Dhaka ০১:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ীতে উন্নয়ন মেলার সমাপনী দিনে সেমিনার – বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা সত্যি হতে চলেছে

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৮:১০:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ অক্টোবর ২০১৮
  • / ১৬৫৮ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥ প্রতিযোগিতা পুরস্কার বিতরণীসহ নানা আয়োজন আর উৎসবের মধ্য দিয়ে রাজবাড়ীতে তিন দিন ব্যাপী উন্নয়ন মেলা শনিবার শেষ হয়েছে। ‘উন্নয়নের অভিযাত্রায় অদম্য বাংলাদেশ’ স্লোগানকে সামনে রেখে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার থেকে শহীদ খুশী রেলওয়ে ময়দানে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন দর্শন ও আজকের বাংলাদেশ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আখতার হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বার, পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি বিপিএম, জেলা সিভিল সার্জন ডা. রহিম বক্স, এলজিইডি রাজবাড়ীর নির্বাহী প্রকৌশলী খান এ শামীম, সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী কেডিএম সাদ্দাম হোসেন, গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শম্ভু রাম পাল, রাজবাড়ী সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ দিলীপ কর, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ফকরুজ্জামান মুকুট প্রমুখ। সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক মো. শওকত আলী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আখতার হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণেই অর্থনৈতিক মুক্তি ও সোনার বাংলা গড়ার কথা উল্লেখ করেছিলেন। মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন ও দারিদ্র দূর করাই ছিল বঙ্গবন্ধুৃর দর্শন। বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া বাংলাদেশ কল্পনাই করা যায়না। বাংলাদেশে কোন অভাব থাকবে না। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হবে। সেই পরিকল্পনা নিয়েই সরকার এগিয়ে যাচ্ছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। খুব শীগগীরই সেগুলো বাস্তবায়িত হবে।
তিনি বলেন, ব্রিটিশরা এদেশে ২ শ বছর শাসন করেছে। তারপরে শাসন করেছে পাকিস্তানীরা। বঙ্গবন্ধু অন্যায়, শোষণ আর অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন। তিনি শোষণ, বঞ্চনা পরিসমাপ্তি ঘটানোর স্বপ্ন দেখেন। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে তার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়। কিন্তু যখনই তিনি বাংলাদেশকে উন্নয়নের ধারায় নিয়ে যাচ্ছিলেন তখনই কুচক্রীরা তাকে হত্যা করে। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা সত্যি হতে চলেছে। ২০৩১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হবে এটা আমরা বিশ্বাস করি।
সভাপতির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক মো. শওকত আলী বলেন, বাংলাদেশ আজ সত্যিকার অর্থে বিশ্বের রোল মডেলে পরিনণত হয়েছে। স্বাধীনতা পরবর্তী যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠনের জন্য বঙ্গবন্ধু ঝাঁপিয়ে পড়লেন। ব্রিজ, কালভার্ট, রাস্তাঘাট মেরামতের কাজে হাত দিলেন। বর্তমানে বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভূতপূর্ব সাফল্য এনে দিয়েছেন। প্রাথমিক শিক্ষায় আমূল পরিবর্তন এনেছেন। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে নিয়েছেন যুগান্তকারী পদক্ষেপ। সমবায় আন্দোলন ছিল বঙ্গবন্ধুর একটি দর্শন। বর্তমানে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পে সমবায় আন্দোলনের বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে। বর্তমানে বিধাব ভাতা, বয়স্ক ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা সহ নানান প্রনোদনা দিচ্ছেন প্রধনমন্ত্রী। যার মাধ্যমে গরীব মানুষ ক্রমেই সচ্ছল হয়ে উঠছেন। এইভাবে উন্নয়নের মহাসড়ে ক নিয়ে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বার বলেন, শেখ হাসিনার উন্নয়নের বার্তা নিয়ে আমি জেলার প্রতিটি ইউনিয়নে যাচিছ। বাংলাদেশে কী পরিমাণ উন্নয়ন হচ্ছে এই বার্তা সাধারণ মানুষের জানা দরকার। সেই সাথে বন্ধ করতে হবে ঘুষ দুর্নীতি। ঘুষ দুর্নীতি বন্ধ হলে বাংলাদেশের আরও উন্নতি হবে।
সিভিল সার্জন ডা. রহিম বক্স বলেন, চিকিৎসা ক্ষেত্রে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। রাজবাড়ী আধনিকৃত সদর হাসপাতাল ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে উন্নীত হবে। ইতিমধ্যেই এ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আর এটি সম্পন্ন হলে আইসিইউসহ নানাবিধ সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাবে।
আলোচনা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সবশেষে অনুষ্ঠিত হয় অ্যক্রোবেটিক প্রদর্শনী।
তিন দিন ব্যাপী মেলায় সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের শতাধিক স্টল অংশগ্রহণ করে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

রাজবাড়ীতে উন্নয়ন মেলার সমাপনী দিনে সেমিনার – বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা সত্যি হতে চলেছে

প্রকাশের সময় : ০৮:১০:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ অক্টোবর ২০১৮

জনতার আদালত অনলাইন ॥ প্রতিযোগিতা পুরস্কার বিতরণীসহ নানা আয়োজন আর উৎসবের মধ্য দিয়ে রাজবাড়ীতে তিন দিন ব্যাপী উন্নয়ন মেলা শনিবার শেষ হয়েছে। ‘উন্নয়নের অভিযাত্রায় অদম্য বাংলাদেশ’ স্লোগানকে সামনে রেখে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার থেকে শহীদ খুশী রেলওয়ে ময়দানে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন দর্শন ও আজকের বাংলাদেশ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আখতার হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বার, পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি বিপিএম, জেলা সিভিল সার্জন ডা. রহিম বক্স, এলজিইডি রাজবাড়ীর নির্বাহী প্রকৌশলী খান এ শামীম, সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী কেডিএম সাদ্দাম হোসেন, গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শম্ভু রাম পাল, রাজবাড়ী সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ দিলীপ কর, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ফকরুজ্জামান মুকুট প্রমুখ। সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক মো. শওকত আলী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আখতার হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণেই অর্থনৈতিক মুক্তি ও সোনার বাংলা গড়ার কথা উল্লেখ করেছিলেন। মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন ও দারিদ্র দূর করাই ছিল বঙ্গবন্ধুৃর দর্শন। বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া বাংলাদেশ কল্পনাই করা যায়না। বাংলাদেশে কোন অভাব থাকবে না। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হবে। সেই পরিকল্পনা নিয়েই সরকার এগিয়ে যাচ্ছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। খুব শীগগীরই সেগুলো বাস্তবায়িত হবে।
তিনি বলেন, ব্রিটিশরা এদেশে ২ শ বছর শাসন করেছে। তারপরে শাসন করেছে পাকিস্তানীরা। বঙ্গবন্ধু অন্যায়, শোষণ আর অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন। তিনি শোষণ, বঞ্চনা পরিসমাপ্তি ঘটানোর স্বপ্ন দেখেন। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে তার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়। কিন্তু যখনই তিনি বাংলাদেশকে উন্নয়নের ধারায় নিয়ে যাচ্ছিলেন তখনই কুচক্রীরা তাকে হত্যা করে। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা সত্যি হতে চলেছে। ২০৩১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হবে এটা আমরা বিশ্বাস করি।
সভাপতির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক মো. শওকত আলী বলেন, বাংলাদেশ আজ সত্যিকার অর্থে বিশ্বের রোল মডেলে পরিনণত হয়েছে। স্বাধীনতা পরবর্তী যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠনের জন্য বঙ্গবন্ধু ঝাঁপিয়ে পড়লেন। ব্রিজ, কালভার্ট, রাস্তাঘাট মেরামতের কাজে হাত দিলেন। বর্তমানে বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভূতপূর্ব সাফল্য এনে দিয়েছেন। প্রাথমিক শিক্ষায় আমূল পরিবর্তন এনেছেন। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে নিয়েছেন যুগান্তকারী পদক্ষেপ। সমবায় আন্দোলন ছিল বঙ্গবন্ধুর একটি দর্শন। বর্তমানে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পে সমবায় আন্দোলনের বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে। বর্তমানে বিধাব ভাতা, বয়স্ক ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা সহ নানান প্রনোদনা দিচ্ছেন প্রধনমন্ত্রী। যার মাধ্যমে গরীব মানুষ ক্রমেই সচ্ছল হয়ে উঠছেন। এইভাবে উন্নয়নের মহাসড়ে ক নিয়ে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফকীর আব্দুল জব্বার বলেন, শেখ হাসিনার উন্নয়নের বার্তা নিয়ে আমি জেলার প্রতিটি ইউনিয়নে যাচিছ। বাংলাদেশে কী পরিমাণ উন্নয়ন হচ্ছে এই বার্তা সাধারণ মানুষের জানা দরকার। সেই সাথে বন্ধ করতে হবে ঘুষ দুর্নীতি। ঘুষ দুর্নীতি বন্ধ হলে বাংলাদেশের আরও উন্নতি হবে।
সিভিল সার্জন ডা. রহিম বক্স বলেন, চিকিৎসা ক্ষেত্রে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। রাজবাড়ী আধনিকৃত সদর হাসপাতাল ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে উন্নীত হবে। ইতিমধ্যেই এ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আর এটি সম্পন্ন হলে আইসিইউসহ নানাবিধ সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাবে।
আলোচনা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সবশেষে অনুষ্ঠিত হয় অ্যক্রোবেটিক প্রদর্শনী।
তিন দিন ব্যাপী মেলায় সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের শতাধিক স্টল অংশগ্রহণ করে।