Dhaka ০৫:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বালিয়াকান্দিতে ৮ বছরের শিশুর আত্মহত্যা!

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৮:১৮:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ জুলাই ২০১৯
  • / ১৫০৮ জন সংবাদটি পড়েছেন


জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের সোনাকান্দর গ্রামে তাওহীদ মন্ডল নামে আট বছরের এক শিশুর মৃত্যু নিয়ে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার সকালে তাদের ঘর থেকে শিশুটির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। সে একই গ্রামের আবু সাঈদ মন্ডলের ছেলে। স্থানীয় শালকী মাদ্রাসার ছাত্র ছিল সে। পরিবারের সদস্যরা বলছে, সে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পুলিশও বলছে শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। আট বছরের একটি শিশু আত্মহত্যা করতে পারে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
শিশুটির বাবা আবু সাইদ মন্ডল জানান, তার ছেলে স্থানীয় সোনাকান্দর মাদ্রাসায় পড়তো। পড়াশোনায় অমনোযোগী হওয়ায় এক মাস আগে তাকে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে শালকী হাফেজিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি করে দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে তার ছেলে বাড়িতে আসে। শুক্রবার সকালে তাকে মাদ্রাসায় ফিরে যেতে বললে সে রাজী হয়নি। এজন্য তাকে গালমন্দ করা হয়। এরপর সে ঘরে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর বাড়ির লোকজন ঘরে গিয়ে তার ছেলেকে আড়ার সাথে সাইকেলের টায়ারের টিউব গলায় পেঁচানো অবস্থায় দেখতে পান। তখনই তাকে নামানো হয়। কিন্তু এর আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
বালিয়াকান্দি থানার ওসি একেএম আজমল হুদা জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। সুরতহাল রিপোর্টে তার শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এব্যাপারে একটি ইউডি মামলা হয়েছে।
আট বছরের একটি শিশু আত্মহত্যা করতে পারে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, এটি ডাক্তারের পোস্ট মর্টেম রিপোর্টে বোঝা যাবে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

বালিয়াকান্দিতে ৮ বছরের শিশুর আত্মহত্যা!

প্রকাশের সময় : ০৮:১৮:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ জুলাই ২০১৯


জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের সোনাকান্দর গ্রামে তাওহীদ মন্ডল নামে আট বছরের এক শিশুর মৃত্যু নিয়ে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার সকালে তাদের ঘর থেকে শিশুটির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। সে একই গ্রামের আবু সাঈদ মন্ডলের ছেলে। স্থানীয় শালকী মাদ্রাসার ছাত্র ছিল সে। পরিবারের সদস্যরা বলছে, সে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পুলিশও বলছে শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। আট বছরের একটি শিশু আত্মহত্যা করতে পারে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
শিশুটির বাবা আবু সাইদ মন্ডল জানান, তার ছেলে স্থানীয় সোনাকান্দর মাদ্রাসায় পড়তো। পড়াশোনায় অমনোযোগী হওয়ায় এক মাস আগে তাকে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে শালকী হাফেজিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি করে দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে তার ছেলে বাড়িতে আসে। শুক্রবার সকালে তাকে মাদ্রাসায় ফিরে যেতে বললে সে রাজী হয়নি। এজন্য তাকে গালমন্দ করা হয়। এরপর সে ঘরে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর বাড়ির লোকজন ঘরে গিয়ে তার ছেলেকে আড়ার সাথে সাইকেলের টায়ারের টিউব গলায় পেঁচানো অবস্থায় দেখতে পান। তখনই তাকে নামানো হয়। কিন্তু এর আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
বালিয়াকান্দি থানার ওসি একেএম আজমল হুদা জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। সুরতহাল রিপোর্টে তার শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এব্যাপারে একটি ইউডি মামলা হয়েছে।
আট বছরের একটি শিশু আত্মহত্যা করতে পারে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, এটি ডাক্তারের পোস্ট মর্টেম রিপোর্টে বোঝা যাবে।