আর কোন মায়ের কোল যেন খালি না হয়- শাহেদা বেগম
কলেজছাত্র তানভীর হত্যার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ চলছেই
- প্রকাশের সময় : ০৫:৫১:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪
- / ১০৩৮ জন সংবাদটি পড়েছেন
তানভীর হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবিতে বিক্ষোভ চলছেই। রোববার রাজবাড়ী শহরের মিলেনিয়াম মার্কেটের সামনে প্রধান সড়কে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে তানভীরের মা শাহেদা বেগম বলেন, তানভীরকে যারা হত্যা করেছে মৃত্যুর আগে তাদের নাম আমার কাছে বলে গেছে। রাজবাড়ী সদর থানায় যে মামলা হয়েছে সেটি আমি করিনি। আমার ভাইকে দিয়ে জোর করে করানো হয়েছে। আমার সন্তানের অভিভাবক আমি। বাদী হবো আমি। কে এভাবে নাম দিয়ে মামলা করিয়েছে তা আমি জানিনা। মামলার এজাহারে কয়েকজন আসল খুনীর নাম আছে। যারা যারা এ হত্যার সাথে জড়িত আমি নিজে বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে চাই। ওরা পরিকল্পিতভাবে আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। খুনীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের ধরা হচ্ছে না। এটা আমি সহ্য করতে পারছি না। আমার মত আর কারো মায়ের বুক যেন খালি না হয়। তিনি আরও অভিযোগ করেন, এখনও খুনীরা তানভীরের বন্ধুদের নানাভাবে হুমকি ধমকি দিচ্ছে।
বিনোদপুর ৩ নং ওয়ার্ডের সর্বস্তরের জনগণের আয়োজনে এ মানববন্ধনে রাজবাড়ী পৌরসভার সাবেক নারী কাউন্সিলর ফারজানা আক্তার ডেইজি বলেন, তানভীরকে দুর্বৃত্তরা নির্মমভাবে হত্যা করেছে। এর আগে ২০১২ সালে আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছিল। স্বজন হারানোর যন্ত্রণা আমি বুঝি। তানভীর খুব ভালো ছেলে ছিল। কী দোষ করেছিল সে। বন্ধু বান্ধবের সাথে মনোমালিন্য হতেই পারে। তাই বলে তাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে হবে। অতি দ্রæত আসামিদের গ্রেপ্তার করা নাহলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
অন্যদের মাঝে বক্তৃতা করেন ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মিজানুর রহমান, মিন্টু শেখ, আব্দুস সালাম, তানভীরের বন্ধু তামিম হাসান, তুর্য শেখ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, তানভীর বৈষম্যবরোধী ছাত্র আন্দোলনে জড়িত ছিল। তানভীরকে যারা হত্যা করেছে মৃত্যুর আগে তাদের নাম বলে গিয়েছে। যারা এ হত্যার সাথে জড়িত ছিল তাদের অনতিবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে হবে। ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও প্রশাসনের কোনো পদক্ষেপ দেখছি না। তাহলে ভুক্তভোগীরা কোথায় যাবে। তানভীর ন্যায় বিচার না পেলে বড় ধরনের আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করব।
গত ১২ নভেম্বর মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে রাজবাড়ী শহরের বিনোদপুর ৩ নং ওয়ার্ড এলাকায় একদল দুর্বৃত্ত কলেজছাত্র তানভীর শেখকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় পরদিন বুধবার দুজনকে গ্রেপ্তার করে রাজবাড়ী সদর থানার পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে এবং শনিবার রাজবাড়ী শহরে একই দাবিতে তার বন্ধু সহপাঠিরা বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে।