Dhaka ১২:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশু মাইমুনাকে বাঁচাতে হতদরিদ্র বাবার আকুতি

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ১০:০৭:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • / ১৪১৯ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥ পৃথিবীতে বাবা-মায়ের কাছে সন্তান সবচেয়ে প্রিয়। সেই সন্তান হোক না যতই খারাপ বা মরণব্যাধীর মত রোগে আক্রান্ত। তাই সন্তানকে বাঁচাতে নিজের সর্বস্ব দিয়েই চেষ্টা করেন বাবা-মা। তারা কখনই চোখের সামনে নিজের সন্তানকে ধুকে ধুকে মরতে দেখতে চান না ।
মাইমুনা আক্তার (৭), ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত। চিকিৎসার জন্য এই মুহুর্তে প্রয়োজন প্রায় ১২ লক্ষ টাকা। কিন্তু কাঠমিস্ত্রি বাবা রাজু আহম্মেদের নাই চিকিৎসার সামর্থ। তাই অসহায় হয়ে একমাত্র মেয়ের চিকিৎসার খরচ জোগাতে ঘুরছেন নিজের আত্মীয়-স্বজন ও সমাজের বৃত্তবানদের দ্বারে দ্বারে এবং সহযোগীতা কামনা করেছে সমাজের হৃদয়বান ব্যাক্তিদের কাছে।
মাইমুনা রাজবাড়ী সদর উপজেলা পৌরসভার ধুনচি গ্রামের রাজু আহম্মেদের মেয়ে। দুই সন্তানের মধ্যে মাইমুনা ছোট এবং গোদার বাজার মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেনীর ছাত্রী। অসুস্থতার কারণে এখন আর ঠিকমত স্কুলে যেতে পারছে না। বাবা রাজু আহম্মেদ, পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি। পৈত্রিক ভিটায় বাড়ী ছারা তার নিজস্ব বলে কিছুই নেই।
যে বয়সে দুরন্তপনার সাথে ছুটে চলা, হৈ-হুল্লা ও সহপাঠীদের সাথে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার কথা। ঠিক সে সময়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালের বেডে শুয়ে বসে দিন কাটছে মাইমুনার। বর্তমানে মাইমুনা ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সম্প্রতি মাইমুনাকে ভারতের ভেলুরের সিএমসি হাসপাতালে নেওয়া হলে, সেখানকার চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানিয়েছেন মাইমুনার যে মরণব্যাধী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে। সেটা এখন দ্বিতীয় পর্যায়ে আছে। সঠিক ভাবে চিকিৎসা করাতে পারলে হয়তো উপরওলার ইচ্ছায় আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে মাইমুনা। কিন্তু তাতে প্রয়োজন প্রায় ১২ লক্ষ টাকা। এদিকে রোগে আক্রান্ত হবার পর মাইমুনার চিকিৎসা করাতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। যা জেলা প্রশাসকসহ তাদের নিকট আত্মীয়-স্বজনসহ অনেকের মাধ্যমে ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু এখন আর চিকিৎসার খরচ জোগানোর সামর্থ্য নাই মাইমুনার বাবা রাজু আহম্মেদের। তাই সমাজের হৃদয়বান ও বৃত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছেন মাইমুনার বাবা-মা।
গোদার বাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোকছেদুর রহমান মোমিন বলেন, মাইমুনা শান্ত সভাবের একটি মেয়ে। হঠাৎ যখন জানতে পারলেন সে ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত, তখন তার বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিল। এই বয়সে সৃষ্টিকর্তা ওকে এতো বড় রোগ দিয়েছেন। পরবর্তীতে তিনি মাইমুনার পরিবারের সাথে কথা বলেন এবং সহযোগিতার জন্য বিভিন্নস্থানে যোগাযোগ করেছেন। তাছাড়া ব্যাক্তিগত ভাবে নিজে থেকে সহযোগিতা করেছেন। কিন্তু এভাবে তো লক্ষ লক্ষ টাকা জোগার করা সম্ভব না। তাই সমাজের বৃত্ত ও হৃদয়বান ব্যাক্তিদের মাইমুনাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসতে অনুরোধ করেন।
মাইমুনার বাবা রাজু আহম্মেদ বলেন, ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে হঠাৎ করে তার মেয়ে মাইমুনার জ্বর হয়। সেই সাথে বমি হতে থাকে। সে সময় তাৎক্ষনিক জেলা শহরের কুদ্দস ডাক্টাররের কাছে নিয়ে গেলে তিনি হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। পড়ে সেখান থেকে হাসপাতালে নেবার পর চিকিৎসকরা মাইমুনাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে ২দিন চিকিৎসার পর ডাক্টাররা মাইমুনাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যেতে বলেন। ওই দিনই ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসেন। সেখানে ৮ দিন ভর্তি থেকে চিকিৎসা করার পর বাড়ীতে চলে আসেন। বাড়ী এসে ২ সপ্তাহ থাকার পর আবার ঢাকার নিয়ে গ্রীন ভিউ ক্লিনিকের ইউনুস ডাক্টারের তত্বাবধায়নে মাইমুনার বনমেরু করটান। এরপর আবার বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বনমেরু করার পর রক্ত স্বল্পতা দেখো দেয়। সে সময় ৪ ব্যাগ রক্ত দিয়ে আবার বাড়ীতে চলে আসেন। বাড়ীতে আসার কয়েকদিন পর মাইমুনার আবার রক্ত বমি হতে থাকলে পরদিন আবার ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান। ওই সময় আবার ৪ ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়, যার ১ ব্যাগ রক্তের মূল্যে ১৩ হাজার ৪৫০ টাকা। তখন মাইমুনার শরীরের রক্তের স্তর দেড় লাখ বা তার উপরে থাকার কথা, কিন্তু তখন স্তর ছিল মাত্র ৩ হাজার। সে মুহুর্তে ডাক্টাররা বোর্ড বসিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ৪ কৌটা এ্যালটোব ট্যাবলেট লিখে দেন। ৪ কৌটা ট্যাবেলেটের দাম নেয় ১৬ হাজার টাকা। এরপর রক্তের স্তর বেড়ে ২৬ হাজারে ওঠে। পড়ে মালিবাগের পদ্মা ডায়াগোনেস্টিক সেন্টারে নিয়ে ডাক্টার জলিল মাইমুনার হাড় কেঁটে টেস্ট করলে ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়ে। সে সময় ডাক্টাররা বলেন মাইমুনাকে সুস্থ্য করতে চিকিৎসার জন্য প্রায় ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা লাগবে বলে জানান। কিন্তু এতো টাকা তিনি কোথায় পাবেন। সামান্য কাঠমিস্ত্রির কাজ করে সংসার চালান। পরিবারে স্ত্রীসহ আরেকটি সন্তান রয়েছে। ডিসি স্যারসহ অনেক আত্মীয় স্বজন ৫/১০ হাজার করে দিয়ে সহযোগীতা করেছে। বাবা হিসেবে মেয়ের কষ্ট আর সহ্য করতে না পেরে ধার-দেনা হয়ে জানুয়ারী মাসে ভারতের ভেলুরের সিএমসি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে জানিয়েছেন সঠিক চিকিৎসা করাতে পারলে হয়তো ভাল হয়ে উঠতে পারে তার মেয়ে। কিন্তু তাতেও খরচ হবে হবে প্রায় ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা। এখন পর্যন্ত মেয়ের চিকিৎসার জন্য প্রায় ৫ লক্ষ টাকার বেশি খরচ হয়েছে। এখন আর কোথায় যাবেন। নিজের কোন জমি-জমাও নাই, যে তা বিক্রি করে মেয়ের চিকিৎসার খরচ জোগাড় করবেন। এখন আল্লাহর উপর ভরসা করে সমাজের বৃত্তবান ও হৃদয়বান ব্যাক্তিদের সহযোগীতা কামনা করছেন। টাকার ব্যবস্থা না হলে তার মাইমুনাকে বাঁচাতে পারবেন না। বর্তমানে ওর অবস্থা ভাল না, তাই ৩ থেকে ৪ দিন পর পর নিয়মিত রক্ত দিতে হচ্ছে। একা মানুষ মেয়ের পাশে থাকবেন, নাকি চিকিৎসার খরচ জোগার করবেন। নিয়মিত ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে দৌড়া দৌড়ি করতে গিয়ে নিজের কাজ করতে পারছেন না। যে কারণে ঢাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতে হচ্ছে। হাসপাতালে তো আর সবাই থাকা যায় না।
এছাড়া তার নিজেরও তো সামর্থ নাই চিকিৎসা করানোর। তাই ক্যান্সারে আক্রান্ত মেয়েকে বাঁচাতে সমাজের বৃত্তবান ও হৃদয়বান ব্যাক্তিদের কাছে হাত জোর করে অনুরোধ জানান, মাইমুনাকে বাঁচাতে একটু সহযোগিতার জন্য। সবাই মিলে যদি সহযোগিতা করে তাহলে তার মেয়ে মাইমুনা বেঁচে যাবে এবং সুস্থ্য হয়ে আবার হৈ হুল্লোর করে তার সামনে দিয়ে ঘুরে বেড়াবে। এ জন্য তিনি সারাজীবন সবার কাছে কৃতজ্ঞ থাকবেন।
মাইমুনাকে সহযোগীতা করতে ইসলামী ব্যাংক রাজবাড়ী শাখা (বাবা) রাজু আহম্মেদ, হিসাব নং- ১০৫৪ এবং বিকাশ ঃ ০১৭১৪-২৯৬৯০৮।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশু মাইমুনাকে বাঁচাতে হতদরিদ্র বাবার আকুতি

প্রকাশের সময় : ১০:০৭:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০

জনতার আদালত অনলাইন ॥ পৃথিবীতে বাবা-মায়ের কাছে সন্তান সবচেয়ে প্রিয়। সেই সন্তান হোক না যতই খারাপ বা মরণব্যাধীর মত রোগে আক্রান্ত। তাই সন্তানকে বাঁচাতে নিজের সর্বস্ব দিয়েই চেষ্টা করেন বাবা-মা। তারা কখনই চোখের সামনে নিজের সন্তানকে ধুকে ধুকে মরতে দেখতে চান না ।
মাইমুনা আক্তার (৭), ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত। চিকিৎসার জন্য এই মুহুর্তে প্রয়োজন প্রায় ১২ লক্ষ টাকা। কিন্তু কাঠমিস্ত্রি বাবা রাজু আহম্মেদের নাই চিকিৎসার সামর্থ। তাই অসহায় হয়ে একমাত্র মেয়ের চিকিৎসার খরচ জোগাতে ঘুরছেন নিজের আত্মীয়-স্বজন ও সমাজের বৃত্তবানদের দ্বারে দ্বারে এবং সহযোগীতা কামনা করেছে সমাজের হৃদয়বান ব্যাক্তিদের কাছে।
মাইমুনা রাজবাড়ী সদর উপজেলা পৌরসভার ধুনচি গ্রামের রাজু আহম্মেদের মেয়ে। দুই সন্তানের মধ্যে মাইমুনা ছোট এবং গোদার বাজার মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেনীর ছাত্রী। অসুস্থতার কারণে এখন আর ঠিকমত স্কুলে যেতে পারছে না। বাবা রাজু আহম্মেদ, পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি। পৈত্রিক ভিটায় বাড়ী ছারা তার নিজস্ব বলে কিছুই নেই।
যে বয়সে দুরন্তপনার সাথে ছুটে চলা, হৈ-হুল্লা ও সহপাঠীদের সাথে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার কথা। ঠিক সে সময়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালের বেডে শুয়ে বসে দিন কাটছে মাইমুনার। বর্তমানে মাইমুনা ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সম্প্রতি মাইমুনাকে ভারতের ভেলুরের সিএমসি হাসপাতালে নেওয়া হলে, সেখানকার চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানিয়েছেন মাইমুনার যে মরণব্যাধী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে। সেটা এখন দ্বিতীয় পর্যায়ে আছে। সঠিক ভাবে চিকিৎসা করাতে পারলে হয়তো উপরওলার ইচ্ছায় আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে মাইমুনা। কিন্তু তাতে প্রয়োজন প্রায় ১২ লক্ষ টাকা। এদিকে রোগে আক্রান্ত হবার পর মাইমুনার চিকিৎসা করাতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। যা জেলা প্রশাসকসহ তাদের নিকট আত্মীয়-স্বজনসহ অনেকের মাধ্যমে ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু এখন আর চিকিৎসার খরচ জোগানোর সামর্থ্য নাই মাইমুনার বাবা রাজু আহম্মেদের। তাই সমাজের হৃদয়বান ও বৃত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছেন মাইমুনার বাবা-মা।
গোদার বাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোকছেদুর রহমান মোমিন বলেন, মাইমুনা শান্ত সভাবের একটি মেয়ে। হঠাৎ যখন জানতে পারলেন সে ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত, তখন তার বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিল। এই বয়সে সৃষ্টিকর্তা ওকে এতো বড় রোগ দিয়েছেন। পরবর্তীতে তিনি মাইমুনার পরিবারের সাথে কথা বলেন এবং সহযোগিতার জন্য বিভিন্নস্থানে যোগাযোগ করেছেন। তাছাড়া ব্যাক্তিগত ভাবে নিজে থেকে সহযোগিতা করেছেন। কিন্তু এভাবে তো লক্ষ লক্ষ টাকা জোগার করা সম্ভব না। তাই সমাজের বৃত্ত ও হৃদয়বান ব্যাক্তিদের মাইমুনাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসতে অনুরোধ করেন।
মাইমুনার বাবা রাজু আহম্মেদ বলেন, ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে হঠাৎ করে তার মেয়ে মাইমুনার জ্বর হয়। সেই সাথে বমি হতে থাকে। সে সময় তাৎক্ষনিক জেলা শহরের কুদ্দস ডাক্টাররের কাছে নিয়ে গেলে তিনি হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। পড়ে সেখান থেকে হাসপাতালে নেবার পর চিকিৎসকরা মাইমুনাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে ২দিন চিকিৎসার পর ডাক্টাররা মাইমুনাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যেতে বলেন। ওই দিনই ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসেন। সেখানে ৮ দিন ভর্তি থেকে চিকিৎসা করার পর বাড়ীতে চলে আসেন। বাড়ী এসে ২ সপ্তাহ থাকার পর আবার ঢাকার নিয়ে গ্রীন ভিউ ক্লিনিকের ইউনুস ডাক্টারের তত্বাবধায়নে মাইমুনার বনমেরু করটান। এরপর আবার বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বনমেরু করার পর রক্ত স্বল্পতা দেখো দেয়। সে সময় ৪ ব্যাগ রক্ত দিয়ে আবার বাড়ীতে চলে আসেন। বাড়ীতে আসার কয়েকদিন পর মাইমুনার আবার রক্ত বমি হতে থাকলে পরদিন আবার ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান। ওই সময় আবার ৪ ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়, যার ১ ব্যাগ রক্তের মূল্যে ১৩ হাজার ৪৫০ টাকা। তখন মাইমুনার শরীরের রক্তের স্তর দেড় লাখ বা তার উপরে থাকার কথা, কিন্তু তখন স্তর ছিল মাত্র ৩ হাজার। সে মুহুর্তে ডাক্টাররা বোর্ড বসিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ৪ কৌটা এ্যালটোব ট্যাবলেট লিখে দেন। ৪ কৌটা ট্যাবেলেটের দাম নেয় ১৬ হাজার টাকা। এরপর রক্তের স্তর বেড়ে ২৬ হাজারে ওঠে। পড়ে মালিবাগের পদ্মা ডায়াগোনেস্টিক সেন্টারে নিয়ে ডাক্টার জলিল মাইমুনার হাড় কেঁটে টেস্ট করলে ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়ে। সে সময় ডাক্টাররা বলেন মাইমুনাকে সুস্থ্য করতে চিকিৎসার জন্য প্রায় ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা লাগবে বলে জানান। কিন্তু এতো টাকা তিনি কোথায় পাবেন। সামান্য কাঠমিস্ত্রির কাজ করে সংসার চালান। পরিবারে স্ত্রীসহ আরেকটি সন্তান রয়েছে। ডিসি স্যারসহ অনেক আত্মীয় স্বজন ৫/১০ হাজার করে দিয়ে সহযোগীতা করেছে। বাবা হিসেবে মেয়ের কষ্ট আর সহ্য করতে না পেরে ধার-দেনা হয়ে জানুয়ারী মাসে ভারতের ভেলুরের সিএমসি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে জানিয়েছেন সঠিক চিকিৎসা করাতে পারলে হয়তো ভাল হয়ে উঠতে পারে তার মেয়ে। কিন্তু তাতেও খরচ হবে হবে প্রায় ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা। এখন পর্যন্ত মেয়ের চিকিৎসার জন্য প্রায় ৫ লক্ষ টাকার বেশি খরচ হয়েছে। এখন আর কোথায় যাবেন। নিজের কোন জমি-জমাও নাই, যে তা বিক্রি করে মেয়ের চিকিৎসার খরচ জোগাড় করবেন। এখন আল্লাহর উপর ভরসা করে সমাজের বৃত্তবান ও হৃদয়বান ব্যাক্তিদের সহযোগীতা কামনা করছেন। টাকার ব্যবস্থা না হলে তার মাইমুনাকে বাঁচাতে পারবেন না। বর্তমানে ওর অবস্থা ভাল না, তাই ৩ থেকে ৪ দিন পর পর নিয়মিত রক্ত দিতে হচ্ছে। একা মানুষ মেয়ের পাশে থাকবেন, নাকি চিকিৎসার খরচ জোগার করবেন। নিয়মিত ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে দৌড়া দৌড়ি করতে গিয়ে নিজের কাজ করতে পারছেন না। যে কারণে ঢাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতে হচ্ছে। হাসপাতালে তো আর সবাই থাকা যায় না।
এছাড়া তার নিজেরও তো সামর্থ নাই চিকিৎসা করানোর। তাই ক্যান্সারে আক্রান্ত মেয়েকে বাঁচাতে সমাজের বৃত্তবান ও হৃদয়বান ব্যাক্তিদের কাছে হাত জোর করে অনুরোধ জানান, মাইমুনাকে বাঁচাতে একটু সহযোগিতার জন্য। সবাই মিলে যদি সহযোগিতা করে তাহলে তার মেয়ে মাইমুনা বেঁচে যাবে এবং সুস্থ্য হয়ে আবার হৈ হুল্লোর করে তার সামনে দিয়ে ঘুরে বেড়াবে। এ জন্য তিনি সারাজীবন সবার কাছে কৃতজ্ঞ থাকবেন।
মাইমুনাকে সহযোগীতা করতে ইসলামী ব্যাংক রাজবাড়ী শাখা (বাবা) রাজু আহম্মেদ, হিসাব নং- ১০৫৪ এবং বিকাশ ঃ ০১৭১৪-২৯৬৯০৮।