Dhaka ১২:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বইমেলায় সাড়া ফেলেছে লেখক স্মৃতি রায়ের কাব্যগ্রন্থ ‘আরাধ্য’

ইমদাদুল হক রানা
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৪৬:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ১১৫৪ জন সংবাদটি পড়েছেন

মানুষের ভালো চিন্তা থেকে সামাজিক কাজে ভালো কিছু হওয়া সম্ভব। একজন সুন্দর মনের মানুষ একসময় হয়ে ওঠে কবি, সাহিত‍্যিক, সাংবাদিক, শিল্পী। এমনি এক প্রতিভাবান মানুষকে নিয়ে লিখা আজকের প্রতিবেদন। ২১শে’র বইমেলায় যাঁর বই পাঠকের মনে সাড়া জাগিয়েছে তিনি রাজবাড়ীর কৃতিসন্তান স্মৃতি রায়। তৃণলতা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত তাঁর লিখা “আরাধ‍্য” নামের বইটি ২০২৩ সালের একুশে বইমেলার স্টলে সম্মানের সাথে স্থান করে নিয়েছে। ২০২৩ সালের একুশে বইমেলার ৩৫৪ ও ৩৫৫ নং স্টলে পাওয়া যাচ্ছে পদ্মা বিভাগের রাজবাড়ীর কৃতিসন্তান নবীন কবি স্মৃতি রায়ের লেখা আরাধ‍্য কাব‍্যগ্রন্থটি।

, আশির দশকের ১৯৮৩ সালের ৯ জানুয়ারি ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার ভাটিকান্দি মথুরাপুর গ্রামে সম্ভ্রান্ত ব্রাক্ষ্মণ পরিবারে নানামুখী প্রতিভার অধিকারী স্মৃতি রায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পিতা জগদিশ রায় ও মাতা শেফালী রায়ের প্রথম সন্তান। শৈশবে স্মৃতি কানাইপুরের সাইবাড়িয়া গ্রামে মামার বাড়ীতে । পরে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলা সদরের চন্দনা নদী পাড়ের জাবরকোল গ্রামে বাবা মায়ের সাথে বসবাস শুরু করেন। সেখানে বালিয়াকান্দি সরকারি পাইলট বালিকা বিদ‍্যালয় থেকে সেকেন্ডারী স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়ে বাবার কর্মস্থল রাজবাড়ীতে চলে আসেন। স্নাতক শেষ করে ফরিদপুর আইন কলেজ থেকে এল,এল,বি শেষ করেন। বর্তমানে লেখক স্মৃতি রায় ঢাকার একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন। জ্ঞান পিপাসু স্মৃতি রায় কর্মজীবনের পাশাপাশি নানামুখী পড়াশুনায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। ব‍্যাক্তিগত জীবনে তিনি এক পুত্র সন্তানের জননী। তাঁর লেখা প্রথম কাব‍্যগ্রন্থ – আরাধ‍্য- বিষয়ে স্মৃতি রায় বলেন, ঘাত প্রতিঘাতময় এই জীবনে বিরূপতা এবং সহযোগিতা কোনটারই অভাব কখনো তিনি অনুভব করেননি।কোন কিছুই তাকে তার লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি।বাংলার সবুজ শ্যামলিমা,ধানক্ষেত,বহমান স্রোতস্বিনী,গ্রামের সহজ সরল মানুষের নিষ্পাপ আচরণ যেমন তাকে টানে,পাশাপাশি দ্বন্দ সংঘাতময় স্বার্থান্বেষী মানুষের মনের সংকীর্ণতাও তাকে পীড়া দেয়।এসব কিছু সত্বেও সুড়ঙ্গ শেষের আলোর আকাঙ্ক্ষা তাকে প্রতিনিয়ত ধাবিত করে সমুখপানে ।একটি সুন্দরের স্বপ্ন তার লিখার মূল প্রতিপাদ্য।আর এসব কিছুই মূর্ত হয়ে উঠেছে তার “আরাধ্য” কাব্য গ্রন্থে।পাঠক তার কবিতা পাঠ করতে করতে বিষয় বস্তুর সংগে একাত্ম অনুভব করবে এটাই কবির বিশ্বাস। সম্মানিতপাঠকগণকে সাথে নিয়ে তিনি আরও ভালো কিছু উপহার দিতে পারবেন আগামীতে,এটা তিনি দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করেন। তিনি আরও বলেন, নিয়মিত পাঠকের পাশাপাশি, নিয়মিত যে মানুষটি বই পড়েন না, তিনিও ফেব্রুয়ারিতে একবার হলেও বই মেলাতে আসেন, একটা দুইটা পছন্দের বই কেনেন। এবারই প্রথম তিন তার কাব‍্যগ্রন্থ “আরাধ‍্য” নিয়ে পাঠক ও প্রকাশকদের সঙ্গে আছেন। তরুণ লেখকদের অনেক স্বপ্ন এবারের বইমেলা নিয়ে, সাথে প্রকাশকদের গতবারের লোকসান পুষিয়ে নেওয়ার জন‍্য তরুন লেখকদের পাশাপাশি তারাও স্বপ্ন দেখছেন। প্রকাশনা থেকে তার প্রথম কাব‍্যগ্রন্থ আরাধ‍্য বইটা বইমেলায় এসেছে। আর এজন‍্যই প্রতিদিনই তিনি বইমেলার স্টলে থাকেন।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

বইমেলায় সাড়া ফেলেছে লেখক স্মৃতি রায়ের কাব্যগ্রন্থ ‘আরাধ্য’

প্রকাশের সময় : ০৮:৪৬:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

মানুষের ভালো চিন্তা থেকে সামাজিক কাজে ভালো কিছু হওয়া সম্ভব। একজন সুন্দর মনের মানুষ একসময় হয়ে ওঠে কবি, সাহিত‍্যিক, সাংবাদিক, শিল্পী। এমনি এক প্রতিভাবান মানুষকে নিয়ে লিখা আজকের প্রতিবেদন। ২১শে’র বইমেলায় যাঁর বই পাঠকের মনে সাড়া জাগিয়েছে তিনি রাজবাড়ীর কৃতিসন্তান স্মৃতি রায়। তৃণলতা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত তাঁর লিখা “আরাধ‍্য” নামের বইটি ২০২৩ সালের একুশে বইমেলার স্টলে সম্মানের সাথে স্থান করে নিয়েছে। ২০২৩ সালের একুশে বইমেলার ৩৫৪ ও ৩৫৫ নং স্টলে পাওয়া যাচ্ছে পদ্মা বিভাগের রাজবাড়ীর কৃতিসন্তান নবীন কবি স্মৃতি রায়ের লেখা আরাধ‍্য কাব‍্যগ্রন্থটি।

, আশির দশকের ১৯৮৩ সালের ৯ জানুয়ারি ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার ভাটিকান্দি মথুরাপুর গ্রামে সম্ভ্রান্ত ব্রাক্ষ্মণ পরিবারে নানামুখী প্রতিভার অধিকারী স্মৃতি রায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পিতা জগদিশ রায় ও মাতা শেফালী রায়ের প্রথম সন্তান। শৈশবে স্মৃতি কানাইপুরের সাইবাড়িয়া গ্রামে মামার বাড়ীতে । পরে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলা সদরের চন্দনা নদী পাড়ের জাবরকোল গ্রামে বাবা মায়ের সাথে বসবাস শুরু করেন। সেখানে বালিয়াকান্দি সরকারি পাইলট বালিকা বিদ‍্যালয় থেকে সেকেন্ডারী স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়ে বাবার কর্মস্থল রাজবাড়ীতে চলে আসেন। স্নাতক শেষ করে ফরিদপুর আইন কলেজ থেকে এল,এল,বি শেষ করেন। বর্তমানে লেখক স্মৃতি রায় ঢাকার একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন। জ্ঞান পিপাসু স্মৃতি রায় কর্মজীবনের পাশাপাশি নানামুখী পড়াশুনায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। ব‍্যাক্তিগত জীবনে তিনি এক পুত্র সন্তানের জননী। তাঁর লেখা প্রথম কাব‍্যগ্রন্থ – আরাধ‍্য- বিষয়ে স্মৃতি রায় বলেন, ঘাত প্রতিঘাতময় এই জীবনে বিরূপতা এবং সহযোগিতা কোনটারই অভাব কখনো তিনি অনুভব করেননি।কোন কিছুই তাকে তার লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি।বাংলার সবুজ শ্যামলিমা,ধানক্ষেত,বহমান স্রোতস্বিনী,গ্রামের সহজ সরল মানুষের নিষ্পাপ আচরণ যেমন তাকে টানে,পাশাপাশি দ্বন্দ সংঘাতময় স্বার্থান্বেষী মানুষের মনের সংকীর্ণতাও তাকে পীড়া দেয়।এসব কিছু সত্বেও সুড়ঙ্গ শেষের আলোর আকাঙ্ক্ষা তাকে প্রতিনিয়ত ধাবিত করে সমুখপানে ।একটি সুন্দরের স্বপ্ন তার লিখার মূল প্রতিপাদ্য।আর এসব কিছুই মূর্ত হয়ে উঠেছে তার “আরাধ্য” কাব্য গ্রন্থে।পাঠক তার কবিতা পাঠ করতে করতে বিষয় বস্তুর সংগে একাত্ম অনুভব করবে এটাই কবির বিশ্বাস। সম্মানিতপাঠকগণকে সাথে নিয়ে তিনি আরও ভালো কিছু উপহার দিতে পারবেন আগামীতে,এটা তিনি দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করেন। তিনি আরও বলেন, নিয়মিত পাঠকের পাশাপাশি, নিয়মিত যে মানুষটি বই পড়েন না, তিনিও ফেব্রুয়ারিতে একবার হলেও বই মেলাতে আসেন, একটা দুইটা পছন্দের বই কেনেন। এবারই প্রথম তিন তার কাব‍্যগ্রন্থ “আরাধ‍্য” নিয়ে পাঠক ও প্রকাশকদের সঙ্গে আছেন। তরুণ লেখকদের অনেক স্বপ্ন এবারের বইমেলা নিয়ে, সাথে প্রকাশকদের গতবারের লোকসান পুষিয়ে নেওয়ার জন‍্য তরুন লেখকদের পাশাপাশি তারাও স্বপ্ন দেখছেন। প্রকাশনা থেকে তার প্রথম কাব‍্যগ্রন্থ আরাধ‍্য বইটা বইমেলায় এসেছে। আর এজন‍্যই প্রতিদিনই তিনি বইমেলার স্টলে থাকেন।