Dhaka ০৩:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আড়তে পেঁয়াজ ৭০ টাকা, খুচরা পর্যায়েও কমছে

ডেস্ক নিউজ
  • প্রকাশের সময় : ১১:১৫:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ১০৩৮ জন সংবাদটি পড়েছেন

কমছে পেঁয়াজের দাম। স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন ভোক্তারা। তারা বলছেন, পেঁয়াজ পাতা, ফুলকার সরবরাহ বাড়লে পেঁয়াজের চাহিদা কমবে। নতুন পেঁয়াজ বাজারে উঠলে দাম সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে।

দেশের অন্যতম বড় ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে রোববার (৮ ডিসেম্বর) ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ মান ও আকার ভেদে ৭০-৭৮ টাকা বিক্রি হয়েছে। খুচরায় আকারে বড় ও ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮৫-৯০ টাকা। কয়েকদিন আগেও এ পেঁয়াজ বিক্রি হতো ১০০ টাকা।

কমদামে পেঁয়াজ কিনতে পেরে খুশি রিকশাভ্যানে পেঁয়াজ রসুন আদা ফেরি করা মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। আড়তের সামনেই তিনটি রিকশাভ্যানে পেঁয়াজ বাছাই করছিলেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন, পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য। দেশে যখন ভারত থেকে বেশি পেঁয়াজের ট্রাক ঢুকে তখন আড়তেও দাম কমে যায়। আজ দেখলাম দাম কমে গেছে। ভালো মানের পেঁয়াজ কিনেছি ৭৫ টাকায়। অনায়াসে এ পেঁয়াজ ৯০ টাকা বিক্রি করতে পারবো। পচা-গলা পেঁয়াজ বাদ দিলেও মোটামুটি লাভ থাকবে।

সূত্র জানায়, শনিবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে অন্তত ৪০ ট্রাকে ১ হাজার ১৭১ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে বাংলাদেশে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর দিয়েও নিয়মিত আসছে তুরস্ক ও পাকিস্তানি পেঁয়াজ। সব মিলে সরবরাহ ভালো পেঁয়াজের।

খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের বড় বিপণিকেন্দ্র হামিদউল্লাহ মার্কেট। এ মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস জানান, রোববার (৮ ডিসেম্বর) খাতুনগঞ্জে মান ও আকার ভেদে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ ৭০-৭৮ টাকা বিক্রি হয়েছে। স্থলবন্দর থেকে ৫-৬ টাকা বেশি হয় খাতুনগঞ্জে। বাজারে সরবরাহ বাড়লে পেঁয়াজের দাম কমবে এটা স্বাভাবিক। তাছাড়া পচনশীল পণ্য হওয়ায় পেঁয়াজ বেশিদিন মজুদ করা যায় না।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আশাকরি জানুয়ারিতে পাবনা ফরিদপুরের দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসবে। পেঁয়াজ পাতা, ফুলকার সরবরাহ বাড়লে পেঁয়াজের বাজারে কিছুটা প্রভাব পড়ে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

আড়তে পেঁয়াজ ৭০ টাকা, খুচরা পর্যায়েও কমছে

প্রকাশের সময় : ১১:১৫:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪

কমছে পেঁয়াজের দাম। স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন ভোক্তারা। তারা বলছেন, পেঁয়াজ পাতা, ফুলকার সরবরাহ বাড়লে পেঁয়াজের চাহিদা কমবে। নতুন পেঁয়াজ বাজারে উঠলে দাম সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে।

দেশের অন্যতম বড় ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে রোববার (৮ ডিসেম্বর) ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ মান ও আকার ভেদে ৭০-৭৮ টাকা বিক্রি হয়েছে। খুচরায় আকারে বড় ও ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮৫-৯০ টাকা। কয়েকদিন আগেও এ পেঁয়াজ বিক্রি হতো ১০০ টাকা।

কমদামে পেঁয়াজ কিনতে পেরে খুশি রিকশাভ্যানে পেঁয়াজ রসুন আদা ফেরি করা মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। আড়তের সামনেই তিনটি রিকশাভ্যানে পেঁয়াজ বাছাই করছিলেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন, পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য। দেশে যখন ভারত থেকে বেশি পেঁয়াজের ট্রাক ঢুকে তখন আড়তেও দাম কমে যায়। আজ দেখলাম দাম কমে গেছে। ভালো মানের পেঁয়াজ কিনেছি ৭৫ টাকায়। অনায়াসে এ পেঁয়াজ ৯০ টাকা বিক্রি করতে পারবো। পচা-গলা পেঁয়াজ বাদ দিলেও মোটামুটি লাভ থাকবে।

সূত্র জানায়, শনিবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে অন্তত ৪০ ট্রাকে ১ হাজার ১৭১ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে বাংলাদেশে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর দিয়েও নিয়মিত আসছে তুরস্ক ও পাকিস্তানি পেঁয়াজ। সব মিলে সরবরাহ ভালো পেঁয়াজের।

খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের বড় বিপণিকেন্দ্র হামিদউল্লাহ মার্কেট। এ মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস জানান, রোববার (৮ ডিসেম্বর) খাতুনগঞ্জে মান ও আকার ভেদে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ ৭০-৭৮ টাকা বিক্রি হয়েছে। স্থলবন্দর থেকে ৫-৬ টাকা বেশি হয় খাতুনগঞ্জে। বাজারে সরবরাহ বাড়লে পেঁয়াজের দাম কমবে এটা স্বাভাবিক। তাছাড়া পচনশীল পণ্য হওয়ায় পেঁয়াজ বেশিদিন মজুদ করা যায় না।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আশাকরি জানুয়ারিতে পাবনা ফরিদপুরের দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসবে। পেঁয়াজ পাতা, ফুলকার সরবরাহ বাড়লে পেঁয়াজের বাজারে কিছুটা প্রভাব পড়ে।