Dhaka ০৯:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দৌলতদিয়ার ফেরি ঘাটরক্ষায় ফেলা হচ্ছে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৯:০৩:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০১৯
  • / ১৬৬৩ জন সংবাদটি পড়েছেন


জনতার আদালত অনলাইন ॥ বর্ষা মৌসুমের শুরুতে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি ও তীব্র ¯্রােতের কারণে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট এলাকার স্থানে স্থানে দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন। আর এই ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রায় ২কোটি টাকা ব্যায়ে ৬টি প্যাকেজের মাধ্যমে ১ নং ফেরি ঘাট থেকে ৬ নংফেরি ঘাট পর্যন্ত ফরি ঘাট এলাকার ভাঙ্গন সহ সবগুলো ঘাটে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার কাজ করছে । তবে এলাকাবাসীরা বলছেন ফেরি ঘাট ও ঘাট এলাকার কাছে বসতবাড়ি এলাকায় ভাঙ্গন রক্ষার্থে জিও ব্যাগ ফেলা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।
দেশের দক্ষিণ পশ্চিমঞ্চলের ২১ জেলার গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বার রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট। এ ঘাট গুলো দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী ও যানবাহন নদী পারাপার হয়ে থাকে। প্রতি বছরের মত বর্ষঅমৌসুমে পানি বাড়ার সাথে সাথে নদীতে তীব্র¯্রােত থাকে যার কারনে ঘাট অঞ্চলে ভাঙ্গন শুরু হয়। সম্প্রতি নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে ৬ টি ফেরি ঘাটের বিভিন্নস্থানে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রতিবছর জিও ব্যাগ ফেলে ঘাট রক্ষার চেষ্টা করা হলেও স্থায়ী কোন ব্যবস্থা গ্রহন করে নাই কর্তৃপক্ষ।
দৌলতদিয়ার ৪ নম্বর ফেরি ঘাটের কাছে ২৫০ কেজি ওজনের বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার কাজ করছেন শ্রমিকরা। এরআগে ৫ নম্বর ঘাটের কাছে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। ইঞ্জিন চালিত ট্রলারে বালু নিয়ে বস্তায় বালু ভর্তি এবং সেলাই করে তা নদীতে ফেলছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যায়ে ৬টি প্যাকেজের মাধ্যমে ঠিকাদারের মাধ্যমে ফেরি ঘাট এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলার কাজ করছে । প্রতিদিন প্রায় ৮শ থেকে ১ হাজার বস্তা বালু ভর্তি জিও ব্যাগের বস্তা ফেলছেন শ্রমিকরা।
এলাকাবাসি ও শ্রমিকরা বলেন , নদীতে পানি বাড়ার সাথে রয়েছে ¯্রােত। যে কারণে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট এলাকার বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এতে করে অনেক বসতবাড়ী হুমকির মুখে রয়েছে। ভাঙ্গন রোধে বালুর বস্তা ফেলার কাজ চলছে, তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় কম এবং কাজও হচ্ছে ধীর গতিতে। দ্রুত কাজ সম্পন্ন করতে আরো বেশি বেশি বস্তার ফেলার দাবী তাদের। দৌলতদিয়া ঘাট ২১ জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থান, তাই ফেরি ঘাট যদি না থাকে, তাহলে দৌলতদিয়ার অস্তিত্ব থাকবে না। ভাঙ্গন ঠেকাতে
গোয়ালন্দ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আরিফ সরকার বলেন, চলতি বছরের ১৪মে থেকে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট রক্ষার্থে এবছর প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যায়ে ৬টি প্যাকেজের মাধ্যমে জরুরী প্রতিরক্ষা মুলক কাজ শুরু করেছেন। এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার বালু ভর্তি জিও ব্যাগের বস্তা ফেলা হয়েছে। নদীতে তীব্রস্্েরাত থাকায় ভাঙন রয়েছে ঘাট এলাকায় ।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

দৌলতদিয়ার ফেরি ঘাটরক্ষায় ফেলা হচ্ছে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ

প্রকাশের সময় : ০৯:০৩:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০১৯


জনতার আদালত অনলাইন ॥ বর্ষা মৌসুমের শুরুতে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি ও তীব্র ¯্রােতের কারণে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট এলাকার স্থানে স্থানে দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন। আর এই ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রায় ২কোটি টাকা ব্যায়ে ৬টি প্যাকেজের মাধ্যমে ১ নং ফেরি ঘাট থেকে ৬ নংফেরি ঘাট পর্যন্ত ফরি ঘাট এলাকার ভাঙ্গন সহ সবগুলো ঘাটে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার কাজ করছে । তবে এলাকাবাসীরা বলছেন ফেরি ঘাট ও ঘাট এলাকার কাছে বসতবাড়ি এলাকায় ভাঙ্গন রক্ষার্থে জিও ব্যাগ ফেলা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।
দেশের দক্ষিণ পশ্চিমঞ্চলের ২১ জেলার গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বার রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট। এ ঘাট গুলো দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী ও যানবাহন নদী পারাপার হয়ে থাকে। প্রতি বছরের মত বর্ষঅমৌসুমে পানি বাড়ার সাথে সাথে নদীতে তীব্র¯্রােত থাকে যার কারনে ঘাট অঞ্চলে ভাঙ্গন শুরু হয়। সম্প্রতি নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে ৬ টি ফেরি ঘাটের বিভিন্নস্থানে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রতিবছর জিও ব্যাগ ফেলে ঘাট রক্ষার চেষ্টা করা হলেও স্থায়ী কোন ব্যবস্থা গ্রহন করে নাই কর্তৃপক্ষ।
দৌলতদিয়ার ৪ নম্বর ফেরি ঘাটের কাছে ২৫০ কেজি ওজনের বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার কাজ করছেন শ্রমিকরা। এরআগে ৫ নম্বর ঘাটের কাছে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। ইঞ্জিন চালিত ট্রলারে বালু নিয়ে বস্তায় বালু ভর্তি এবং সেলাই করে তা নদীতে ফেলছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যায়ে ৬টি প্যাকেজের মাধ্যমে ঠিকাদারের মাধ্যমে ফেরি ঘাট এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলার কাজ করছে । প্রতিদিন প্রায় ৮শ থেকে ১ হাজার বস্তা বালু ভর্তি জিও ব্যাগের বস্তা ফেলছেন শ্রমিকরা।
এলাকাবাসি ও শ্রমিকরা বলেন , নদীতে পানি বাড়ার সাথে রয়েছে ¯্রােত। যে কারণে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট এলাকার বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এতে করে অনেক বসতবাড়ী হুমকির মুখে রয়েছে। ভাঙ্গন রোধে বালুর বস্তা ফেলার কাজ চলছে, তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় কম এবং কাজও হচ্ছে ধীর গতিতে। দ্রুত কাজ সম্পন্ন করতে আরো বেশি বেশি বস্তার ফেলার দাবী তাদের। দৌলতদিয়া ঘাট ২১ জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থান, তাই ফেরি ঘাট যদি না থাকে, তাহলে দৌলতদিয়ার অস্তিত্ব থাকবে না। ভাঙ্গন ঠেকাতে
গোয়ালন্দ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আরিফ সরকার বলেন, চলতি বছরের ১৪মে থেকে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট রক্ষার্থে এবছর প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যায়ে ৬টি প্যাকেজের মাধ্যমে জরুরী প্রতিরক্ষা মুলক কাজ শুরু করেছেন। এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার বালু ভর্তি জিও ব্যাগের বস্তা ফেলা হয়েছে। নদীতে তীব্রস্্েরাত থাকায় ভাঙন রয়েছে ঘাট এলাকায় ।