Dhaka ১২:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫, ১৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ীতে বালু ব্যবসায়ী হত্যায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৬ জনের যাবজ্জীবন

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশের সময় : ০৯:২৯:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 111

 রাজবাড়ীতে বালু ব্যবসায়ী সাফিন খান (৪০) হত্যা মামলায় দুইজনকে মৃত্যুদন্ড ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার বিকেল ৫টায় রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোসাম্মৎ জাকিয়া পারভীন জনাকীর্ণ এক আদালতে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলো কুষ্টিয়ার খোকসা জেলার আমবাড়িয়া গ্রামের সালাম মন্ডলের ছেলে আরিফুজ্জামান আরিফ ও একই গ্রামের ইব্রাহীম প্রামানিকের ছেলে রুহুল আমিন প্রামানিক। যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার সেনগ্রামের মুরাদ মন্ডলের ছেলে সামাদ মন্ডল, শাজাহান প্রামানিকের ছেলে ওয়াহেদ আলী প্রামানিক, পাবনা সদর উপজেলার আকাই কাজীর ছেলে রশিদ কাজী, খোকসা উপজেলার আমবাড়িয়া গ্রামের সাত্তার মোল্লার ছেলে রাজীব মোল্লা, একই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে সবুজ মোল্লা ও মোতালেব মোল্লার ছেলে সাগর মোল্লা। মৃত সাফিন খান কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার আমবাড়িয়া গ্রামের বক্কার খানের ছেলে।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, সাফিন খান দীর্ঘ ১৮ বছর সৌদি আরব ছিলেন। সেখান থেকে দেশে ফিরে বালুর ব্যবসা শুরু করেন। ২০১৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর তারিখে পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামে একটি ফসলি ক্ষেত থেকে সাফিন মন্ডরের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগের দিন ১৬ ডিসেম্বর তারিখে সে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল। সাফিনের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তার বড় ভাই ফরিদ হাসান বাদী হয়ে পাংশা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেখানে পাঁচজনকে অভিযুক্ত করা হয়। তবে, পুলিশ মামলাটির তদন্ত করতে গিয়ে ওই পাঁচজনসহ আর ছয়জনের মোট ১১ জনের সম্পৃক্ততা পায়। তদন্ত শেষে ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দেওয়া হয়। মূলত বালুর ব্যবসাকে কেন্দ্র করেই তাকে হত্যা করা হয়। আদালত মামলার কাগজপত্র পর্যালোচনা ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে দুই জনকে মৃত্যুদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, ছয়জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন। একই সাথে ২০১ ধারায় প্রত্যেককে সাত বছরের কারাদন্ড ও তিন হাজার টাকা জরিমানা করেন। রায় ঘোষণার সময় দন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আরিফুজ্জামান আরিফ ও যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত রশিদ কাজী অনুপস্থিত ছিলেন। মামলার অপর তিন আসামি সেলিম রানা, রতন মোল্লা ও কবীরুল ইসলাম সুমনের বিরুদ্ধে হত্যায় সংশ্লিষ্টতার কোনো প্রমাণ না পাওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
রাজবাড়ী আদালতের পিপি আব্দুর রাজ্জাক (২) বলেন, এটি একটি চাঞ্চল্যকর মামলা ছিল। আদালত যে রায় দিয়েছেন তাতে তিনি খুশী। এ রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

রাজবাড়ীতে বালু ব্যবসায়ী হত্যায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৬ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশের সময় : ০৯:২৯:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫

 রাজবাড়ীতে বালু ব্যবসায়ী সাফিন খান (৪০) হত্যা মামলায় দুইজনকে মৃত্যুদন্ড ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার বিকেল ৫টায় রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোসাম্মৎ জাকিয়া পারভীন জনাকীর্ণ এক আদালতে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলো কুষ্টিয়ার খোকসা জেলার আমবাড়িয়া গ্রামের সালাম মন্ডলের ছেলে আরিফুজ্জামান আরিফ ও একই গ্রামের ইব্রাহীম প্রামানিকের ছেলে রুহুল আমিন প্রামানিক। যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার সেনগ্রামের মুরাদ মন্ডলের ছেলে সামাদ মন্ডল, শাজাহান প্রামানিকের ছেলে ওয়াহেদ আলী প্রামানিক, পাবনা সদর উপজেলার আকাই কাজীর ছেলে রশিদ কাজী, খোকসা উপজেলার আমবাড়িয়া গ্রামের সাত্তার মোল্লার ছেলে রাজীব মোল্লা, একই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে সবুজ মোল্লা ও মোতালেব মোল্লার ছেলে সাগর মোল্লা। মৃত সাফিন খান কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার আমবাড়িয়া গ্রামের বক্কার খানের ছেলে।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, সাফিন খান দীর্ঘ ১৮ বছর সৌদি আরব ছিলেন। সেখান থেকে দেশে ফিরে বালুর ব্যবসা শুরু করেন। ২০১৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর তারিখে পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামে একটি ফসলি ক্ষেত থেকে সাফিন মন্ডরের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগের দিন ১৬ ডিসেম্বর তারিখে সে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল। সাফিনের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তার বড় ভাই ফরিদ হাসান বাদী হয়ে পাংশা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেখানে পাঁচজনকে অভিযুক্ত করা হয়। তবে, পুলিশ মামলাটির তদন্ত করতে গিয়ে ওই পাঁচজনসহ আর ছয়জনের মোট ১১ জনের সম্পৃক্ততা পায়। তদন্ত শেষে ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দেওয়া হয়। মূলত বালুর ব্যবসাকে কেন্দ্র করেই তাকে হত্যা করা হয়। আদালত মামলার কাগজপত্র পর্যালোচনা ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে দুই জনকে মৃত্যুদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, ছয়জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন। একই সাথে ২০১ ধারায় প্রত্যেককে সাত বছরের কারাদন্ড ও তিন হাজার টাকা জরিমানা করেন। রায় ঘোষণার সময় দন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আরিফুজ্জামান আরিফ ও যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত রশিদ কাজী অনুপস্থিত ছিলেন। মামলার অপর তিন আসামি সেলিম রানা, রতন মোল্লা ও কবীরুল ইসলাম সুমনের বিরুদ্ধে হত্যায় সংশ্লিষ্টতার কোনো প্রমাণ না পাওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
রাজবাড়ী আদালতের পিপি আব্দুর রাজ্জাক (২) বলেন, এটি একটি চাঞ্চল্যকর মামলা ছিল। আদালত যে রায় দিয়েছেন তাতে তিনি খুশী। এ রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।