Dhaka ০৭:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ:
রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের দরখাস্ত করা যাবে আইন মন্ত্রণালয়ে ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্তের আলোকে নির্বাচন চায় এনসিপি নিক্সন চৌধুরীর স্ত্রী তারিনের গুলশানের ফ্ল্যাট জব্দ ভবদিয়ায় বিকাশ এজেন্টের দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি রাজবাড়ী থানার অভিযানে গ্রেফতার ২ বালিয়াকান্দিতে গৃহবধূর ব্যাংক হিসাব থেকে ৮ লাখ টাকা তুলে নেয় প্রতারকরা ৭ দিনের মধ্যে গুম-খুনে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে ‘মায়ের ডাক’ ‘শক্তিশালী’ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০০ রানও করতে পারল না বাংলাদেশ ইসরায়েলকে ড. ইউনূসের ১০০০ কোটি টাকা দেওয়ার তথ্য ভুয়া : প্রেস উইং ফ্যাক্ট ‘বুঝলে বুঝ, না বুঝলে খেয়ে নে তরমুজ’ বদলির পর ওসির রহস্যময় পোস্ট

বালিয়াকান্দিতে ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ ॥ রক্তক্ষরণে মারাত্মক অসুস্থ

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৯:৩০:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০১৯
  • / 1297


জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের পর মেয়েটি অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়লে তাকে গর্ভপাত করানো হয়। মেয়েটি এখন রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মেয়েটি জানায়, প্রায় তিন-চার মাস আগে আমি রাত ৯টার দিকে টিউবওয়েলে পানি আনতে গিয়েছিলাম। এসময় রিয়াজ আমার মুখ চেপে ধরে নিয়ে যায়। এরপর রিয়াজসহ রনি, শাহিদুল ও শয়ন আমাকে ধর্ষণ করে। এরা সবাই কিশোর ও তরুণ। রিয়াজ, রনি ও শয়নের বাড়ি ভেল্লাবাড়িয়া এবং পরস্পর আত্মীয়। শাহিদুলের বাড়ি আড়াবাড়িয়া গ্রামে। আমি চিৎকার করলে তারা আমাকে ধারালো অস্ত্র ধরে। কাউকে জানালে আমার মা ও ভাইদের মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এ কারনে আমি তখন ভয়ে কাউকে কিছু বলি নাই।
মেয়েটির মা জানায়, আমার মেয়ে টিউবওয়েল থেকে ঘরে আসতে দেরি করায় তাকে খোঁজাখুঁজি করি। কিন্তু কারো বাড়িতে পাই নাই। পরে প্রায় দুইঘন্টা পর অসুস্থ অবস্থায় ফিরে আসে। তখন সে কিছু আমাদের বলে নাই। ঢুলতে ঢুলতে বাড়িতে প্রবেশ করে। সপ্তাহ দুই আগে মেয়েটি টিউবওয়েল থেকে পানি আনতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে যায়। এসময় তার ব্লিডিং হতে থাকে। স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে জানতে পারি মেয়েটি অন্তঃসত্তা।
ভূক্তভোগি শিক্ষার্থীর বড় ভাই বলেন, আমি বৃহস্পতিবার প্রথমে ইউএনও স্যারের কাছে গিয়েছি। স্যার আমাদের থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেন। থানায় গেলে ওসি তদন্ত স্যার আমাদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে আমার বোনের সঙ্গে একা কথা বলেন। এরপর বোনকে হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন।
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের গাইনী বিশেষজ্ঞ সেলিমা আক্তার বলেন, মেয়েটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। মেয়েটি গর্ভবর্তী হয়েছিলো। পরে গর্ভপাত করা হয়েছে। মেয়েটি শারীরিকভাবে অসুস্থ। তাকে আরো কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।
বালিয়াকান্দি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওবায়দুল হক বলেন, বৃহস্পতিবার মেয়েটি তার মা ও ভাইয়ের সঙ্গে থানায় এসেছিলো। মেয়েটি পেটের ব্যাথ্যায় তেমন কোনো কথা বলতে পারে নাই। তার ভাই তিনজনের নাম বলেছে তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এছাড়া মেয়েটির পরিবারের কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

বালিয়াকান্দিতে ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ ॥ রক্তক্ষরণে মারাত্মক অসুস্থ

প্রকাশের সময় : ০৯:৩০:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০১৯


জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের পর মেয়েটি অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়লে তাকে গর্ভপাত করানো হয়। মেয়েটি এখন রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মেয়েটি জানায়, প্রায় তিন-চার মাস আগে আমি রাত ৯টার দিকে টিউবওয়েলে পানি আনতে গিয়েছিলাম। এসময় রিয়াজ আমার মুখ চেপে ধরে নিয়ে যায়। এরপর রিয়াজসহ রনি, শাহিদুল ও শয়ন আমাকে ধর্ষণ করে। এরা সবাই কিশোর ও তরুণ। রিয়াজ, রনি ও শয়নের বাড়ি ভেল্লাবাড়িয়া এবং পরস্পর আত্মীয়। শাহিদুলের বাড়ি আড়াবাড়িয়া গ্রামে। আমি চিৎকার করলে তারা আমাকে ধারালো অস্ত্র ধরে। কাউকে জানালে আমার মা ও ভাইদের মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এ কারনে আমি তখন ভয়ে কাউকে কিছু বলি নাই।
মেয়েটির মা জানায়, আমার মেয়ে টিউবওয়েল থেকে ঘরে আসতে দেরি করায় তাকে খোঁজাখুঁজি করি। কিন্তু কারো বাড়িতে পাই নাই। পরে প্রায় দুইঘন্টা পর অসুস্থ অবস্থায় ফিরে আসে। তখন সে কিছু আমাদের বলে নাই। ঢুলতে ঢুলতে বাড়িতে প্রবেশ করে। সপ্তাহ দুই আগে মেয়েটি টিউবওয়েল থেকে পানি আনতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে যায়। এসময় তার ব্লিডিং হতে থাকে। স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে জানতে পারি মেয়েটি অন্তঃসত্তা।
ভূক্তভোগি শিক্ষার্থীর বড় ভাই বলেন, আমি বৃহস্পতিবার প্রথমে ইউএনও স্যারের কাছে গিয়েছি। স্যার আমাদের থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেন। থানায় গেলে ওসি তদন্ত স্যার আমাদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে আমার বোনের সঙ্গে একা কথা বলেন। এরপর বোনকে হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন।
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের গাইনী বিশেষজ্ঞ সেলিমা আক্তার বলেন, মেয়েটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। মেয়েটি গর্ভবর্তী হয়েছিলো। পরে গর্ভপাত করা হয়েছে। মেয়েটি শারীরিকভাবে অসুস্থ। তাকে আরো কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।
বালিয়াকান্দি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওবায়দুল হক বলেন, বৃহস্পতিবার মেয়েটি তার মা ও ভাইয়ের সঙ্গে থানায় এসেছিলো। মেয়েটি পেটের ব্যাথ্যায় তেমন কোনো কথা বলতে পারে নাই। তার ভাই তিনজনের নাম বলেছে তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এছাড়া মেয়েটির পরিবারের কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।