Dhaka ০৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
রাজবাড়ী কালেক্টরেট স্কুলের উদ্যোগ

পিঠা উৎসবে বাঙালির ঐতিহ্য

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশের সময় : ০৯:০৬:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ১০৭৪ জন সংবাদটি পড়েছেন

হাজার বছরের সমৃদ্ধ সংস্কৃতির উত্তরাধিকারী বাঙালি। পিঠা তারই একটি অংশ। প্রাচীনকাল থেকে মুখরোচক নানান পিঠা তৈরি করে আসছে। শুধু খাবার হিসেবেই নয়, লোকজ ঐতিহ্য এবং নারী সমাজের শিল্প নৈপুণ্যের স্মারক রূপেও পিঠা বিবেচিত হয়। বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে আছে পিঠা। শীত এলেই গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে শুরু হয় পিঠা পুলির উৎসব। তবে শীত বিদায় নিলেও আমেজ এখনও শেষ হয়নি। ঠিক এ সময়ে পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছে রাজবাড়ী কালেক্টরেট স্কুল। বৃহস্পতিবার সকালে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এ পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান।

বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে প্লেটে থরে থরে সাজানো নানান স্বাদের হরেক রকমের পিঠা। এর মধ্যে ছিল চিতই, ভাপা, ডিম পিঠা, পুডিং, দুধ মালাইকারী, পাকন, নকশি, পাটি সাপটা, পুলি, দুধ পুলি, মুগ পাকন, ভাইয়া পিঠা, গোলাপ নকশি, ভেলান ইত্যাদি। যেসব তৈরি করেছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ও অভিভাবকবৃন্দ।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, পিঠা-পুলি খাওয়ার প্রচলন গ্রামবাংলার অস্থিমজ্জায় মিশে আছে। এমনভাবে মিশেছে যেন পিঠা এক উৎসবের নাম। পিঠা আর বাঙালিকে আলাদা করার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু আমাদে নতুন প্রজন্ম অনেক পিঠার সাথেই পরিচিত নয়। তাদেরকে পিঠার সাথে পরিচিত করাতেই এ আয়োজন করা হয়েছে।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান বলেন, এ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠান পর থেকে আমরা চেষ্টা করে চলেছি আমাদের মূল ঐতিহ্যকে ধারণ করা। ছোটবেলায় যখন লেখাপড়া করেছি তখন স্কুলে যাওয়া আমাদের জন্য আনন্দের ছিল। স্কুল ছিল বাড়ি থেকে অনেক বেশি আনন্দের। যুগের পরিবর্তনে বা যে কোনো কারণেই হোক সে জায়গা থেকে বিচ্যুত হয়েছি। কিন্তু কালেক্টরেট স্কুল সে ধারা অব্যাহত রেখেছে। বিভিন্ন উৎসব আয়োজনের মাধ্যমে বিদ্যালয়ে আনন্দময় পরিবেশ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। পিঠা উৎসব তারই একটি অনুষঙ্গ।

এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সূবর্ণা রানী সাহা, রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জয়ন্তী রূপা রায়, রাজবাড়ী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্র্তা শোভন রাংসা, জেলা প্রশাসকের সহধর্মিনী জিনাত আফরিন, পুলিশ সুপারের সহধর্মিনী হালিমা আকতার শিরীন প্রমুখ। আলোচনা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশিত হয়।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

রাজবাড়ী কালেক্টরেট স্কুলের উদ্যোগ

পিঠা উৎসবে বাঙালির ঐতিহ্য

প্রকাশের সময় : ০৯:০৬:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

হাজার বছরের সমৃদ্ধ সংস্কৃতির উত্তরাধিকারী বাঙালি। পিঠা তারই একটি অংশ। প্রাচীনকাল থেকে মুখরোচক নানান পিঠা তৈরি করে আসছে। শুধু খাবার হিসেবেই নয়, লোকজ ঐতিহ্য এবং নারী সমাজের শিল্প নৈপুণ্যের স্মারক রূপেও পিঠা বিবেচিত হয়। বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে আছে পিঠা। শীত এলেই গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে শুরু হয় পিঠা পুলির উৎসব। তবে শীত বিদায় নিলেও আমেজ এখনও শেষ হয়নি। ঠিক এ সময়ে পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছে রাজবাড়ী কালেক্টরেট স্কুল। বৃহস্পতিবার সকালে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এ পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান।

বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে প্লেটে থরে থরে সাজানো নানান স্বাদের হরেক রকমের পিঠা। এর মধ্যে ছিল চিতই, ভাপা, ডিম পিঠা, পুডিং, দুধ মালাইকারী, পাকন, নকশি, পাটি সাপটা, পুলি, দুধ পুলি, মুগ পাকন, ভাইয়া পিঠা, গোলাপ নকশি, ভেলান ইত্যাদি। যেসব তৈরি করেছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ও অভিভাবকবৃন্দ।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, পিঠা-পুলি খাওয়ার প্রচলন গ্রামবাংলার অস্থিমজ্জায় মিশে আছে। এমনভাবে মিশেছে যেন পিঠা এক উৎসবের নাম। পিঠা আর বাঙালিকে আলাদা করার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু আমাদে নতুন প্রজন্ম অনেক পিঠার সাথেই পরিচিত নয়। তাদেরকে পিঠার সাথে পরিচিত করাতেই এ আয়োজন করা হয়েছে।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান বলেন, এ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠান পর থেকে আমরা চেষ্টা করে চলেছি আমাদের মূল ঐতিহ্যকে ধারণ করা। ছোটবেলায় যখন লেখাপড়া করেছি তখন স্কুলে যাওয়া আমাদের জন্য আনন্দের ছিল। স্কুল ছিল বাড়ি থেকে অনেক বেশি আনন্দের। যুগের পরিবর্তনে বা যে কোনো কারণেই হোক সে জায়গা থেকে বিচ্যুত হয়েছি। কিন্তু কালেক্টরেট স্কুল সে ধারা অব্যাহত রেখেছে। বিভিন্ন উৎসব আয়োজনের মাধ্যমে বিদ্যালয়ে আনন্দময় পরিবেশ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। পিঠা উৎসব তারই একটি অনুষঙ্গ।

এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় বক্তৃতা করেন রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সূবর্ণা রানী সাহা, রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জয়ন্তী রূপা রায়, রাজবাড়ী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্র্তা শোভন রাংসা, জেলা প্রশাসকের সহধর্মিনী জিনাত আফরিন, পুলিশ সুপারের সহধর্মিনী হালিমা আকতার শিরীন প্রমুখ। আলোচনা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশিত হয়।