেই সওদা করবে। মালপত্র একবার টেনে নিয়ে সেখানে যেতে অনেক টাকা পয়সা খরচ হবে। বেচাকেনা না হলে তাদের আর্থিক ক্ষতি হবে। প্রয়োজনে তারা দোকান বন্ধ রাখবেন তবু সেখানে যাবেন না।
তারা অভিযোগ করেন, তাদের সাথে কোনো প্রকার আলোচনা না করেই স্টেডিয়ামে বাজার স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম বলেন, কাঁচাবাজারগুলো খোলা মাঠে স্থানান্তর এটি সরকারি সিদ্ধান্ত। সবকিছু বিচার বিবেচনা করে স্টেডিয়ামে কাঁচাবাজার স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সরকারি সিদ্ধান্ত তাদের মানতে হবে। আর সেখানে না গিয়েই ভালো হবে না খারাপ হবে তা বলা যায়না।