Dhaka ০৫:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ীতে শুরু হয়েছে ৫ দিনব্যাপী ভ্রাম্যমাণ বইমেলা

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশের সময় : ০৫:২০:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 35

  রাজবাড়ীতে পাঁচ দিনব্যাপী ভ্রাম্যমাণ বইমেলা গত শনিবার থেকে শুরু হয়েছে। বিশ^ সাহিত্য কেন্দ্রের আয়োজনেগ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় রাজবাড়ী শহীদ খুশী রেলওয়ে ময়দানে চলছে এ মেলা।

বিশ^ সাহিত্য কেন্দ্র সূত্র জানিয়েছে, দেশব্যাপী আলোকিত মানুষ গড়ার আন্দোলনের অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ বইমেলা। বিশ^ সাহিত্য কেন্দ্রের প্রকাশনাসহ দেশি বিদেশি প্রখ্যাত প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের ১০ হাজারেরও বেশি বই রয়েছে মেলায়। এসব বইয়ের মধ্যে রয়েছে বিখ্যাত লেখকদের উপন্যাস, গল্প, রম্য রচনা, জীবনী, ভ্রমণ কাহিনী, কবিতার বই, প্রবন্ধ, নাটক, ধর্ম, দর্শন, সায়েন্স ফিকশন, ভৌতিক উপন্যাস, গোয়েন্দা গল্প, স্বাস্থ্য-চিকিৎসা ইত্যাদি। আগামী ১ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে মেলার কার্যক্রম। যেখানে ক্রেতারা বিশ^ সাহিত্য কেন্দ্রের বই ৩০ শতাংশ ছাড়ে এবং অন্য প্রকাশনার বই ২৫ শতাংশ ছাড়ে কিনতে পারবেন। বিশ^ সাহিত্য কেন্দ্রের যারা সদস্য রয়েছেন তারা পাচ্ছেন ৩৫ শতাংশ ছাড়।

গত শনিবার সন্ধ্যায় মেলা প্রাঙ্গনে গিয়ে দেখা যায়, রেলওয়ে ময়দানের দক্ষিণ পাশে বিশ^ সাহিত্য কেন্দ্রের একটি বিশালকায় বাস লাইব্রেরি। তার সামনেই লম্বালম্বি বইয়ের স্টল। স্টলের তাকে সুন্দর করে সাজানো হয়েছে বই। দর্শনার্থীরা আসছে দেখছে। কেউ কিনছেন। কেউ দেখে চলে যাচ্ছেন। কেউ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই পড়ছেন। হঠাৎ বই মেলার এমন আয়োজন দেখে খুশী বইপ্রেমিরা।

রাজবাড়ী একাডেমির সভাপতি সাবেক জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বই জ্ঞানের প্রতীক। জ্ঞানার্জনের জন্য প্রচুর বই পড়তে হবে। এমন আয়োজন নতুন প্রজন্মকে বই পড়ায় উৎসাহিত করবে।

রাজবাড়ীতে ভ্রাম্যমাণ বইমেলার বিক্রয় কর্মকর্তা হানিফ হোসেন জানান, লাভের জন্য নয়, মূলত নতুন প্রজন্মকে বই পড়ায় উৎসাহিত করার লক্ষ্য নিয়েই বই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। বিশ^ সাহিত্য কেন্দ্রের তিনটি টিমে বিভক্ত হয়ে সারা দেশেই এমন আয়োজন করছে। রাজবাড়ীতে প্রথম দিন বইমেলায় উপস্থিতি একটু কম ছিল। আগে থেকে প্রচারণার সময় না পাওয়া, স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকা এর কারণ হতে পারে। তবে, প্রথম দিনের বিক্রি সন্তোষজনক ছিল। দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ক্রমশ বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

রাজবাড়ীতে শুরু হয়েছে ৫ দিনব্যাপী ভ্রাম্যমাণ বইমেলা

প্রকাশের সময় : ০৫:২০:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

  রাজবাড়ীতে পাঁচ দিনব্যাপী ভ্রাম্যমাণ বইমেলা গত শনিবার থেকে শুরু হয়েছে। বিশ^ সাহিত্য কেন্দ্রের আয়োজনেগ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় রাজবাড়ী শহীদ খুশী রেলওয়ে ময়দানে চলছে এ মেলা।

বিশ^ সাহিত্য কেন্দ্র সূত্র জানিয়েছে, দেশব্যাপী আলোকিত মানুষ গড়ার আন্দোলনের অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ বইমেলা। বিশ^ সাহিত্য কেন্দ্রের প্রকাশনাসহ দেশি বিদেশি প্রখ্যাত প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের ১০ হাজারেরও বেশি বই রয়েছে মেলায়। এসব বইয়ের মধ্যে রয়েছে বিখ্যাত লেখকদের উপন্যাস, গল্প, রম্য রচনা, জীবনী, ভ্রমণ কাহিনী, কবিতার বই, প্রবন্ধ, নাটক, ধর্ম, দর্শন, সায়েন্স ফিকশন, ভৌতিক উপন্যাস, গোয়েন্দা গল্প, স্বাস্থ্য-চিকিৎসা ইত্যাদি। আগামী ১ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে মেলার কার্যক্রম। যেখানে ক্রেতারা বিশ^ সাহিত্য কেন্দ্রের বই ৩০ শতাংশ ছাড়ে এবং অন্য প্রকাশনার বই ২৫ শতাংশ ছাড়ে কিনতে পারবেন। বিশ^ সাহিত্য কেন্দ্রের যারা সদস্য রয়েছেন তারা পাচ্ছেন ৩৫ শতাংশ ছাড়।

গত শনিবার সন্ধ্যায় মেলা প্রাঙ্গনে গিয়ে দেখা যায়, রেলওয়ে ময়দানের দক্ষিণ পাশে বিশ^ সাহিত্য কেন্দ্রের একটি বিশালকায় বাস লাইব্রেরি। তার সামনেই লম্বালম্বি বইয়ের স্টল। স্টলের তাকে সুন্দর করে সাজানো হয়েছে বই। দর্শনার্থীরা আসছে দেখছে। কেউ কিনছেন। কেউ দেখে চলে যাচ্ছেন। কেউ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই পড়ছেন। হঠাৎ বই মেলার এমন আয়োজন দেখে খুশী বইপ্রেমিরা।

রাজবাড়ী একাডেমির সভাপতি সাবেক জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বই জ্ঞানের প্রতীক। জ্ঞানার্জনের জন্য প্রচুর বই পড়তে হবে। এমন আয়োজন নতুন প্রজন্মকে বই পড়ায় উৎসাহিত করবে।

রাজবাড়ীতে ভ্রাম্যমাণ বইমেলার বিক্রয় কর্মকর্তা হানিফ হোসেন জানান, লাভের জন্য নয়, মূলত নতুন প্রজন্মকে বই পড়ায় উৎসাহিত করার লক্ষ্য নিয়েই বই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। বিশ^ সাহিত্য কেন্দ্রের তিনটি টিমে বিভক্ত হয়ে সারা দেশেই এমন আয়োজন করছে। রাজবাড়ীতে প্রথম দিন বইমেলায় উপস্থিতি একটু কম ছিল। আগে থেকে প্রচারণার সময় না পাওয়া, স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকা এর কারণ হতে পারে। তবে, প্রথম দিনের বিক্রি সন্তোষজনক ছিল। দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ক্রমশ বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।