Dhaka ১০:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনা ভাইরাস সংক্রমণে কর্মহীন প্রান্তিক জনগোষ্ঠির মানবেতর জীবনযাপন

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৪২:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ এপ্রিল ২০২০
  • / ১৫৪৬ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥ এই সময়ে বৈশাখী মেলায় পসরা সাজানো নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথা ছিল তাদের। আর এখন তারা পার করছে অলস সময়। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে রাজবাড়ীর পাঁচটি উপজেলার প্রান্তিক জনগোষ্ঠির মানুষ বেকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
রাজবাড়ী সদর, গোয়ালন্দ, কালুখালী, পাংশা, বালিয়াকান্দি উপজেলার প্রায় প্রতিটি গ্রামেই ছড়িয়ে রয়েছে সংখ্যালঘু, দলিত সম্প্রদদায় ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠির বসবাস। এদের বেশির ভাগই বাঁশ, বেত, মাটির তৈরী তৈজসপত্র তৈরি করে বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করে। যারা সকলেই নি¤œ আয়ের মানুষ। সারা বছর আশা করে থাকে পয়লা বৈশাখে মেলায় তারা বেচাকেনা করে ছেলেমেয়েদের শখের জিনিস কিনে দেবে। এবার বৈশাখী মেলা বন্ধ। তারাও হয়ে পড়েছে বেকার। নেই কোনো কাজকর্ম।
বালিয়াকান্দি উপজেলার সদর ইউনিয়নের পুর্ব মৌকুড়ি ঋষি পল্লীর বাসিন্দা মিলন দাস, বিপুল কুমার দাস জানান, তারা বেশির ভাগই বাঁশ ও বেতের তৈরী সামগ্রী তৈরী করে সংসার চালিয়ে আসছেন। করোনা সংক্রমণের কারণে তাদের দোকান বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে পড়েছেন। ফলে কষ্টের মধ্যেই চলছে তাদের সংসার।
রাজবাড়ী সদর উপজেলার ভবদিয়া পালপাড়ার বিজন পাল জানান, তারা মাটির তৈরি বিভিন্ন খেলনা, বাসনপত্র, হাড়ি, পাতিল ইত্যাদি তৈরি করেন। সারা বছর তারা অপেক্ষা করেন বৈশাখী মেলার জন্য। মেলা এলেই দোকান দিয়ে বেচাকেনা করে ভালই লাভ হয়। এবার হলোনা। তারা এখন বেকার সময় পার করছেন।
ঋষিপল্লীর শ্যাম, উত্তম, রমেন, সঞ্জয় জানান, দলিত সম্প্রদায়ের উৎপাদিত পণ্য করোনার কারণে বিক্রি বন্ধ হয়ে গেছে। তাদের পরিবারের সদস্যদের সরকাারি সহায়তার সুযোগ সৃষ্টি নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি।
রাজবাড়ী জেলা দলিত-পঞ্চায়েত ফোরামের সভাপতি বাসুদেব কুমার দাস বলেন, জেলার সব উপজেলায় ছড়িয়ে রয়েছে প্রান্তিক জনগোষ্টির নি¤œ আয়ের মানুষ। এদের সহযোগিতায় সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

করোনা ভাইরাস সংক্রমণে কর্মহীন প্রান্তিক জনগোষ্ঠির মানবেতর জীবনযাপন

প্রকাশের সময় : ০৬:৪২:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ এপ্রিল ২০২০

জনতার আদালত অনলাইন ॥ এই সময়ে বৈশাখী মেলায় পসরা সাজানো নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথা ছিল তাদের। আর এখন তারা পার করছে অলস সময়। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে রাজবাড়ীর পাঁচটি উপজেলার প্রান্তিক জনগোষ্ঠির মানুষ বেকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।
রাজবাড়ী সদর, গোয়ালন্দ, কালুখালী, পাংশা, বালিয়াকান্দি উপজেলার প্রায় প্রতিটি গ্রামেই ছড়িয়ে রয়েছে সংখ্যালঘু, দলিত সম্প্রদদায় ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠির বসবাস। এদের বেশির ভাগই বাঁশ, বেত, মাটির তৈরী তৈজসপত্র তৈরি করে বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করে। যারা সকলেই নি¤œ আয়ের মানুষ। সারা বছর আশা করে থাকে পয়লা বৈশাখে মেলায় তারা বেচাকেনা করে ছেলেমেয়েদের শখের জিনিস কিনে দেবে। এবার বৈশাখী মেলা বন্ধ। তারাও হয়ে পড়েছে বেকার। নেই কোনো কাজকর্ম।
বালিয়াকান্দি উপজেলার সদর ইউনিয়নের পুর্ব মৌকুড়ি ঋষি পল্লীর বাসিন্দা মিলন দাস, বিপুল কুমার দাস জানান, তারা বেশির ভাগই বাঁশ ও বেতের তৈরী সামগ্রী তৈরী করে সংসার চালিয়ে আসছেন। করোনা সংক্রমণের কারণে তাদের দোকান বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে পড়েছেন। ফলে কষ্টের মধ্যেই চলছে তাদের সংসার।
রাজবাড়ী সদর উপজেলার ভবদিয়া পালপাড়ার বিজন পাল জানান, তারা মাটির তৈরি বিভিন্ন খেলনা, বাসনপত্র, হাড়ি, পাতিল ইত্যাদি তৈরি করেন। সারা বছর তারা অপেক্ষা করেন বৈশাখী মেলার জন্য। মেলা এলেই দোকান দিয়ে বেচাকেনা করে ভালই লাভ হয়। এবার হলোনা। তারা এখন বেকার সময় পার করছেন।
ঋষিপল্লীর শ্যাম, উত্তম, রমেন, সঞ্জয় জানান, দলিত সম্প্রদায়ের উৎপাদিত পণ্য করোনার কারণে বিক্রি বন্ধ হয়ে গেছে। তাদের পরিবারের সদস্যদের সরকাারি সহায়তার সুযোগ সৃষ্টি নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি।
রাজবাড়ী জেলা দলিত-পঞ্চায়েত ফোরামের সভাপতি বাসুদেব কুমার দাস বলেন, জেলার সব উপজেলায় ছড়িয়ে রয়েছে প্রান্তিক জনগোষ্টির নি¤œ আয়ের মানুষ। এদের সহযোগিতায় সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি।