Dhaka ০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রীর সংবর্ধনায় আব্দুল গাফফার চৌধুরী| শেখ হাসিনার বিকল্প নেই

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৮:১৯:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ মে ২০১৭
  • / ১৪৫৯ জন সংবাদটি পড়েছেন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক, গবেষক, লেখক ও আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো গানের ¯্রষ্টা আব্দুল গাফফার চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের মঙ্গলের জন্য, ভালোর জন্য আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আসতে হবে। শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। শেখ হাসিনা না থাকলে দেশ তালেবান হয়ে যাবে। এজন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। লুটপাট বন্ধ করতে হবে। শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিচ্ছেন, এটাও সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুর কারণে। তিনি কবরে শুয়ে আছেন ঠিকই। তিনিই নেতৃত্ব দিচ্ছেন। শেখ হাসিনাকে নিয়ে আড়াই ঘণ্টার একটি ডকুমেন্টরী তৈরি করেছি। খুব শীগগীরই সেটা আপনারা দেখতে পাবেন।
গতকাল সোমবার সকালে রাজবাড়ী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রী’র পক্ষ থেকে তাকে দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।  সংবর্ধনার জবাবে তিনি বলেন, এ সম্মান আমার প্রাপ্য নয়। এ সম্মান বঙ্গবন্ধুর প্রাপ্য। তার আলোয় আমরা আলোকিত। আমার জীবনের পরম সৌভাগ্য যে বঙ্গবন্ধুর সাথে ১৯৪৮ সাল থেকে আমার ঘনিষ্ঠতা ছিল। তার সাথে অনেক জায়গায় ঘুরেছি।
তিনি আরও বলেন, যে কোনো দেশ একবার স্বাধীন হয়। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে দুবার স্বাধীন করেছেন। একবার পাকিস্তানীদের হাত থেকে। দ্বিতীয়বার ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে। তিনি ফিরে না এলে ভারতীয় সৈন্যবাহিনী এতো সহজে ফেরত যেত না। ১৯৭৫ সালের ১৯ জুন বঙ্গবন্ধুর সাথে আমার শেষ দেখা। তখন চারিদিকে ষড়যন্ত্র। আমি তাকে সাবধানও করেছিলাম। বঙ্গবন্ধু আলু ভর্তা, ডাল, কই মাছ এসব দিয়ে ভাত খেতেন। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে জুটা ভাত চেয়ে খেতেন। এসব দেখে আমি বলেছিলাম; অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ। মুক্তিযুদ্ধের পর জিয়াউর রহমান খালেদা জিয়াকে গ্রহণ করতে চাননি। বঙ্গবন্ধুর হস্তক্ষেপেই খালেদা জিয়া সংসারে ফিরতে পেরেছিলেন। আর খালেদা জিয়া ১৫ আগস্টে জন্মদিনের কেক কাটেন। তার ছেলে তারেক জিয়া মিথ্যা রটনা করেন।
আব্দুল গাফফার চৌধুরী বলেন, উন্নয়নমূলক কাজের ফসল একটি জন্তু খেয়ে ফেলছে। সেটি হলো দুর্নীতি। আওয়ামী লীগের এক শ্রেণির এমপি ও স্থানীয় নেতারা এই দুর্নীতি লুটপাটের সাথে জড়িত। আগামি নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে জিততে হলে শুধু উন্নয়ন দিয়ে হবেনা। উন্নয়নের সাথে সুশাসনও জরুরী।
সংবর্ধনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সানজিদা খানম, রাজবাড়ী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রীর সভাপতি কাজী ইরাদত আলী, জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক কাজী রাকিবুল হোসেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রাজবাড়ী জেলা শিক্ষা অফিসার সৈয়দ সিদ্দিকুর রহমান। রাজবাড়ী জেলার বিশিষ্ট জন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন আব্দুল গাফফার চৌধুরীকে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করেন।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

রাজবাড়ী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রীর সংবর্ধনায় আব্দুল গাফফার চৌধুরী| শেখ হাসিনার বিকল্প নেই

প্রকাশের সময় : ০৮:১৯:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ মে ২০১৭

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক, গবেষক, লেখক ও আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো গানের ¯্রষ্টা আব্দুল গাফফার চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের মঙ্গলের জন্য, ভালোর জন্য আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আসতে হবে। শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। শেখ হাসিনা না থাকলে দেশ তালেবান হয়ে যাবে। এজন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। লুটপাট বন্ধ করতে হবে। শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিচ্ছেন, এটাও সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুর কারণে। তিনি কবরে শুয়ে আছেন ঠিকই। তিনিই নেতৃত্ব দিচ্ছেন। শেখ হাসিনাকে নিয়ে আড়াই ঘণ্টার একটি ডকুমেন্টরী তৈরি করেছি। খুব শীগগীরই সেটা আপনারা দেখতে পাবেন।
গতকাল সোমবার সকালে রাজবাড়ী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রী’র পক্ষ থেকে তাকে দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।  সংবর্ধনার জবাবে তিনি বলেন, এ সম্মান আমার প্রাপ্য নয়। এ সম্মান বঙ্গবন্ধুর প্রাপ্য। তার আলোয় আমরা আলোকিত। আমার জীবনের পরম সৌভাগ্য যে বঙ্গবন্ধুর সাথে ১৯৪৮ সাল থেকে আমার ঘনিষ্ঠতা ছিল। তার সাথে অনেক জায়গায় ঘুরেছি।
তিনি আরও বলেন, যে কোনো দেশ একবার স্বাধীন হয়। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে দুবার স্বাধীন করেছেন। একবার পাকিস্তানীদের হাত থেকে। দ্বিতীয়বার ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে। তিনি ফিরে না এলে ভারতীয় সৈন্যবাহিনী এতো সহজে ফেরত যেত না। ১৯৭৫ সালের ১৯ জুন বঙ্গবন্ধুর সাথে আমার শেষ দেখা। তখন চারিদিকে ষড়যন্ত্র। আমি তাকে সাবধানও করেছিলাম। বঙ্গবন্ধু আলু ভর্তা, ডাল, কই মাছ এসব দিয়ে ভাত খেতেন। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে জুটা ভাত চেয়ে খেতেন। এসব দেখে আমি বলেছিলাম; অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ। মুক্তিযুদ্ধের পর জিয়াউর রহমান খালেদা জিয়াকে গ্রহণ করতে চাননি। বঙ্গবন্ধুর হস্তক্ষেপেই খালেদা জিয়া সংসারে ফিরতে পেরেছিলেন। আর খালেদা জিয়া ১৫ আগস্টে জন্মদিনের কেক কাটেন। তার ছেলে তারেক জিয়া মিথ্যা রটনা করেন।
আব্দুল গাফফার চৌধুরী বলেন, উন্নয়নমূলক কাজের ফসল একটি জন্তু খেয়ে ফেলছে। সেটি হলো দুর্নীতি। আওয়ামী লীগের এক শ্রেণির এমপি ও স্থানীয় নেতারা এই দুর্নীতি লুটপাটের সাথে জড়িত। আগামি নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে জিততে হলে শুধু উন্নয়ন দিয়ে হবেনা। উন্নয়নের সাথে সুশাসনও জরুরী।
সংবর্ধনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সানজিদা খানম, রাজবাড়ী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রীর সভাপতি কাজী ইরাদত আলী, জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক কাজী রাকিবুল হোসেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রাজবাড়ী জেলা শিক্ষা অফিসার সৈয়দ সিদ্দিকুর রহমান। রাজবাড়ী জেলার বিশিষ্ট জন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন আব্দুল গাফফার চৌধুরীকে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করেন।