Dhaka ০৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাংশায় ১২ বছরের এতিম শিশু ৬ মাসের অন্ত¡সত্ত্বা গ্রেফতার হয়নি আসামি ॥ মামলা তুলে নিতে হুমকি

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৭:১৭:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ জুন ২০১৭
  • / ১৬২২ জন সংবাদটি পড়েছেন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের পুইজোর গ্রামে ১২ বছরের এক এতিম শিশু ধর্ষণের ফলে অন্ত¡সত্ত্বা হওয়ার ঘটনায় মামলা দায়েরের ছয়দিন পরও আসামি মালেক প্রামাণিক এখনও গ্রেফতার হয়নি। মামলা তুলে নেয়ার জন্য বাদীর পরিবারের হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ বলছে, দ্রুতই আসামিকে গ্রেফতার করা হবে। এদিকে এমন ঘটনায় শিশুটির ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে দেখা দিয়েছে চরম সংশয়। গত ৮ জুন তারিখে শিশুটির মামী বাদী হয়ে মালেক প্রামানিকের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শিশুটির বাবা নিরুদ্দেশ ও মা বিয়ে করে অন্যত্র চলে যাবার পর চার বছর বয়স থেকে তার হতদরিদ্র মামার বাড়িতেই বেড়ে উঠছিল। মামার চায়ের দোকানে কাজ করার সময় মালেক প্রামাণিকের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে শিশুটির উপর। দীর্ঘদিন ধরে ভয়ভীতি দেখিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করছিল সে। মালেক একই গ্রামের বাসিন্দা। সে স্থানীয় পুইজোর মাদ্রাসার দপ্তরীর চাকরি করার পাশাপাশি পুইজোর বাজারে একটি কম্পিউটার বসিয়ে টাইপিংয়ের কাজ করতো। শিশুটি অন্ত¡সত্ত্বা হয়ে পড়ার খবর পাওয়ার পরই সে গা ঢাকা দেয়।
ধর্ষণের শিকার শিশুটির মামা জানান, পাংশা থানায় মামলা দায়ের করার পর একদল সন্ত্রাসী তার ছেলেকে(১৩) তুলে নিয়ে মারধর করে মাঠের মধ্যে ফেলে রাখে। এখনও মামলা তুলে নেয়ার জন্য ক্রমশঃ হুমকি দিয়ে চলেছে। তিনি বলেন, আমরা গরীব মানুষ। ছোট একটা চায়ের দোকান করে কোনো মতে সংসার চালাই। নুন আনতে পানতা ফুরায় অবস্থা। এর মধ্যে এমন ঘটনায় আমরা খুবই মুষরে পড়েছি। আমার ভাগ্নির ভবিষ্যৎ নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তায় আছি।
পুইজোর গ্রামের বাসিন্দা রহিম শেখ বলেন, এমন একটা ঘটনা কিছুতেই মেনে নেয়া যায়না। শিশুর মা হবে আর এক শিশু। এখানে একটা জীবন নয়, দুটো জীবন নিয়েই চরম অনিয়শ্চয়তা। অবশ্যই দোষী ব্যক্তির উপযুক্ত বিচার করতে হবে।
এলাকার সচেতন মানুষ বলছেন, ধর্ষক হয়তো গ্রেফতার হবে। বা বিচারে তার জেল জরিমানা হবে। কিন্তু মেয়েটির কী হবে। তার তো ভবিষ্যৎ পুরো অন্ধকার।
পাট্টা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রব বিশ^াস বলেন, এমন ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। আসামি মালেককে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করার জন্য আমরাও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
এব্যাপারে পাংশা থানার ওসি মোফাজ্জেল হোসেন জানান, বেশ কয়েকবার অভিযান চালিয়েও আসামি মালেককে গ্রেফতার করা যায়নি। তাকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে। খুব তাড়াতাড়িই সে ধরা পড়বে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

পাংশায় ১২ বছরের এতিম শিশু ৬ মাসের অন্ত¡সত্ত্বা গ্রেফতার হয়নি আসামি ॥ মামলা তুলে নিতে হুমকি

প্রকাশের সময় : ০৭:১৭:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ জুন ২০১৭

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের পুইজোর গ্রামে ১২ বছরের এক এতিম শিশু ধর্ষণের ফলে অন্ত¡সত্ত্বা হওয়ার ঘটনায় মামলা দায়েরের ছয়দিন পরও আসামি মালেক প্রামাণিক এখনও গ্রেফতার হয়নি। মামলা তুলে নেয়ার জন্য বাদীর পরিবারের হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ বলছে, দ্রুতই আসামিকে গ্রেফতার করা হবে। এদিকে এমন ঘটনায় শিশুটির ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে দেখা দিয়েছে চরম সংশয়। গত ৮ জুন তারিখে শিশুটির মামী বাদী হয়ে মালেক প্রামানিকের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শিশুটির বাবা নিরুদ্দেশ ও মা বিয়ে করে অন্যত্র চলে যাবার পর চার বছর বয়স থেকে তার হতদরিদ্র মামার বাড়িতেই বেড়ে উঠছিল। মামার চায়ের দোকানে কাজ করার সময় মালেক প্রামাণিকের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে শিশুটির উপর। দীর্ঘদিন ধরে ভয়ভীতি দেখিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করছিল সে। মালেক একই গ্রামের বাসিন্দা। সে স্থানীয় পুইজোর মাদ্রাসার দপ্তরীর চাকরি করার পাশাপাশি পুইজোর বাজারে একটি কম্পিউটার বসিয়ে টাইপিংয়ের কাজ করতো। শিশুটি অন্ত¡সত্ত্বা হয়ে পড়ার খবর পাওয়ার পরই সে গা ঢাকা দেয়।
ধর্ষণের শিকার শিশুটির মামা জানান, পাংশা থানায় মামলা দায়ের করার পর একদল সন্ত্রাসী তার ছেলেকে(১৩) তুলে নিয়ে মারধর করে মাঠের মধ্যে ফেলে রাখে। এখনও মামলা তুলে নেয়ার জন্য ক্রমশঃ হুমকি দিয়ে চলেছে। তিনি বলেন, আমরা গরীব মানুষ। ছোট একটা চায়ের দোকান করে কোনো মতে সংসার চালাই। নুন আনতে পানতা ফুরায় অবস্থা। এর মধ্যে এমন ঘটনায় আমরা খুবই মুষরে পড়েছি। আমার ভাগ্নির ভবিষ্যৎ নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তায় আছি।
পুইজোর গ্রামের বাসিন্দা রহিম শেখ বলেন, এমন একটা ঘটনা কিছুতেই মেনে নেয়া যায়না। শিশুর মা হবে আর এক শিশু। এখানে একটা জীবন নয়, দুটো জীবন নিয়েই চরম অনিয়শ্চয়তা। অবশ্যই দোষী ব্যক্তির উপযুক্ত বিচার করতে হবে।
এলাকার সচেতন মানুষ বলছেন, ধর্ষক হয়তো গ্রেফতার হবে। বা বিচারে তার জেল জরিমানা হবে। কিন্তু মেয়েটির কী হবে। তার তো ভবিষ্যৎ পুরো অন্ধকার।
পাট্টা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রব বিশ^াস বলেন, এমন ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। আসামি মালেককে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করার জন্য আমরাও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
এব্যাপারে পাংশা থানার ওসি মোফাজ্জেল হোসেন জানান, বেশ কয়েকবার অভিযান চালিয়েও আসামি মালেককে গ্রেফতার করা যায়নি। তাকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে। খুব তাড়াতাড়িই সে ধরা পড়বে।