Dhaka ০২:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ী পদ্মা নদী তীর প্রতিরক্ষা বাঁধের বিভিন্ন অংশে ফাটল, ভাঙনের শঙ্কা

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশের সময় : ০৪:৪৮:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ১০৪৮ জন সংবাদটি পড়েছেন

পদ্মা নদীর পানি কমছে। বাড়ছে ¯্র্েরাত। একারণে পদ্মা নদীর তীর প্রতিরক্ষা বাঁধের কয়েকটি স্থানে ফাটল এবং নদীর তলদেশ থেকে মাটি সরে গিয়ে ভাঙনের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী।

 জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, ২০০৭ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত পদ্মা নদীর তীর সংরক্ষণের জন্য বাঁধ নির্মাণ করা হয় একাধিকবার। এজন্য কয়েকশ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। গত বছরেও প্রতিরক্ষা বাঁধের কয়েক জায়গায় ভেঙে সিসি বøক নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এ বছর এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো ভাঙন দেখা দেয়নি। তবে সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের উড়াকান্দা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে নদীর তলদেশ থেকে মাটি সরে গেছে এবং মিজানপুর ইউনিয়নের চর সিলিমপুর এলাকার তিনটি পয়েন্টে সিসি বøক  ধ্বসে গেছে।

বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উড়াকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ। নদীর তীর থেকে একটু দূরে দুটি নৌকায় করে বস্তাগুলো ফেলা হচ্ছে নদীতে। কাজের দেখভাল করছিলেন রাজবাড়ীর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলী আলিফ মোহাম্মদ ইমু ও কার্য সহকারী জুবায়ের। তারা জানান, কয়েকদিন আগে সার্ভে করার সময় তারা বুঝতে পারেন গাইড ওয়ালের পরে লাঞ্চিং এপ্রোন থেকে মাটি সরে গেছে। বড় ধরনের কোনো সমস্যা যাতে না হয় এজন্য বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে। তারা আরও জানান, মিজানপুর ইউনিয়নের চর সিলিমপুর এলাকায় তিনটি স্পটে তীর রক্ষা বাঁধের ¯øাব সরে গেছে। সেসব জায়গায়ও মেরামত করা হবে।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. সারোয়ার জানান, গত কয়েকদিন ধরে পানি উন্নয়ন বোর্ডে কর্মকর্তাদের দেখছেন আসা যাওয়া করতে। ভাঙন দৃশ্যমান না হলেও শুনছেন বাঁধের নীচ থেকে মাটি সরে গেছে। এতে যে কোনো সময় বাঁধে ভাঙন দেখা দিতে পারে। ইতিপূর্বে বেশ কয়েকবার ভাঙনের কবলে পড়েছিল তীর রক্ষা বাঁধ। শহর রক্ষা বাঁধ থেকে নদী বেশি দূরে নেই। এবার ভাঙন হলে আর রক্ষে নেই। যেকারণে তারা আতঙ্কে আছেন।

রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন বলেন, মিজানপুর এবং বরাট ইউনিয়নের কিছু কিছু জায়গায় ভাঙন আছে। পদ্মা নদীতে মরফেলজিক্যাল কিছু পরিবর্তন হয়। ¯্রােত এবং ঘূর্ণাবর্তের কারণে গর্ত তৈরি হয়। তারা এসব নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছেন। কোথাও ঝুঁকিপূর্ণ মনে হলে জরুরি ভিত্তিতে মেরামত কাজ করছেন। উড়াকান্দা এলাকায় বকেয়া বাজেট থেকে মেরামত কাজ করা হচ্ছে।

 

 

 

 

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

রাজবাড়ী পদ্মা নদী তীর প্রতিরক্ষা বাঁধের বিভিন্ন অংশে ফাটল, ভাঙনের শঙ্কা

প্রকাশের সময় : ০৪:৪৮:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পদ্মা নদীর পানি কমছে। বাড়ছে ¯্র্েরাত। একারণে পদ্মা নদীর তীর প্রতিরক্ষা বাঁধের কয়েকটি স্থানে ফাটল এবং নদীর তলদেশ থেকে মাটি সরে গিয়ে ভাঙনের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী।

 জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, ২০০৭ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত পদ্মা নদীর তীর সংরক্ষণের জন্য বাঁধ নির্মাণ করা হয় একাধিকবার। এজন্য কয়েকশ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। গত বছরেও প্রতিরক্ষা বাঁধের কয়েক জায়গায় ভেঙে সিসি বøক নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এ বছর এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো ভাঙন দেখা দেয়নি। তবে সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের উড়াকান্দা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে নদীর তলদেশ থেকে মাটি সরে গেছে এবং মিজানপুর ইউনিয়নের চর সিলিমপুর এলাকার তিনটি পয়েন্টে সিসি বøক  ধ্বসে গেছে।

বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উড়াকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ। নদীর তীর থেকে একটু দূরে দুটি নৌকায় করে বস্তাগুলো ফেলা হচ্ছে নদীতে। কাজের দেখভাল করছিলেন রাজবাড়ীর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলী আলিফ মোহাম্মদ ইমু ও কার্য সহকারী জুবায়ের। তারা জানান, কয়েকদিন আগে সার্ভে করার সময় তারা বুঝতে পারেন গাইড ওয়ালের পরে লাঞ্চিং এপ্রোন থেকে মাটি সরে গেছে। বড় ধরনের কোনো সমস্যা যাতে না হয় এজন্য বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে। তারা আরও জানান, মিজানপুর ইউনিয়নের চর সিলিমপুর এলাকায় তিনটি স্পটে তীর রক্ষা বাঁধের ¯øাব সরে গেছে। সেসব জায়গায়ও মেরামত করা হবে।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. সারোয়ার জানান, গত কয়েকদিন ধরে পানি উন্নয়ন বোর্ডে কর্মকর্তাদের দেখছেন আসা যাওয়া করতে। ভাঙন দৃশ্যমান না হলেও শুনছেন বাঁধের নীচ থেকে মাটি সরে গেছে। এতে যে কোনো সময় বাঁধে ভাঙন দেখা দিতে পারে। ইতিপূর্বে বেশ কয়েকবার ভাঙনের কবলে পড়েছিল তীর রক্ষা বাঁধ। শহর রক্ষা বাঁধ থেকে নদী বেশি দূরে নেই। এবার ভাঙন হলে আর রক্ষে নেই। যেকারণে তারা আতঙ্কে আছেন।

রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন বলেন, মিজানপুর এবং বরাট ইউনিয়নের কিছু কিছু জায়গায় ভাঙন আছে। পদ্মা নদীতে মরফেলজিক্যাল কিছু পরিবর্তন হয়। ¯্রােত এবং ঘূর্ণাবর্তের কারণে গর্ত তৈরি হয়। তারা এসব নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছেন। কোথাও ঝুঁকিপূর্ণ মনে হলে জরুরি ভিত্তিতে মেরামত কাজ করছেন। উড়াকান্দা এলাকায় বকেয়া বাজেট থেকে মেরামত কাজ করা হচ্ছে।