Dhaka ০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সালিশে বিচ্ছেদের রায় মানতে না পেরে তরুণীর আত্মহত্যার চেষ্টা

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৯:২৬:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুলাই ২০১৯
  • / ১৩৪৫ জন সংবাদটি পড়েছেন


জনতার আদালত অনলাইন ॥ সালিশে বিচ্ছেদের রায় মানতে না পেরে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে মৌসুমী আক্তার নামে এক তরুণী। শনিবার বিকেলে রাজবাড়ী সদর উপজেলার চন্দনী ইউনিয়নের বাবুপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সে একই গ্রামের মনিরুজ্জামান মন্টুর মেয়ে। বর্তমানে সে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, পাঁচ মাস আগে রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার মদাপুর ইউনিয়নের বৃগোপালপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে শ্রাবণের সাথে বিয়ে হয় মৌসুমীর। কিন্তু শ্রাবণ এই বিয়ে মেনে নেয়নি। শনিবার চন্দনী ইউনিয়ন পরিষদে দুই পক্ষকে নিয়ে সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সালিসে চন্দনী ইউপি চেয়ারম্যান একেএম সিরাজুল আলম চৌধুরী, জেলা পরিষদ সদস্য আলাউদ্দিন আলী সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সালিশে বিচ্ছেদের রায় শোনার পর বাড়িতে গিয়ে বিষপান করে মৌসুমী। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
মৌসুমীর স্বামী শ্রাবণ জানান, মৌসুমীর সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এরই সূত্র ধরে সে একদিন আমাদের বাড়িতে চলে আসে। আমার ইচ্ছের বিরুদ্ধে বিয়ে দেয়া হয় মৌসুমীর সাথে। কিন্তু তার সাথে আমি ঘর সংসার করিনি। তখনই তাকে বলেছিলাম, তোমাকে রাখা সম্ভব নয়। তারপর আমি বাড়ি থেকে চলে যাই। মৌসুমীও তার বাবার বাড়ি চলে যায়।
চন্দনী ইউপি চেয়ারম্যান একেএম সিরাজুল আলম চৌধুরী জানান, মেয়েটির সাথে ছেলের ফেসবুকে প্রেম হয়। হঠাৎ একদিন মেয়েটি ছেলের বাড়ি গিয়ে ওঠে। ওই সময় স্থানীয় লোকজন সামাজিকভাবে তাদের বিয়ে দিয়ে দেয়। পরে ছেলেটি বাড়ি থেকে চলে যায়। কয়েকদিন আগে মেয়ের বাবা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের কাছে গেলে তাকে দুই পক্ষকে বসে বিষয়টি মীমাংসার পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ী শনিবার তারা সালিসে বসেছিলেন। দুই পক্ষের অভিভাবকদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত দেয়া হয় ছেলে মেয়ে ঘর সংসার করলে ভাল। আর নাহলে ছেলে পক্ষ দেনমোহর এবং খোরপোষ বাবদ টাকা পরিশোধ করবে। তারা চাইলে আদালতেও যেতে পারে।
এব্যাপারে মৌসুমীর বাবা মনিরুজ্জামান মন্টু কোনো কথা বলতে রাজী হননি।
রাজবাড়ী সদর থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তবে কেউ অভিযোগ দেয়নি।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

সালিশে বিচ্ছেদের রায় মানতে না পেরে তরুণীর আত্মহত্যার চেষ্টা

প্রকাশের সময় : ০৯:২৬:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুলাই ২০১৯


জনতার আদালত অনলাইন ॥ সালিশে বিচ্ছেদের রায় মানতে না পেরে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে মৌসুমী আক্তার নামে এক তরুণী। শনিবার বিকেলে রাজবাড়ী সদর উপজেলার চন্দনী ইউনিয়নের বাবুপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সে একই গ্রামের মনিরুজ্জামান মন্টুর মেয়ে। বর্তমানে সে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, পাঁচ মাস আগে রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার মদাপুর ইউনিয়নের বৃগোপালপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে শ্রাবণের সাথে বিয়ে হয় মৌসুমীর। কিন্তু শ্রাবণ এই বিয়ে মেনে নেয়নি। শনিবার চন্দনী ইউনিয়ন পরিষদে দুই পক্ষকে নিয়ে সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সালিসে চন্দনী ইউপি চেয়ারম্যান একেএম সিরাজুল আলম চৌধুরী, জেলা পরিষদ সদস্য আলাউদ্দিন আলী সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সালিশে বিচ্ছেদের রায় শোনার পর বাড়িতে গিয়ে বিষপান করে মৌসুমী। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
মৌসুমীর স্বামী শ্রাবণ জানান, মৌসুমীর সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এরই সূত্র ধরে সে একদিন আমাদের বাড়িতে চলে আসে। আমার ইচ্ছের বিরুদ্ধে বিয়ে দেয়া হয় মৌসুমীর সাথে। কিন্তু তার সাথে আমি ঘর সংসার করিনি। তখনই তাকে বলেছিলাম, তোমাকে রাখা সম্ভব নয়। তারপর আমি বাড়ি থেকে চলে যাই। মৌসুমীও তার বাবার বাড়ি চলে যায়।
চন্দনী ইউপি চেয়ারম্যান একেএম সিরাজুল আলম চৌধুরী জানান, মেয়েটির সাথে ছেলের ফেসবুকে প্রেম হয়। হঠাৎ একদিন মেয়েটি ছেলের বাড়ি গিয়ে ওঠে। ওই সময় স্থানীয় লোকজন সামাজিকভাবে তাদের বিয়ে দিয়ে দেয়। পরে ছেলেটি বাড়ি থেকে চলে যায়। কয়েকদিন আগে মেয়ের বাবা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের কাছে গেলে তাকে দুই পক্ষকে বসে বিষয়টি মীমাংসার পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ী শনিবার তারা সালিসে বসেছিলেন। দুই পক্ষের অভিভাবকদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত দেয়া হয় ছেলে মেয়ে ঘর সংসার করলে ভাল। আর নাহলে ছেলে পক্ষ দেনমোহর এবং খোরপোষ বাবদ টাকা পরিশোধ করবে। তারা চাইলে আদালতেও যেতে পারে।
এব্যাপারে মৌসুমীর বাবা মনিরুজ্জামান মন্টু কোনো কথা বলতে রাজী হননি।
রাজবাড়ী সদর থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তবে কেউ অভিযোগ দেয়নি।