Dhaka ০৬:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি প্রত্যাহার

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৭:২২:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৯
  • / ১৪১৫ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥ যোগদানের তিন মাসের মধ্যে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি রবিউল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে কয়েকটি অভিযোগ উঠায় তাকে ঢাকা বিভাগের ডিআইজি রেঞ্জ কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে সাধারন মানুষের সাথে দুর্ব্যবহার, শারীরিক নির্যাতন, মা ইলিশ রক্ষায় জেলেদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ ওঠে। এছাড়া গোয়ালন্দের ব্যবসায়ী শাজাহান হোসেন ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করে আটক করে নির্যাতন করার অভিযোগ করেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে।
এ ব্যাপারে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি রবিউল ইসলাম জানান, আমি যোগ দেয়ার পর দৌলতদিয়া ঘাটে পরিবহন সেক্টরে দালালী ও যৌনপল্লীতে পাহাড়াদার বাহিনীর অপতৎপরতা বন্ধ করেছি। এ কারণে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আমি কোন অনিয়ম করিনি। ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অভিযোগকারী শাজাহান হোসেন একটি মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী ছিল। তাকে যখন আটক করা হয় তখন তিনি যে উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন তা অবগত বা প্রমান স্বরূপ কোন কাগজ পত্র প্রদর্শন করেনি। পরবর্তীতে তিনি যখন উচ্চ আদালত থেকে জামিনের প্রমান প্রদর্শন করেছেন তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ঘুষ দাবির বিষয়টি মিথ্যে ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত বলে তিনি দাবি করেন।
প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করে রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি রবিউল ইসলামের প্রত্যাহারের নির্দেশনা গত রোববার সন্ধ্যায় পেয়েছি। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ গুলো তদন্ত করে দেখা হবে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি প্রত্যাহার

প্রকাশের সময় : ০৭:২২:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৯

জনতার আদালত অনলাইন ॥ যোগদানের তিন মাসের মধ্যে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি রবিউল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে কয়েকটি অভিযোগ উঠায় তাকে ঢাকা বিভাগের ডিআইজি রেঞ্জ কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে সাধারন মানুষের সাথে দুর্ব্যবহার, শারীরিক নির্যাতন, মা ইলিশ রক্ষায় জেলেদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ ওঠে। এছাড়া গোয়ালন্দের ব্যবসায়ী শাজাহান হোসেন ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করে আটক করে নির্যাতন করার অভিযোগ করেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে।
এ ব্যাপারে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি রবিউল ইসলাম জানান, আমি যোগ দেয়ার পর দৌলতদিয়া ঘাটে পরিবহন সেক্টরে দালালী ও যৌনপল্লীতে পাহাড়াদার বাহিনীর অপতৎপরতা বন্ধ করেছি। এ কারণে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আমি কোন অনিয়ম করিনি। ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অভিযোগকারী শাজাহান হোসেন একটি মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী ছিল। তাকে যখন আটক করা হয় তখন তিনি যে উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন তা অবগত বা প্রমান স্বরূপ কোন কাগজ পত্র প্রদর্শন করেনি। পরবর্তীতে তিনি যখন উচ্চ আদালত থেকে জামিনের প্রমান প্রদর্শন করেছেন তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ঘুষ দাবির বিষয়টি মিথ্যে ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত বলে তিনি দাবি করেন।
প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করে রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি রবিউল ইসলামের প্রত্যাহারের নির্দেশনা গত রোববার সন্ধ্যায় পেয়েছি। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ গুলো তদন্ত করে দেখা হবে।