Dhaka ১০:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাতে প্রবাসী স্বামীর সাথে ফোনে কথা বলতে বলতে নিখোঁজ হন রোজিনা \ সকালে বাঁশবাগানে মিলল মরদেহ

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশের সময় : ০৯:২৪:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ১০৪৯ জন সংবাদটি পড়েছেন

রাতে স্বামীর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে নিখোঁজ হন গৃহবধূ রোজিনা আক্তার। পরদিন বাঁশবাগানে পাওয়া যায় তার মরদেহ। ঘটনাটি ঘটেছে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের পাট্টা গ্রামে। শুক্রবার সকালে বাড়ির অদূরে একটি বাঁশ বাগান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পাংশা থানার পুলিশ। তিনি একই গ্রামের দুবাই প্রবাসী লিটন শেখের স্ত্রী। বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। নিহত রোজিনা দুই সন্তানের জননী।

এলাকাবাসী ও পাংশা থানা সূত্র জানায়, শুক্রবার সকালে আরজিনার মরদেহ পাট্টা গ্রামের একটি বাঁশঝাড়ের মধ্যে দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে। তাকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ^াসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নিহতের চাচী আলেয়া বেগম জানান, বিয়ের পর থেকে শ^শুরবাড়ির লোকেরা রোজিনাকে অমানুষিক নির্যাতন করতো। পাঁচ মাস আগে লিটন বিশ^াস দুবাই চলে যায়। তার আগে লিটন বিশ^াস গোপনে আর একটি বিয়ে করে। স্বামী বিদেশ যাওয়ার পর রোজিনা মাঝে মধ্যে বাবার বাড়িতে থাকত। কয়েকদিন আগে সে শ^শুরবাড়ি যায়। শুক্রবার সকালে তারা জানতে পারেন বাড়ির অদূরে বাঁশ বাগানে রোজিনার  মরদেহ পড়ে আছে।

পাট্টা ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী সদস্য আলেয়া খাতুন জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে রোজিনার স্বামী লিটন বিশ^াস রোজিনাকে ফোন করেন। কথা ভালো শোনা না যাওয়ায় লিটন বিশ^াস স্ত্রী রোজিনাকে বাইরে যেতে বলেন। বাইরে যাওয়ার পর তার ফোন বন্ধ হয়ে যায়। লিটন বিশ^াস পরিবারের লোকদের ফোন বরে বলেন, রোজিনার ফোন বন্ধ হয়ে গেল কেন? পরিবারের লোকজন জানায়; রোজিনা ঘরে নেই। রাতেই খোঁজাখুজি শুরু হয়। কিন্তু কোথাও পাওয়া যায়নি রোজিনাকে। সকালে বাঁশ বাগানে তার মরদেহ পাওয়া যায়।

পাংশা থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। কারা কেন তাকে হত্যা করেছে তা এখনও জানা যায়নি। তার মাথায় ও ঘাড়ে আঘাতের চিহ্ন আছে। ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। বিষয়টি পারিবারিক কলহের কারণে হতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। এব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। পাশাপাশি ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ করছে পুলিশ।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

রাতে প্রবাসী স্বামীর সাথে ফোনে কথা বলতে বলতে নিখোঁজ হন রোজিনা \ সকালে বাঁশবাগানে মিলল মরদেহ

প্রকাশের সময় : ০৯:২৪:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

রাতে স্বামীর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে নিখোঁজ হন গৃহবধূ রোজিনা আক্তার। পরদিন বাঁশবাগানে পাওয়া যায় তার মরদেহ। ঘটনাটি ঘটেছে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের পাট্টা গ্রামে। শুক্রবার সকালে বাড়ির অদূরে একটি বাঁশ বাগান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পাংশা থানার পুলিশ। তিনি একই গ্রামের দুবাই প্রবাসী লিটন শেখের স্ত্রী। বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। নিহত রোজিনা দুই সন্তানের জননী।

এলাকাবাসী ও পাংশা থানা সূত্র জানায়, শুক্রবার সকালে আরজিনার মরদেহ পাট্টা গ্রামের একটি বাঁশঝাড়ের মধ্যে দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে। তাকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ^াসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নিহতের চাচী আলেয়া বেগম জানান, বিয়ের পর থেকে শ^শুরবাড়ির লোকেরা রোজিনাকে অমানুষিক নির্যাতন করতো। পাঁচ মাস আগে লিটন বিশ^াস দুবাই চলে যায়। তার আগে লিটন বিশ^াস গোপনে আর একটি বিয়ে করে। স্বামী বিদেশ যাওয়ার পর রোজিনা মাঝে মধ্যে বাবার বাড়িতে থাকত। কয়েকদিন আগে সে শ^শুরবাড়ি যায়। শুক্রবার সকালে তারা জানতে পারেন বাড়ির অদূরে বাঁশ বাগানে রোজিনার  মরদেহ পড়ে আছে।

পাট্টা ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী সদস্য আলেয়া খাতুন জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে রোজিনার স্বামী লিটন বিশ^াস রোজিনাকে ফোন করেন। কথা ভালো শোনা না যাওয়ায় লিটন বিশ^াস স্ত্রী রোজিনাকে বাইরে যেতে বলেন। বাইরে যাওয়ার পর তার ফোন বন্ধ হয়ে যায়। লিটন বিশ^াস পরিবারের লোকদের ফোন বরে বলেন, রোজিনার ফোন বন্ধ হয়ে গেল কেন? পরিবারের লোকজন জানায়; রোজিনা ঘরে নেই। রাতেই খোঁজাখুজি শুরু হয়। কিন্তু কোথাও পাওয়া যায়নি রোজিনাকে। সকালে বাঁশ বাগানে তার মরদেহ পাওয়া যায়।

পাংশা থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। কারা কেন তাকে হত্যা করেছে তা এখনও জানা যায়নি। তার মাথায় ও ঘাড়ে আঘাতের চিহ্ন আছে। ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। বিষয়টি পারিবারিক কলহের কারণে হতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। এব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। পাশাপাশি ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ করছে পুলিশ।