Dhaka ০৮:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ীর পদ্মাপাড়ে বসেছিল ঈদের মিলনমেলা

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৮:০৪:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ জুন ২০১৭
  • / ১৫৮৮ জন সংবাদটি পড়েছেন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঈদের আনন্দটাই প্রিয়জনের সাথে সাক্ষাৎ আর ঘোরাফেরায়। রাজবাড়ী শহরের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে পদ্মা নদী। এই নদী তীরেই জমে উঠেছিল ঈদের মিলন মেলা।
ঈদের দিন রাজবাড়ীতে দুই দফা বৃষ্টিতে মানুষের মনে আমেজ কিছুটা হলেও কমে গিয়েছিল। তবে শেষ বিকেলে সূর্যের হাসি সকলের মনে স্বস্তি এনে দেয়। দুপুরের খাওয়া  দাওয়া শেষে রাজবাড়ী শহরের অনতিদূরে গোদারবাজার পদ্মার পাড়ে ঢল নামে মানুষের। শিশু কিশোর তরুণ তরুণীসহ সব বয়সী মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে পদ্মার পাড়।
চমৎকার রোদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়ায় দুপুর থেকেই শুরু হয়ে যায় মানুষের আনাগোনা। রান্না বান্না, অতিথি আপ্যায়নসহ সারদিনের ব্যস্ততা সেরে একটু বিনোদন আর আমোদ ফূর্তির জন্য সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত পর্যন্ত মুখরিত ছিল পদ্মার পাড়। সেখানে বসে মেলাও। নাগরদোলায় ছোটদের সাথে বড়রাও চড়ে ভাগাভাগি করে নেয় ঈদের আনন্দ। ফুচকা, চটপটি আর আইসক্রিমের দোকানে ভীড় লেগেই ছিল সারাক্ষণ।
কেউ কেউ নৌকায় ঘুরেছে পদ্মার এপার ওপার। এদিন নৌকার কদর ছিল খুব। ছোট নৌকা, বড় নৌকা কিংবা ইঞ্জিন চালিত নৌকায় মানুষ যেখানে সুবিধা ভেবেছে সেটিতে উঠেছে। কেউ এসেছে স্ত্রী সন্তান নিয়ে, কেউ বা প্রিয় জনকে সাথে নিয়ে।
ইঞ্জিন চালিত বড় নৌকার মাঝি জামান সরদার জানান, খুব ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। একটু বিশ্রামের ফুসরত পাচ্ছেন না। নৌকা বোঝাই করে যাচ্ছেন। নদী ঘুরে আসতেই আবার ভরে উঠছে। মানুষকে নৌকা ভ্রমণের আনন্দ দিতে  পেরে খুব খুশী তিনি।
ছোট নৌকাগুলোতে সাধারণত পরিবার পরিজন অথবা প্রিয়জনকে নিয়ে ভ্রমণ করা যায়। মাঝিরা চাহিদা মতো পারিশ্রমিক নিয়েই ভ্রমণ পিপাসুদের তুলছেন। মাঝি নওশের জানালেন, দুপুর থেকে ভালোই রোজগার হয়েছে। এতেই ঈদের তার আনন্দ।
ঢাকা থেকে রাজবাড়ীতে বেড়াতে এসেছে তুলি। বন্ধুদের সাথে এসেছে পদ্মা পাড়ে। জানালো, খুব ভালো লাগছে এখানে এসে। ঈদের আনন্দের সাথে বাড়তি আরও একটু আনন্দ যোগ হলো।
কনিকা পারভীন আর মাহফুজা বান্ধবী। তারাও এসেছে ঘুরতে। জানালেন, ঈদের আনন্দের সাথে নদী পাড়ে ঘোরাঘুরি তাদের বাড়তি আনন্দ দিয়েছে। এখানে  এসে অনেক পরিচিতজনের সাথে দেখা মিলছে। বেশ ভালো লাগছে।
এই  স্থানটিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার আবেদন জানালেন কবি নেহাল আহমেদ। মেয়ে অদ্রিকে নিয়ে ঘুরতে এসেছিলেন তিনি। বলেন, রাজবাড়ীতে দর্শনীয় তেমন কিছু নেই। তাই এ স্থানটিকে একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা যেতেই পারে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

রাজবাড়ীর পদ্মাপাড়ে বসেছিল ঈদের মিলনমেলা

প্রকাশের সময় : ০৮:০৪:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ জুন ২০১৭

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঈদের আনন্দটাই প্রিয়জনের সাথে সাক্ষাৎ আর ঘোরাফেরায়। রাজবাড়ী শহরের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে পদ্মা নদী। এই নদী তীরেই জমে উঠেছিল ঈদের মিলন মেলা।
ঈদের দিন রাজবাড়ীতে দুই দফা বৃষ্টিতে মানুষের মনে আমেজ কিছুটা হলেও কমে গিয়েছিল। তবে শেষ বিকেলে সূর্যের হাসি সকলের মনে স্বস্তি এনে দেয়। দুপুরের খাওয়া  দাওয়া শেষে রাজবাড়ী শহরের অনতিদূরে গোদারবাজার পদ্মার পাড়ে ঢল নামে মানুষের। শিশু কিশোর তরুণ তরুণীসহ সব বয়সী মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে পদ্মার পাড়।
চমৎকার রোদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়ায় দুপুর থেকেই শুরু হয়ে যায় মানুষের আনাগোনা। রান্না বান্না, অতিথি আপ্যায়নসহ সারদিনের ব্যস্ততা সেরে একটু বিনোদন আর আমোদ ফূর্তির জন্য সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত পর্যন্ত মুখরিত ছিল পদ্মার পাড়। সেখানে বসে মেলাও। নাগরদোলায় ছোটদের সাথে বড়রাও চড়ে ভাগাভাগি করে নেয় ঈদের আনন্দ। ফুচকা, চটপটি আর আইসক্রিমের দোকানে ভীড় লেগেই ছিল সারাক্ষণ।
কেউ কেউ নৌকায় ঘুরেছে পদ্মার এপার ওপার। এদিন নৌকার কদর ছিল খুব। ছোট নৌকা, বড় নৌকা কিংবা ইঞ্জিন চালিত নৌকায় মানুষ যেখানে সুবিধা ভেবেছে সেটিতে উঠেছে। কেউ এসেছে স্ত্রী সন্তান নিয়ে, কেউ বা প্রিয় জনকে সাথে নিয়ে।
ইঞ্জিন চালিত বড় নৌকার মাঝি জামান সরদার জানান, খুব ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। একটু বিশ্রামের ফুসরত পাচ্ছেন না। নৌকা বোঝাই করে যাচ্ছেন। নদী ঘুরে আসতেই আবার ভরে উঠছে। মানুষকে নৌকা ভ্রমণের আনন্দ দিতে  পেরে খুব খুশী তিনি।
ছোট নৌকাগুলোতে সাধারণত পরিবার পরিজন অথবা প্রিয়জনকে নিয়ে ভ্রমণ করা যায়। মাঝিরা চাহিদা মতো পারিশ্রমিক নিয়েই ভ্রমণ পিপাসুদের তুলছেন। মাঝি নওশের জানালেন, দুপুর থেকে ভালোই রোজগার হয়েছে। এতেই ঈদের তার আনন্দ।
ঢাকা থেকে রাজবাড়ীতে বেড়াতে এসেছে তুলি। বন্ধুদের সাথে এসেছে পদ্মা পাড়ে। জানালো, খুব ভালো লাগছে এখানে এসে। ঈদের আনন্দের সাথে বাড়তি আরও একটু আনন্দ যোগ হলো।
কনিকা পারভীন আর মাহফুজা বান্ধবী। তারাও এসেছে ঘুরতে। জানালেন, ঈদের আনন্দের সাথে নদী পাড়ে ঘোরাঘুরি তাদের বাড়তি আনন্দ দিয়েছে। এখানে  এসে অনেক পরিচিতজনের সাথে দেখা মিলছে। বেশ ভালো লাগছে।
এই  স্থানটিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার আবেদন জানালেন কবি নেহাল আহমেদ। মেয়ে অদ্রিকে নিয়ে ঘুরতে এসেছিলেন তিনি। বলেন, রাজবাড়ীতে দর্শনীয় তেমন কিছু নেই। তাই এ স্থানটিকে একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা যেতেই পারে।