Dhaka ০১:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বালিয়াকান্দি গড়াই নদীতে জেগে উঠেছে অসংখ্য চর ॥ খেয়া পারে ভোগান্তি

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৮:০২:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
  • / ১৫৭৪ জন সংবাদটি পড়েছেন

বালিয়াকান্দি প্রতিনিধি ॥ রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত গড়াই নদীতে জেগে উঠেছে অসংখ্য ডুবোচর। ফলে খেয়া পারাপার করতে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
সরেজমিন গড়াই নদীর নারুয়া ইউনিয়নের সোনাকান্দর খেয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, গড়াই নদীর বুকে জেগে উঠেছে অসংখ্য ডুবোচর। নাব্যতা হারিয়ে গড়াই নদীতে ৩/৪ফুট পানি। পায়ে হেঁটেই পার হওয়া যায় নদী ।
সোনাকান্দর খেয়াঘাটে পাড়াপাড়কারী মোকারম হোসেন মোকা জানান, এ খেয়া ঘাট দিয়ে মাগুরা, শ্রীপুর, মহাম্মদপুর, শালিকা, ঝিনাইদাহ, শৈলকুপা, বালিয়াকান্দি, পাংশা, কালুখালীসহ বিভিন্ন উপজেলার মানুষ ও পণ্য পাড়াপাড় হয়। পাশেই রয়েছে নারুয়া খেয়াঘাট ওই ঘাট দিয়েও মানুষ, মালামাল ও বিভিন্ন ধরনের ছোট-বড় যানবাহন পারাপার হয়। নদীতে পানি কমে এখন ৩-৪ ফুট পানি রয়েছে। অসংখ্য চর জেগে উঠেছে। ট্রলারে বেশি মানুষ ও যানবাহন উঠালে মাটিতে আটকে যায়। এতে প্রতিনিয়তই চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
কোবায়দুর রহমান, শরিফুল ইসলাম জানান, নারুয়া খেয়া ঘাটে বিশাল বালু চর থাকার কারণে সোনাকান্দর খেয়া ঘাট দিয়ে পাড় হই। এ ঘাটে মানুষ ও ছোট যানবাহনের ভীড় বেশি। গড়াই নদীতে ডুবোচর জেগে উঠা ও নাব্যতা হারিয়ে ঘাট দিয়ে পাড় হতে গিয়ে ট্রলার আটকে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুম ও পানি কমার সাথে সাথে নারুয়া এলাকায় ব্যাপক ভাঙ্গনের শিকার হয়। শ্রীপুর এলাকায় বিশাল চর জেগে উঠেছে। এবার নদীতে অসংখ্য ডুবোচর জেগে উঠেছে। নদীতে ড্রেজিং করাসহ ভাঙ্গণ প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহন করলে একদিকে নদীর গতিপথ ঠিক থাকবে। অন্যদিকে ভাঙ্গন হ্রাস পাবে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

বালিয়াকান্দি গড়াই নদীতে জেগে উঠেছে অসংখ্য চর ॥ খেয়া পারে ভোগান্তি

প্রকাশের সময় : ০৮:০২:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০১৭

বালিয়াকান্দি প্রতিনিধি ॥ রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত গড়াই নদীতে জেগে উঠেছে অসংখ্য ডুবোচর। ফলে খেয়া পারাপার করতে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
সরেজমিন গড়াই নদীর নারুয়া ইউনিয়নের সোনাকান্দর খেয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, গড়াই নদীর বুকে জেগে উঠেছে অসংখ্য ডুবোচর। নাব্যতা হারিয়ে গড়াই নদীতে ৩/৪ফুট পানি। পায়ে হেঁটেই পার হওয়া যায় নদী ।
সোনাকান্দর খেয়াঘাটে পাড়াপাড়কারী মোকারম হোসেন মোকা জানান, এ খেয়া ঘাট দিয়ে মাগুরা, শ্রীপুর, মহাম্মদপুর, শালিকা, ঝিনাইদাহ, শৈলকুপা, বালিয়াকান্দি, পাংশা, কালুখালীসহ বিভিন্ন উপজেলার মানুষ ও পণ্য পাড়াপাড় হয়। পাশেই রয়েছে নারুয়া খেয়াঘাট ওই ঘাট দিয়েও মানুষ, মালামাল ও বিভিন্ন ধরনের ছোট-বড় যানবাহন পারাপার হয়। নদীতে পানি কমে এখন ৩-৪ ফুট পানি রয়েছে। অসংখ্য চর জেগে উঠেছে। ট্রলারে বেশি মানুষ ও যানবাহন উঠালে মাটিতে আটকে যায়। এতে প্রতিনিয়তই চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
কোবায়দুর রহমান, শরিফুল ইসলাম জানান, নারুয়া খেয়া ঘাটে বিশাল বালু চর থাকার কারণে সোনাকান্দর খেয়া ঘাট দিয়ে পাড় হই। এ ঘাটে মানুষ ও ছোট যানবাহনের ভীড় বেশি। গড়াই নদীতে ডুবোচর জেগে উঠা ও নাব্যতা হারিয়ে ঘাট দিয়ে পাড় হতে গিয়ে ট্রলার আটকে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুম ও পানি কমার সাথে সাথে নারুয়া এলাকায় ব্যাপক ভাঙ্গনের শিকার হয়। শ্রীপুর এলাকায় বিশাল চর জেগে উঠেছে। এবার নদীতে অসংখ্য ডুবোচর জেগে উঠেছে। নদীতে ড্রেজিং করাসহ ভাঙ্গণ প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহন করলে একদিকে নদীর গতিপথ ঠিক থাকবে। অন্যদিকে ভাঙ্গন হ্রাস পাবে।