গোয়ালন্দে সড়কের পাশ থেকে মেহগুনি গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ
![](https://jonotaradalot.com/wp-content/themes/template-pro/assets/images/reporter.jpg)
- প্রকাশের সময় : ০৮:৩৬:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০১৯
- / ১৬৬৫ জন সংবাদটি পড়েছেন
জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের সৈদালপাড়া এলাকায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী দপ্তরের (এলজিইডি) পাকা সড়কের পাশ থেকে মূল্যবান ১২টি মেহগুনি গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মালিকানা দাবিদার স্থানীয় কয়েক জন ব্যক্তি মিলে গত তিন ধরে ওই গাছগুলো কেটে নিচ্ছেন। এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী বলেছেন, সরকারি রাস্তার পাশের কোন গাছ ব্যক্তি মালিকানার হওয়ার কোন সুযোগ নেই।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পূর্ব পাশে দৌলতদিয়া সাইনবোর্ড হয়ে চর দৌলতদিয়া হাট পর্যন্ত এলজিইডির পাকা কার্পেটিং করা সড়ক চলে গেছে। রাস্তার দুই পাশে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির অসংখ্য ছোট-বড় গাছ। সেখানে সৈদালপাড়া গ্রাম এলাকায় ওই সড়কের পাশ থেকে ১২টি মেহগুনি গাছ কেটে মাটিতে ফেলে রাখা হয়েছে। এরমধ্যে দুই-তিনটি গাছ ছোট আকৃতির হলেও বাকি সবকটি গাছ বড়। আরো কয়েকটি গাছের ডালপালা ছাটাই করে গোড়া থেকে কেটে ফেলার প্রস্তুতি নিচ্ছে কয়েক জন শ্রমিক। এ সময় গাছ কাটার কাজে নিয়োজিত একজন শ্রমিক জানান, স্থানীয় সৈদালপাড়া গ্রামের ইলিয়াছ সরদারের নির্দেশে তারা গাছগুলো কাটছেন। কিছুক্ষণ পর সেখানে এসে দাবি করে ওই ইলিয়াস সরদার বলেন, ‘১০-১২ বছর আগে আমাদের বাড়ির সামনে সড়কের দুই পাশে এই মেহগুনি গাছগুলো আমরা রোপণ করেছিলাম। কয়েক দিন আগে পাকা সড়কটি প্রসস্থকরণের ব্যাপারে লোকজন এসে মাপজোক করেন। তখন তারা আমাদেরকে এই গাছগুলো কেটে সরিয়ে ফেলতে বলেন। পরে পরিবারের সবাই মিলে আমরা গাছগুলো কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেই।’ ১২টির মধ্যে তার নিজস্ব ৩টি মেহগুনি গাছ রয়েছে বলে তিনি দাবী করেন। বাকি নয়টি গাছ তার বড় ভাই দারোগ আলীর। এরমধ্যে বড় ভাইয়ের ছেলে রবিউল সরদার ৬টি গাছ বিক্রি করে তিনটি বাড়ির জন্য রেখে দিয়েছেন বলে তিনি জানান। এ সময় উপস্থিত দারোগ আলীর স্ত্রী সালমা বেগম বলেন, ‘যারা রাস্তার মাপজোক করতে আইছিলো তারাই আমাগো কইছে, গাছগুলার গায়ে লাল কালির দাগ (ক্রমিক নম্বর) পড়নের আগেই কাইটা ফেলেন। না হইলে কিন্তু গাছগুলা সরকারি হইয়া যাইবো। তাই দেরি না কইরা গাছগুলা কাইটা বিক্রি করতাছি।’ ইতিমধ্যে রাস্তার ৬টি মেহগুনি গাছ ১৮ হাজার টাকায় বেপারীর কাছে বিক্রি করেছেন বলে তিন জানান।
এলজিইডি’র গোয়ালন্দ উপজেলা প্রকৌশলী মো. বজলুর রহমান খান বলেন, সরকারি রাস্তার পাশের গাছ কখনো ব্যক্তি মালিকানা হওয়ার সুযোগ নেই। আমি এখানে নতুন যোগদান করেছি। এলজিইডি’র পাকা রাস্তার পাশ থেকে মেহগনি গাছ কাটার খবর আমার জানা নেই। যদি এমনটি কেউ করে থাকে তাহলে সে অন্যায় করেছে।’ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।