Dhaka ০৬:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মহান বিজয় দিবস ॥ রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের নানা কর্মসূচী

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৯:০৩:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / ১৫১০ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥ ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্য-বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় দিন। বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার দিন। পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ভূখণ্ডের অস্তিত্ব প্রতিষ্ঠার চিরস্মরণীয় দিন।
৯ মাসের সশস্ত্র রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ শেষে ১৯৭১ সালের এই দিনে বাঙালি জাতি স্বাধীনতা সংগ্রামের চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করেছিল। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি ও হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করে যৌথ বাহিনীর কাছে। এর মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার রক্তিম সূর্যালোকে উদ্ভাসিত হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। সেই থেকে ১৬ ডিসেম্বর আমাদের বিজয় দিবস। যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যে দিবসটি সাড়ম্বরে উদযাপনের প্রস্তুতি নিয়েছে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসন।
কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্ত্বরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলক, লোকোসেড বধ্যভূমি, রেলগেট শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ, মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আব্দুল আজিজ খুশীর কবর ও লক্ষীকোলে শহীদ রফিক, শফিক ও সাদিকের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ।
সকাল সাড়ে আটটায় কাজী হেদায়েত স্টেডিয়ামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ সম্প্রচার। সকাল ৯টায় আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, আনসার, ভিডিপি, বিএনসিসি, সরকারি শিশু পরিবার, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী, রোভার স্কাউট, বয়েজ স্কাউট, গার্লস গাইড, কাবস, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বয়ে সমাবেশ ও কুচকাওয়াজ। সকাল ১টায় শারীরিক কসরত ও ডিসপ্লে।
দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসকের বাসভবনে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও মধ্যাহ্ন ভোজ। দুপুর সাড়ে ১২টায় স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের জন্য প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনী। বাদ জোহর জাতির শান্তি ও অগ্রগতি কামনায় বিশেষ মোনাজাত। সুবিধামত সময়ে মন্দির, গীর্জাসহ অন্যান্য উপাসনালয়ে প্রার্থনা। দুপুরে হাসপাতাল, জেলখানা, এতিমখানা ও সরকারি শিশু পরিবারে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন। বিকেল ৩টায় অফিসার্স ক্লাবে মহিলাদের অংশগ্রহণে আলোচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। সাড়ে ৩টায় শহীদ খুশী রেলওয়ে ময়দানে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের মধ্যে প্রীতি ফুটবল ও দাড়িয়াবাঁধা। বিকেল ৪টায় বিসিক চাঁদমারিতে শুটিং প্রতিযোগিতা। সন্ধ্যায় ৬টায় জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার এবং মুক্তিযুদ্ধ শীর্ষক আলোচনা ও সিম্পোজিয়াম। সন্ধ্যা ৭টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরষ্কার বিতরণ।
আজকের দিনে বিজয়োল্লাসে ভাসবে দেশ, আনন্দে উদ্বেলিত হবে গোটা জাতি। রাজবাড়ীসহ দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে বিজয়ের আনন্দ। উৎসবের সমারোহে জাতি শ্রদ্ধাবনত চিত্তে স্মরণ করবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদকে।
দিনটি সরকারি ছুটির দিন। সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সন্ধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাগুলো আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

মহান বিজয় দিবস ॥ রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের নানা কর্মসূচী

প্রকাশের সময় : ০৯:০৩:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯

জনতার আদালত অনলাইন ॥ ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্য-বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় দিন। বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার দিন। পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ভূখণ্ডের অস্তিত্ব প্রতিষ্ঠার চিরস্মরণীয় দিন।
৯ মাসের সশস্ত্র রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ শেষে ১৯৭১ সালের এই দিনে বাঙালি জাতি স্বাধীনতা সংগ্রামের চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করেছিল। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি ও হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করে যৌথ বাহিনীর কাছে। এর মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার রক্তিম সূর্যালোকে উদ্ভাসিত হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। সেই থেকে ১৬ ডিসেম্বর আমাদের বিজয় দিবস। যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যে দিবসটি সাড়ম্বরে উদযাপনের প্রস্তুতি নিয়েছে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসন।
কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্ত্বরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলক, লোকোসেড বধ্যভূমি, রেলগেট শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ, মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আব্দুল আজিজ খুশীর কবর ও লক্ষীকোলে শহীদ রফিক, শফিক ও সাদিকের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ।
সকাল সাড়ে আটটায় কাজী হেদায়েত স্টেডিয়ামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ সম্প্রচার। সকাল ৯টায় আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, আনসার, ভিডিপি, বিএনসিসি, সরকারি শিশু পরিবার, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী, রোভার স্কাউট, বয়েজ স্কাউট, গার্লস গাইড, কাবস, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বয়ে সমাবেশ ও কুচকাওয়াজ। সকাল ১টায় শারীরিক কসরত ও ডিসপ্লে।
দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসকের বাসভবনে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও মধ্যাহ্ন ভোজ। দুপুর সাড়ে ১২টায় স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের জন্য প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনী। বাদ জোহর জাতির শান্তি ও অগ্রগতি কামনায় বিশেষ মোনাজাত। সুবিধামত সময়ে মন্দির, গীর্জাসহ অন্যান্য উপাসনালয়ে প্রার্থনা। দুপুরে হাসপাতাল, জেলখানা, এতিমখানা ও সরকারি শিশু পরিবারে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন। বিকেল ৩টায় অফিসার্স ক্লাবে মহিলাদের অংশগ্রহণে আলোচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। সাড়ে ৩টায় শহীদ খুশী রেলওয়ে ময়দানে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের মধ্যে প্রীতি ফুটবল ও দাড়িয়াবাঁধা। বিকেল ৪টায় বিসিক চাঁদমারিতে শুটিং প্রতিযোগিতা। সন্ধ্যায় ৬টায় জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার এবং মুক্তিযুদ্ধ শীর্ষক আলোচনা ও সিম্পোজিয়াম। সন্ধ্যা ৭টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরষ্কার বিতরণ।
আজকের দিনে বিজয়োল্লাসে ভাসবে দেশ, আনন্দে উদ্বেলিত হবে গোটা জাতি। রাজবাড়ীসহ দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে বিজয়ের আনন্দ। উৎসবের সমারোহে জাতি শ্রদ্ধাবনত চিত্তে স্মরণ করবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদকে।
দিনটি সরকারি ছুটির দিন। সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সন্ধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাগুলো আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে।