রাবির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মাদার বখশের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
- প্রকাশের সময় : ০৯:১৮:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫
- / 43
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মাদার বখশের ৫৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে মাদার বখশ হল কর্তৃপক্ষ। সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাবির মাদার বখশ হল মসজিদে বিকাল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভা শেষে দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাবির কোষাধ্যক্ষ ও ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. মতিয়ার রহমান। মাদার বখশের পৌত্র কাজি হা-মিম সালেহ্ অনুষ্ঠানে বলেন, “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় মাদার বখশের অবদান সর্বজনবিদিত। তিনি ন্যায়ের পথে কাজ করেছেন। তবে প্রশাসনিকভাবে তার জন্মবার্ষিকী এবং মৃত্যুবার্ষিকী পালনে কিছুটা অবহেলা রয়েছে। আমি দাবি জানাই, প্রশাসন কেন্দ্রীয়ভাবে এ দিনগুলো পালনের উদ্যোগ নিক। আজকের আয়োজন দেখে আমি আনন্দিত।”
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মাদার বখশ হলের প্রাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. শাহ্ হোসাইন আহমদ মেহেদী। তিনি উপস্থিত শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য শেষ করেন। দোয়া মাহফিলে হলের শিক্ষার্থীসহ প্রায় শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
মাদার বখশের জীবন ও অবদান-মাদার বখ্শ ছিলেন এক প্রতিভাদীপ্ত কর্মী ও জননেতা। উত্তরবঙ্গের প্রতি অবহেলা তার মনকে ব্যথিত করত। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে বলেছিলেন, “যদি রাজশাহীতে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন না হয় তবে উত্তরবঙ্গকে স্বতন্ত্র প্রদেশ ঘোষণার দাবি করতে হবে।” তার এই বলিষ্ঠ নেতৃত্বের ফলস্বরূপ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট পাস হয়।
রাজশাহী শহরে ১৯টির বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার মাধ্যমে তিনি শহরটিকে “শিক্ষানগরী” হিসেবে গড়ে তুলতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭৪ সালে তার নামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি আবাসিক হলের নামকরণ করা হয় “মাদার বখ্শ হল”। এছাড়া রাজশাহীতে তার নামে সড়ক, ইনস্টিটিউট এবং গ্রন্থাগারের নামকরণ করা হয়েছে। তার সম্মানে “মাদার বখ্শ সাহিত্য সংস্কৃতি পুরস্কার” প্রদান করা হয়।
১৯০৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি নাটোর মহকুমার সিংড়ায় জন্মগ্রহণ করা মাদার বখ্শ ১৯৬৭ সালের ২০ জানুয়ারি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও জনকল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ এই নেতার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।