Dhaka ০৬:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ীতে র‌্যাবের অভিযানে আটক ভুয়া দন্ত চিকিৎসক

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৪৪:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ অক্টোবর ২০১৮
  • / ১৫৭০ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥ নিজের ভিজিটিং কার্ডে নিজের নামের আগে ডাক্তার বসিয়ে এইচডিআইডি ডিগ্রীধারী বসিয়ে দন্ত চিকিৎসার মাধ্যমে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছিলেন নুরুল ইসলাম রনি। শনিবার দুপুরে র‌্যাবÑ৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের সদস্যদের হাতে আটক হয়েছেন তিনি। এইচডিআইডি নামে কোনো ডিগ্রী নেই বলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। আটককৃত রনি রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার কলকলিয়া গ্রামের হোসেন আলী বিশ্বাসের ছেলে। বিগত ছয় মাস যাবৎ রাজবাড়ী সদর উপজেলার কোলারহাট বাজারে বিশ্বাস ডেন্টাল কেয়ার নামক একটি প্রতিষ্ঠান চালু করে দাঁতের চিকিৎসা করতেন।
র‌্যাবÑ৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রইছউদ্দিন জানান, রনি চিকিৎসাশাস্ত্রে কোন প্রকার ডিগ্রীধারী না হয়েও প্রতারণা মূলকভাবে নিজেকে ডাক্তার হিসেবে পরিচয় দিয়ে দাঁতের বিভিন্ন ধরণের জটিল রোগের চিকিৎসা করে আসছিল। সাধারণ জনগণকে ধোকা দেওয়ার উদ্দেশ্যে তার ব্যবহৃত ভিজিটিং কার্ডে নিজের নামের প্রথমে ‘ডাঃ’ এবং নামের শেষে ডিগ্রী আকারে ‘এইচ.ডি.আই.ডি’ লিখে প্রতারণা করে আসছিল। যা আদৌ কোন চিকিৎসা বিষয়ক ডিগ্রী নয়। মাত্র এইচএসসি পাস করে নিজেকে দন্ত বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচয় দিয়ে সাধারণ জনগণকে ধোকা দিয়ে আসছিল রনি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এমন খবর পেয়ে সদর উপজেলার কোলারহাট বাজার এলাকায় বিশ্বাস ডেন্টাল কেয়ার নামক প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে রনিকে হাতে নাতে আটক করা হয়। এসময় তার চেম্বার হতে বিপুল পরিমাণ ভিজিটিং কার্ড, প্রেসক্রিপশন, দন্ত চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত চিকিৎসা সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। রনিকে রাজবাড়ী সদর থানায় হস্তান্তর করে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রনি জনগণের সাথে প্রতারণার কথা স্বীকার করেছে। এছাড়া এইচডিআইডি বলে যে ডিগ্রী ভিজিটিং কার্ডে লিখত সেটিরও কোনো ভিত্তি নেই বলে জানিয়েছে।
রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন ডা. রহিম বক্স বলেন, এইচডিআইডি নামে চিকিৎসা শাস্ত্রে কোনো ডিগ্রী নেই। এই ধরনের কোনো ডিগ্রী কেউ ব্যবহার করে থাকলে তা প্রতারণা ছাড়া কিছু নয়। আমরা বিভিন্ন সময়ে অসাধু চিকিৎসকদের থেকে দূরে থাকতে মানুষদের সচেতন হতে পরামর্শ দিয়ে থাকি। এ ধরনের কোনো অভিযোগ পেলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেই। উপজেলা পর্যায়ে আমাদের টিম কাজ করে থাকে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

রাজবাড়ীতে র‌্যাবের অভিযানে আটক ভুয়া দন্ত চিকিৎসক

প্রকাশের সময় : ০৭:৪৪:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ অক্টোবর ২০১৮

জনতার আদালত অনলাইন ॥ নিজের ভিজিটিং কার্ডে নিজের নামের আগে ডাক্তার বসিয়ে এইচডিআইডি ডিগ্রীধারী বসিয়ে দন্ত চিকিৎসার মাধ্যমে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছিলেন নুরুল ইসলাম রনি। শনিবার দুপুরে র‌্যাবÑ৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের সদস্যদের হাতে আটক হয়েছেন তিনি। এইচডিআইডি নামে কোনো ডিগ্রী নেই বলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। আটককৃত রনি রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার কলকলিয়া গ্রামের হোসেন আলী বিশ্বাসের ছেলে। বিগত ছয় মাস যাবৎ রাজবাড়ী সদর উপজেলার কোলারহাট বাজারে বিশ্বাস ডেন্টাল কেয়ার নামক একটি প্রতিষ্ঠান চালু করে দাঁতের চিকিৎসা করতেন।
র‌্যাবÑ৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রইছউদ্দিন জানান, রনি চিকিৎসাশাস্ত্রে কোন প্রকার ডিগ্রীধারী না হয়েও প্রতারণা মূলকভাবে নিজেকে ডাক্তার হিসেবে পরিচয় দিয়ে দাঁতের বিভিন্ন ধরণের জটিল রোগের চিকিৎসা করে আসছিল। সাধারণ জনগণকে ধোকা দেওয়ার উদ্দেশ্যে তার ব্যবহৃত ভিজিটিং কার্ডে নিজের নামের প্রথমে ‘ডাঃ’ এবং নামের শেষে ডিগ্রী আকারে ‘এইচ.ডি.আই.ডি’ লিখে প্রতারণা করে আসছিল। যা আদৌ কোন চিকিৎসা বিষয়ক ডিগ্রী নয়। মাত্র এইচএসসি পাস করে নিজেকে দন্ত বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচয় দিয়ে সাধারণ জনগণকে ধোকা দিয়ে আসছিল রনি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এমন খবর পেয়ে সদর উপজেলার কোলারহাট বাজার এলাকায় বিশ্বাস ডেন্টাল কেয়ার নামক প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে রনিকে হাতে নাতে আটক করা হয়। এসময় তার চেম্বার হতে বিপুল পরিমাণ ভিজিটিং কার্ড, প্রেসক্রিপশন, দন্ত চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত চিকিৎসা সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। রনিকে রাজবাড়ী সদর থানায় হস্তান্তর করে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রনি জনগণের সাথে প্রতারণার কথা স্বীকার করেছে। এছাড়া এইচডিআইডি বলে যে ডিগ্রী ভিজিটিং কার্ডে লিখত সেটিরও কোনো ভিত্তি নেই বলে জানিয়েছে।
রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন ডা. রহিম বক্স বলেন, এইচডিআইডি নামে চিকিৎসা শাস্ত্রে কোনো ডিগ্রী নেই। এই ধরনের কোনো ডিগ্রী কেউ ব্যবহার করে থাকলে তা প্রতারণা ছাড়া কিছু নয়। আমরা বিভিন্ন সময়ে অসাধু চিকিৎসকদের থেকে দূরে থাকতে মানুষদের সচেতন হতে পরামর্শ দিয়ে থাকি। এ ধরনের কোনো অভিযোগ পেলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেই। উপজেলা পর্যায়ে আমাদের টিম কাজ করে থাকে।