Dhaka ১১:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যেখানে মিলে মিশে সবাই একাকার

সৌমিত্র শীল চন্দন
  • প্রকাশের সময় : ০৫:৫২:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪
  • / ১০৩৯ জন সংবাদটি পড়েছেন

 

 পৃথিবীর আয়ু কত- কেউ কি তা জানে। মানুষ কতদিন বাঁচে বা বাঁচবে- এটাও কি কেউ জানে। আমরা বেঁচে আছি এটাই চিরন্তন সত্য। ছোট্ট এই জীবনে কত কিছুই অপূর্ণ থেকে যায়। মেজবাহ উল করিম রিন্টু আমার বন্ধু। একসাথে কত সময় কাটিয়েছি। যিনি জীবনকে দেখতেন অত্যন্ত সরলভাবে। অহংবোধ কাকে বলে তিনি তা জানতেন না। ঠিত যতটা সরল জীবন অতিবাহিত করা যায় তিনি তাই করতেন। ভালো লিখতেন। কিন্তু সেই বহিঃপ্রকাশ খুব কমই ফুটে উঠেছে। দুহাতে মানুষকে সাহায্য করতেন। ভাবতেন দেশ, মানুষ নিয়ে। পরিবেশ রক্ষায় কত শত গাছ লাগিয়েছেন। বজ্রপাতে মানুষ মরছে। তাল বীজ সংগ্রহ করতে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়েছেন। বস্তায় ভইে বীজ নিয়ে গেছেন গ্রামে গ্রামে। কেউ কি ভেবেছিল অসময়ে তিনি চলে যাবেন? হঠাৎ করেই ধরা পড়ে তার মারণব্যধি ক্যান্সার। রিন্টু নেই চার বছর। তার কর্মই তাকে বাঁচিয়ে রেখেছে। তার নামে একটি সংগঠন হয়েছে। সংগঠনটি মানবিক কাজগুলো অব্যাহত রেখেছে। রিন্টু নদী, জ্যোৎ¯œা খুব পছন্দ করতেন। সময় পেলেই নদীতে যেতেন।

মেজবাহ উল করিম রিন্টু স্মৃতি পরিষদের আয়োজনে শুক্রবার হয়ে গেল পদ্মা নদীতে জ্যোৎ¯œা বিলাস। অসাধারণ আয়োজন। যেখানে পাঁচ বছরের শিশু থেকে ৭৫ বছরের বৃদ্ধও ছিলেন। নৌকার চারধারে সবাই বসে নৌকা ভ্রমণ করেছেন। নদীতে জ্যোৎ¯œা উপভোগ করেছেন। আনন্দ উপভোগও হয়েছে সমানভাবে। এখানে সবাই ছিল সমান। যেখানে ছিল না কোনো ভেদাভেদ বিকেল থেকে রাত অব্দি ভেসেছে সবাই নৌকায়। আনন্দের ঘাটতি ছিল না কারও মধ্যে। নদীতে সূর্য অস্ত যাওয়ার দৃশ্য ছিল যেমন মনোহর তেমনি আকাশের চাঁদের আলো যখন নদীর জলে আছড়ে পড়ছিল চিকচিক করে উঠছিল নদী। শেষে গিয়ে র‌্যাফেল ড্র যেন ছিল বাড়তি আনন্দের। আর বাড়ি ফেরা সেটাও হয়তো কেউ ভুলতে চাইবেন না।

নিশুতি রাতে ঘুমোয় সারা গাঁ, তারারা শুধু জাগে,

চাঁদ হাসে আকাশের গায়ে, দেখতে ভালো লাগে।

চাঁদের আলো দেখতে ভালো মুক্তো ঝরে রাশি রাশি,

পাতায় পাতায় নিশির শিশির  কথা বলে হাসি হাসি।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

যেখানে মিলে মিশে সবাই একাকার

প্রকাশের সময় : ০৫:৫২:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

 

 পৃথিবীর আয়ু কত- কেউ কি তা জানে। মানুষ কতদিন বাঁচে বা বাঁচবে- এটাও কি কেউ জানে। আমরা বেঁচে আছি এটাই চিরন্তন সত্য। ছোট্ট এই জীবনে কত কিছুই অপূর্ণ থেকে যায়। মেজবাহ উল করিম রিন্টু আমার বন্ধু। একসাথে কত সময় কাটিয়েছি। যিনি জীবনকে দেখতেন অত্যন্ত সরলভাবে। অহংবোধ কাকে বলে তিনি তা জানতেন না। ঠিত যতটা সরল জীবন অতিবাহিত করা যায় তিনি তাই করতেন। ভালো লিখতেন। কিন্তু সেই বহিঃপ্রকাশ খুব কমই ফুটে উঠেছে। দুহাতে মানুষকে সাহায্য করতেন। ভাবতেন দেশ, মানুষ নিয়ে। পরিবেশ রক্ষায় কত শত গাছ লাগিয়েছেন। বজ্রপাতে মানুষ মরছে। তাল বীজ সংগ্রহ করতে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়েছেন। বস্তায় ভইে বীজ নিয়ে গেছেন গ্রামে গ্রামে। কেউ কি ভেবেছিল অসময়ে তিনি চলে যাবেন? হঠাৎ করেই ধরা পড়ে তার মারণব্যধি ক্যান্সার। রিন্টু নেই চার বছর। তার কর্মই তাকে বাঁচিয়ে রেখেছে। তার নামে একটি সংগঠন হয়েছে। সংগঠনটি মানবিক কাজগুলো অব্যাহত রেখেছে। রিন্টু নদী, জ্যোৎ¯œা খুব পছন্দ করতেন। সময় পেলেই নদীতে যেতেন।

মেজবাহ উল করিম রিন্টু স্মৃতি পরিষদের আয়োজনে শুক্রবার হয়ে গেল পদ্মা নদীতে জ্যোৎ¯œা বিলাস। অসাধারণ আয়োজন। যেখানে পাঁচ বছরের শিশু থেকে ৭৫ বছরের বৃদ্ধও ছিলেন। নৌকার চারধারে সবাই বসে নৌকা ভ্রমণ করেছেন। নদীতে জ্যোৎ¯œা উপভোগ করেছেন। আনন্দ উপভোগও হয়েছে সমানভাবে। এখানে সবাই ছিল সমান। যেখানে ছিল না কোনো ভেদাভেদ বিকেল থেকে রাত অব্দি ভেসেছে সবাই নৌকায়। আনন্দের ঘাটতি ছিল না কারও মধ্যে। নদীতে সূর্য অস্ত যাওয়ার দৃশ্য ছিল যেমন মনোহর তেমনি আকাশের চাঁদের আলো যখন নদীর জলে আছড়ে পড়ছিল চিকচিক করে উঠছিল নদী। শেষে গিয়ে র‌্যাফেল ড্র যেন ছিল বাড়তি আনন্দের। আর বাড়ি ফেরা সেটাও হয়তো কেউ ভুলতে চাইবেন না।

নিশুতি রাতে ঘুমোয় সারা গাঁ, তারারা শুধু জাগে,

চাঁদ হাসে আকাশের গায়ে, দেখতে ভালো লাগে।

চাঁদের আলো দেখতে ভালো মুক্তো ঝরে রাশি রাশি,

পাতায় পাতায় নিশির শিশির  কথা বলে হাসি হাসি।