Dhaka ০৮:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আশাদুল কী দেশের সবচেয়ে ‘লম্বা মানুষ’?

ডেস্ক নিউজ
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৩০:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ১০৩০ জন সংবাদটি পড়েছেন

দেশের সবচেয়ে লম্বা মানুষ হিসেবে দাবি করা হচ্ছে আশাদুল ইসলামকে (২৮)। তার বাড়ি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় বাঁশ বাড়িয়া ইউনিয়নের ভৈরব বাজারের পাশে শ্রীপুর পাবনা পাড়া গ্রামে। উচ্চতার দিক দিয়ে তিনি ৭ ফুট ২ ইঞ্চি। ওজন ১০৫ কেজি। পেশায় একজন পাওয়ার টিলার চালক ও কৃষক।

এলাকাবাসীর দাবি, আসাদুল সবচেয়ে লম্বা মানুষ। তার মতো বাংলাদেশে একটিও নেই। ওই গ্রামের ফজের আলীর ৩ ছেলে ও ৩ মেয়ের মধ্যে আসাদুল ইসলাম বয়সে সবার চেয়ে ছোট। যখন তার ১০ বছর বয়স তখন থেকে হঠাৎ অস্বাভাবিক আকারে বাড়তে থাকেন তিনি।

শারীরিক ভাবে কোনো সমস্যা নেই আশাদুলের। গরীব পিতার সংসারে জন্ম নেওয়া আসাদুল লেখাপড়া করেননি। মাঠে কৃষি কাজ করেন।

আশাদুল বলেন, আমি যখন বিভিন্ন অনুষ্ঠান বা কোনো স্থানে যাই তখন মানুষ আমাকে ধরে সেলফি তুলতে ব্যস্ত থাকে। এতে করে মানুষের আনন্দের পাশাপাশি আমিও মজা পাই। কখনও আমি রাগ করি না। কারণ আগেকার মানুষ এমন লম্বা ছিল তাই আল্লাহ আমাকে লম্বা বানিয়েছেন। তবে ঘর থেকে বা কোনো দোকানে ঢুকতে গেলে অনেক সময় মাথায় আঘাত লাগে। গায়ের পোশাক থেকে শুরু করে সবকিছুই আগে অর্ডার দিয়ে বানাতে হয়। এটাই আমার বড় সমস্যা। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই ছেলে জনক।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের কনসালটেন্ট (কার্ডিওলজি) ডা. প্রসেনজিৎ বিশ্বাস পার্থ জানান, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া কিছুই বলা সম্ভব নয়। তবে শরীরের বিভিন্ন হরমোনের অস্বাভাবিক ক্রিয়ার জন্য মানুষের উচ্চতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন অঙ্গের গঠনের পরিবর্তন ও বৃদ্ধি হতে পারে। এতে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

আশাদুল কী দেশের সবচেয়ে ‘লম্বা মানুষ’?

প্রকাশের সময় : ০৬:৩০:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

দেশের সবচেয়ে লম্বা মানুষ হিসেবে দাবি করা হচ্ছে আশাদুল ইসলামকে (২৮)। তার বাড়ি ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় বাঁশ বাড়িয়া ইউনিয়নের ভৈরব বাজারের পাশে শ্রীপুর পাবনা পাড়া গ্রামে। উচ্চতার দিক দিয়ে তিনি ৭ ফুট ২ ইঞ্চি। ওজন ১০৫ কেজি। পেশায় একজন পাওয়ার টিলার চালক ও কৃষক।

এলাকাবাসীর দাবি, আসাদুল সবচেয়ে লম্বা মানুষ। তার মতো বাংলাদেশে একটিও নেই। ওই গ্রামের ফজের আলীর ৩ ছেলে ও ৩ মেয়ের মধ্যে আসাদুল ইসলাম বয়সে সবার চেয়ে ছোট। যখন তার ১০ বছর বয়স তখন থেকে হঠাৎ অস্বাভাবিক আকারে বাড়তে থাকেন তিনি।

শারীরিক ভাবে কোনো সমস্যা নেই আশাদুলের। গরীব পিতার সংসারে জন্ম নেওয়া আসাদুল লেখাপড়া করেননি। মাঠে কৃষি কাজ করেন।

আশাদুল বলেন, আমি যখন বিভিন্ন অনুষ্ঠান বা কোনো স্থানে যাই তখন মানুষ আমাকে ধরে সেলফি তুলতে ব্যস্ত থাকে। এতে করে মানুষের আনন্দের পাশাপাশি আমিও মজা পাই। কখনও আমি রাগ করি না। কারণ আগেকার মানুষ এমন লম্বা ছিল তাই আল্লাহ আমাকে লম্বা বানিয়েছেন। তবে ঘর থেকে বা কোনো দোকানে ঢুকতে গেলে অনেক সময় মাথায় আঘাত লাগে। গায়ের পোশাক থেকে শুরু করে সবকিছুই আগে অর্ডার দিয়ে বানাতে হয়। এটাই আমার বড় সমস্যা। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই ছেলে জনক।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের কনসালটেন্ট (কার্ডিওলজি) ডা. প্রসেনজিৎ বিশ্বাস পার্থ জানান, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া কিছুই বলা সম্ভব নয়। তবে শরীরের বিভিন্ন হরমোনের অস্বাভাবিক ক্রিয়ার জন্য মানুষের উচ্চতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন অঙ্গের গঠনের পরিবর্তন ও বৃদ্ধি হতে পারে। এতে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই।